আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
আমার স্টিমিট জার্নির সুখ দুঃখের গল্পের শেষ পর্ব |
---|
My own art
তখন আমরা ধীরে ধীরে অনেক জন সেখানে পোস্ট করতাম। সে সময় সেখানে ফটোগ্রাফি এবং আর্ট অথবা স্টোরি এ ধরনের পোস্টগুলো করতাম।ভালো একটি সাপোর্ট পেতে শুরু করলাম। আবার বিভিন্ন রকম কনটেস্ট ছিল এক্সিম্যানের এবং এক্সপিলার স্যারের। তারপর আমি সেগুলোতে জয়েন করতাম এবং ভালো একটি সাপোর্ট পেতাম।এক্সিম্যানের ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি, পোট্রেট ফটোগ্রাফি, সি-স্কেপ, সিটি-স্কেপ, সাদা কালো ফটোগ্রাফি আরো বিভিন্ন যে কনটেস্ট গুলো রাখত সেগুলোতে আমি জয়েন করতাম ও অনেকবার জয়ী হয়েছি ফটোগ্রাফিতে।
এভাবে করতে করতে হঠাৎ স্টিমিট ব্লগ কর্তৃক শুরু হয় ডায়রি গেম নামক একটি ডেইলি একটিভিটি পোস্ট। আর এই পোস্ট করার জন্য আমাকে ইনভাইট করে ওয়াল্ড অফ এক্সপিলারের একজন সুনামধন্য ইউজার @art-venture. সে আমার আর্ট পোস্টে আমাকে ভোট করে এবং সে আমাকে বলে তুমি এটার পাশাপাশি ডায়রি গেমেও কাজ করতে পারো। তখন আমি @art-venture এর ইনভাইটেশনে ডায়রি গেমে জয়েন হই এবং প্রতিনিয়ত ডায়রি গেম পোস্ট শুরু করি।
তখন কিউরেটর ওয়ানের ভোট পেতাম আমরা। প্রতি ৭ দিনে যদি কিউরেটর ওয়ানের ভোট নাও পেতাম, পরে অন্য দিন কিউরেটর এসে সাত দিনের ভোট একসাথে দিত। ওই দিক থেকে আরো ভালো একটি আর্নিং শুরু হতে লাগলো। আমি কিন্তু তখনও জানতাম না কিভাবে টাকা উঠায়।
যাক সেটা জানার প্রয়োজন মনে করিনি, কারন আমার টাকার প্রয়োজন ছিল না তখন। আমার প্রয়োজন ছিল একটু অন্যভাবে নিজেকে বা নিজের সময়কে অতিবাহিত করা। চিন্তা করতাম সবাই তো ফেসবুক ইউজ করে, টুইটার ইউজ করে, কয় জনই বা স্টিমিট ইউজ করতে পারে। এখানে ইউজ করার জন্য অবশ্যই যোগ্যতা লাগে। সে যোগ্যতা অনেক বন্ধুবান্ধব এর নেই,সেই হিসেবে এভাবে কাজ করতাম।
এখানে মাঝখানে আমার এক আদরের ছোট ভাই রকি রয়েছে, সে আমার অনেক ক্লোজ ছোট ভাই ছিল। তাকে আমি ফোন করে বলতাম এই কাজটা করতে।বলতাম তোমার কাজে লাগতে পারে। সে আমাকে বলে না ভাইয়া, এগুলা শেখার মত আমার কাছে সময় নেই। তখন আমি তার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম ইমু সফটওয়্যার এর মাধ্যমে।আর কথার মাঝে মাঝে তাকে উৎসাহিত করতাম এইখানে কাজ করার।কিন্তু সে আমার কথা শুনেনি, সে তখন জয়েন হয়নি।তবে সে বিষয়ে আমি অন্য একদিন বলব।
যাই হোক ডায়রি গেম চলাকালীন ভালো সাপোর্ট পেতে শুরু করলাম এবং সেই সময় আমি ওমান থেকে আমার বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফিরে আসার পরে আমার পরিচিত একজন বন্ধু সে একটি কমিউনিটি ওপেন করে। তখন সে কমিউনিটি ওপেন করার পরে সে ইনভাইট করে তার কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য। তখন আমি তার কমিউনিটির মধ্যে কাজ শুরু করলাম।
তারপর আমি কাজ করতে করতে, সেখানে সেই বন্ধু আমাকে মডারেটর বানিয়ে দিলো। এদিক থেকে রকি এবং তার যে সহপাঠী ছিল সবাইকে এখানে কাজ করার জন্য ইনভাইট করলাম। প্রথমত রকিকে আমি এই প্লাটফর্মে জয়েন করিয়ে ছিলাম এবং হাতে কলমে তাকে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিলাম,কিভাবে কাজ করতে হবে। যদিও আমাকে শেখানোর কেউ ছিল না।নিজ প্রচেষ্টা থেকে আজ সবার মাঝে স্টিমিট প্লাটফর্ম ছড়িয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।
তারপর রকি তার ওয়াইফ, শালিকা ও যারা যারা তার আপন ছিলো তাদেরকে শেখালো এবং এদিক থেকে আমার ওয়াইফ @bristy1 ও এখানে কাজ করতো।যাইহোক পরবর্তীতে আমি আমার পুরো টিমকে, @rayhan111 ভাই ও তার কাজিন সহ সবাইকে বলেছিলাম আমি যে কমিউনিটির মডারেটর সেখানে কাজ করতে। আমার কথায় সবাই সেখানে সবাই ভালো ভাবে কাজ করতেছিল।
তখন আমরা ওই কমিউনিটিতে বুমিং সাপোর্ট পেয়ে যাই,তখন মোটামুটি আমার টিমে যারা ছিল সবাইকে ধারাবাহিকভাবে বুমিং দিতাম। সপ্তাহে দুইটা-তিনটা করে। এভাবে চলতেছিল আমাদের স্টিমিট জার্নি।মাঝখানে আমার সেই বন্ধুটি সে বুমিং নিয়ে ছিনিমিনি শুরু করতেছিল।সে বুমিং সাপোর্টটি সে তার নিজস্ব লোকদেরকে বেশি দিচ্ছিল। আমার টিমকে খুবই কম দিতেছিলো।
একদিন যখন আমার বুমিং এর সময় আসে তখন সে আমাকে বলে ভাই আপনার পোস্টের লিংক দেন বুমিং এর জন্য। তখন আমি তাকে বলতাম যে আমার বুমিং সাপোর্ট লাগবে না।আমার টিমে যারা ইউজার আছে তাদেরকে আপনি বুমিং দেন।আর এই কথার সাক্ষী ছিল @rayhan111 ভাই। কারণ আমার বুমিং তখন প্রয়োজন ছিল না, কারণ আমি স্টিম শ্রীলঙ্কা থেকে ভালো একটি সাপোর্ট পাচ্ছিলাম ডেলিগেশনের বিনিময়।আর সে সময় আমি ছিলাম স্টিম শ্রীলংকার একজন লাকি ডেলিগেটর। সেই হিসেবে আমাকে বোনাস ভোট দিত স্টিম শ্রীলংকা।তখন আমার ৪৭০০ প্লাস এস পি ছিল।
যাইহোক তখন কিন্তু কিউরেটর ওয়ান আমাদের সেই কমিউনিটিতে এসে মাঝেমধ্যে ভোট করতো। ভালই লাগতো এবং সবাই অনায়াসে কাজ করছিল, তখন ও সে বুমিং নিয়ে যখন ছিনিমিনি খেলছিল। তখন আমরা টিমের সবাই সেখান থেকে বের হয়ে যাই।কারণ অনিয়ম দেখে সহ্য হয়নি। অবশেষে পুনরায় আবার সবাই মিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করি এবং সবাইকে বললাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করার জন্য, যার যেখানে ভালো লাগে। তখন তারা সেভাবে কাজ করতে ছিল। যখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে যার যার মত করে সবাই কাজ করতে ছিল। তখন আমার ওয়াইফ @bristy1 ওয়ান তাকে আমি বলেছিলাম যে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে এবং আমার বাংলা ব্লগের রুল গুলো তাকে দেখিয়ে বললাম যে দেখো এগুলো যদি পছন্দ হয় সেখানে কাজ করো। তখন সে রুল গুলো পড়ে সে বলল এখানে কাজ করবে।আর এখানে কাজ করতে সে আনন্দ উপভোগ করবে। তাই আমি বললাম ঠিক আছে শুরু করো।তার কাজ করা দেখে আমিও একমাস পরে আমার বাংলা ব্লগে জয়েন করি।
সেখানেই এবিবি স্কুলের ক্লাস গুলো করে ভেরিফাইড হয়ে, এখনো পর্যন্ত এই কমিউনিটির সাথে কাজ করে যাচ্ছি।বন্ধুরা এই ছিল আমার স্টিমিট জার্নি। তবে অনেক ছোট করে এবং সংক্ষেপে, অনেক গুলো ঘটনা লুকিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। কারণ বিস্তারিত লিখতে গেলে ২০ পর্বে ও শেষ করতে পারবো না। জানুয়ারি মাসে আমার জার্নি এর পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। আর যতদিন স্টিমিট প্লাটফর্ম আছে আশা করছি ততদিন স্টিমিটের সাথেই আছি, থাকবো।
কেউ গত পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন 👇 |
---|
- https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/1
- https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/4nshmd
- https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/2fkbqr
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
পোষ্ট | গল্প |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1608754778422808577?s=20&t=OhsMm_TuywEm1wgNehMChg
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনার স্টিমিট জার্নির গল্পটি পড়ে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো। আসলে কোথাও কাজ করতে গেলে সেখানে অনিয়ম চোখে পড়লে সেখানে কাজ করার আগ্রহই হারিয়ে যায়। আপনি যার কারণে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। আপনারা তো দেখছি বেশ কয়েকজন মিলে কাজ করছেন ।আসলে সবাই মিলে কাজ করলে একটা আনন্দ অনুভব করা যায়। আপনার মাধ্যমে অনেকে স্টিমিটে এসেছে আপনার লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম ।যাইহোক জানুয়ারিতে আপনার স্টিমিট জার্নির পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আপনাকে অগ্রিম অভিনন্দন জানাচ্ছি।ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে মূল্যবান একটি মন্তব্য জানানোর জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার স্টিমেটে জার্নির গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর গল্পটি পড়ে আজকে জানতে পারলাম কত কষ্ট করে আজকে আপনি এ পর্যায়ে এসেছেন। আসলে ধৈর্য হলো সবচেয়ে বড় বন্ধু। আরো যেনে ভালো লাগলো যে, বৃষ্টি ওয়ান আপু আপনার ওয়াইফ। এছাড়া রকি ভাইয়া, রায়হান ভাইয়া সবাই আপনার পরিচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সব সময় গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন সর্বদায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার স্টিমিট জার্নির গল্প করে। আমি তো এতদিন জানতাম না বৃষ্টি আপু আপনার ওয়াইফ। আজ জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপনারা একসাথে অনেক জন কাজ করেছেন । আপনার মাধ্যমে অনেকেই স্টিমিটে এসেছে আজ আপনার পোস্ট না পড়লে বুঝতে পারতাম না। আজকের গল্পটি অনেক সুন্দর ছিল পরবর্তী গল্প পড়ার জন্য অপেক্ষা করবো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সময় দিয়ে এই পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া, আপনার হাত ধরেই আমাদের স্টিমিটে আসা। না হলে তো হয়তোবা কখনো এই প্লাটফর্মে আসতেই পারতাম না। এমনকি আপনি ছিলেন বলে এই প্লাটফর্মে নিজের জায়গাটা এ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। না হলে যে আমাদের জীবনে কি অবস্থা হতো সেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। তবে জানুয়ারিতে আপনার পাঁচ বছরের জার্নি শেষ হবে এ বিষয়টা ভীষণ ভালো লাগছে। আশা করি এই ভাবেই যতদিন স্টিমিট থাকবে আমরা সবাই এই প্লাটফর্মের সাথে থাকবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পুরনো দিনের কথাগুলো মনে পড়ে গেল, আসলে আমরা মানুষ সবকিছু ভুলে যাই খুব তাড়াতাড়ি।এটা হয় তো আমরা যখন আমাদের অবস্থান থেকে আরেকটি উন্নতির পথে হাঁটি, তখন আমাদের যে কাজ শিখিয়েছে তার কথা আর আগের মতো আমরা খেয়াল করি না। আসলে আপনি আমাদের জন্য যা করেছেন সেটা কখনোই ভোলার নয়।আমি মৃত্যু পর্যন্ত ভুলতে পারবোনা আপনার অবদান। আমি স্টিমিট যাত্রার পর থেকেই আপনার সাথে আমার কথাবার্তা এবং আপনি আমাকে হাতে-কলমে শিখিয়ে দিয়েছেন। আসলে আপনি যদি না থাকেন তাহলে আমি আজ এই পর্যন্ত আসতে পারতাম না। আপনার হাত ধরেই আমার স্টিমেট যাত্রা এবং আপনি আমাকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে গেছেন, আজ পর্যন্ত সাহায্য করছেন। শুধু আমি না আসলে আপনার হাত ধরেই ফেনীর সকল দক্ষ ব্লগাররাও তৈরি হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমাদের জন্য আপনি প্রতিনিয়ত দোয়া করি। আর হ্যাঁ আপনি নিজে সাপোর্ট না নিয়ে আমাদের সাপোর্ট নিশ্চিত করেছেন এটি একদম সত্যি কথা।মনের গভির থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই @nevlu123🌹💞🌹
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই তেমন কিছুই করতে পারেনি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit