আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
আমার স্টিমিট জার্নির সুখ দুঃখের গল্প পর্ব-৩ |
---|
My own art
এভাবে চলতে চলতে বন্ধুবান্ধব কয়েকটি হয়েছিল, তাদেরকে আমি সবসময় কমেন্ট করতাম।পরবর্তীতে তারা এসে আমার পোস্টে কিছু কিছু করে আপভোট দিয়ে যেত।সেভাবে শুরু হয়েছিল আমার পোস্ট কমেন্টে হালকা হালকা করে আর্নিং। তবে সত্যি বলতে প্রপার গাইডলাইন দেওয়ার মতো কোন ব্যক্তিই ছিল না যখন আমি কাজ করি।
তবে পাকিস্তানের সেই শাকিব নামে বন্ধুটি মাঝেমধ্যে হেল্প করত। তাকে যা প্রশ্ন করতাম সেগুলো আনসার দিয়ে সহযোগিতা করত। তার উপকার কখনো ভুলবো না। এভাবেই চলতে চলতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।অনেকের পোস্ট পড়ে অনেক টিউটোরিয়াল দেখে যা শিখতে পেরেছিলাম সেভাবেই সামনের দিকে এগোতে লাগলাম।
হঠাৎ একদিন রাত বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত জেগে জেগে আমি একটি ব্লগ রেডি করেছিলাম। সকালবেলা যখন কাজে যোগদান করি তখন কাজের ফাঁকে মোবাইলটা খুলে দেখলাম হঠাৎ আমার সেই পোস্টে ২৬ ডলারের একটি ভোট পড়েছে। তখন আমি দেখে তো একদম অবস্থা নাজেহাল,কেননা এত বড় ভোট আমি কোথায় থেকে পাব বিশ্বাস করতে পারছিলামনা।
পরে দেখি সত্যিই আমার পোস্টে সেই ভোট টি দেখাচ্ছে।আর ভোটটি দিয়েছিল hr1 নামে একটি একাউন্ট থেকে। হয়তো তার কাছে আমার কন্টেন্টটি ভালো লেগেছিল তাই এই ভোটটি দিয়েছিল।আর তখন আমার রিপুটেশান হিট করে অনেক দূর।তখন তো আরো বেশি উৎসাহ পাই কাজ করার। তবে সত্যি বলতে কি তখনও শুধু আমি মজা করার জন্য এবং শেখার জন্য ও সময় ব্যয় করার জন্য স্টিমিট এ কাজটি করতে ছিলাম।
কারণ আমি তখনো জানতাম না স্টিম কি? স্টিম পাওয়ার কি?এসবিডি কি এবং এগুলোর দাম কত।আর এগুলো কিভাবে এক্সচেঞ্জ করে,বা কিভাবে উঠায়,কিছুই জানতাম না। তারপরও মনের মধ্যে একটা চিন্তা থাকতো যে ফেসবুক চালানোর চাইতে, এখানে অন্তত ভিন্ন রকম মানুষের সাথে চ্যাট হচ্ছে। বা পোস্ট করতেছি সবার মত করে।আর কিছু ডলার অন্তত শো করছে, যদিও আমি উঠাতে পারি বা না পারি সেটা সমস্যা নয়। দেখা যাচ্ছে এটাই একটা বিশাল ব্যাপার। এই রকম চিন্তা করে কাজ করেছিলাম।
তখন বাংলাদেশের কিছু বন্ধু-বান্ধবের সাথে পরিচয় হলো। একজন ইমরান নামে পরিচয় ছিল সে এখন কাজ করেনা। এরপর শান্ত নামে একজন লোকের সাথে পরিচয় হলো।সে এখন নেই এবং আমাদের বাংলা ব্লগের @rayhan111 ভাই তার সাথে পরিচয় হয় আমার সাথে। তখন তার সাথে ভালো একটা রিলেশন হয় যেটা এখনো পর্যন্ত রয়েছে।
পরে দেখতে পাই তিনিও আমি স্টিমিটে শুরু করার কিছুদিন পরেই তিনি স্টিমিট এ কাজ শুরু করেছেন । তখন আমরা একজন অন্যজনের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতাম এবং একে অন্যকে হেল্প করতাম। যাইহোক মাঝখানে তিনি বিভিন্ন এয়ার ড্রপের কাজগুলো করতেন, যার কারনে স্টিমিটের কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন।পরবর্তীতে তাকে আমি আবার ডেকে আনি এবং কাজ করতে উৎসাহিত করি।
যাক সেদিকে যাচ্ছি না তখন দেখতে পেলাম ধীরে ধীরে এই প্লাটফর্মে কমিউনিটি সিস্টেম করেছে এবং সে সময় কিন্তু চ্যাট অপশনটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যখন কমিউনিটি চলতেছে বিভিন্ন জায়গাতে কমিউনিটি খুলতেছে। তখন world of xpilar এই কমিউনিটিতে কাজ শুরু করি।যদিও @xpilar আইডিটা অনেক আগে থেকেই আমার পরিচিত ছিল, তবে ব্যক্তি পরিচিত নয়, শুধু আইডিটি পরিচিত ছিল। আর তার পোস্টে কমেন্ট করতাম এবং তিনি মাঝেমধ্যে ভোট করতেন। পরবর্তীতে xpilar আমাদের সবাইকে ইনভাইট করে তার পেইজে বা কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
তখন আমরা ধীরে ধীরে অনেক জন সেখানে পোস্ট করতাম। সে সময় সেখানে ফটোগ্রাফি এবং আর্ট অথবা স্টোরি এ ধরনের পোস্টগুলো করতাম।ভালো একটি সাপোর্ট পেতে শুরু করলাম। আবার বিভিন্ন রকম কনটেস্ট ছিল এক্সিম্যানের এবং এক্সপিলার স্যারের। তারপর আমি সেগুলোতে জয়েন করতাম এবং ভালো একটি সাপোর্ট পেতাম।এক্সিম্যানের ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি, পোট্রেট ফটোগ্রাফি, সি-স্কেপ, সিটি-স্কেপ, সাদা কালো ফটোগ্রাফি আরো বিভিন্ন যে কনটেস্ট গুলো রাখত সেগুলোতে আমি জয়েন করতাম ও অনেকবার জয়ী হয়েছি ফটোগ্রাফিতে।
বন্ধুরা স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতেছি পাঁচ বছর শেষ পর্যায়ে। কিছুদিন পর জানুয়ারিতে পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। তাহলে বুঝতেই পারতেছেন কত কথা লুকিয়ে আছে। তাই সব কথা একসাথ তুলে ধরা সম্ভব নয়। তাই বাকিগুলো আগামী পর্বে দেখতে পাবেন।
কেউ গত পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন 👇 |
---|
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
পোষ্ট | গল্প |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
আসলে ভাই স্টিমিট যাত্রার গল্প গুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আর এই গল্পে আমার জায়গা রয়েছে। আসলে আপনার অবদান আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। আমি কাজ প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম তখন আপনার মাধ্যমে আবার শুরু করি। সেই প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত আপনি প্রতিনিয়ত আমাকে সাহায্য করে যাচ্ছেন। আপনার সাহায্য এভাবেই সারা জীবন পাবো এই আশায় কামনা করি।💞
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@rayhan111 জি ভাই অবশ্যই পাবেন, কিছু কিছু লোক আছে তারা অন্তরে বসবাস করে, যেমন আপনি একজন।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার নিজের জার্নির কথা মনে পড়ে গেল। প্রথমে একটা অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম সেখানে হাবিজাবি, মাথামুণ্ডু লিখে বেড়াতাম।কারণ নিজের ভাষায় লেখার সেই প্ল্যাটফর্ম ছিল না। আর ইংলিশে লিখলেও কোথাও একটা মনের ভাবটা প্রকাশ করতে পারতাম না। আর প্রথম প্রথম তো গাইড করারও কেউ ছিল না। অবশেষে বন্ধুর মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ নামের খনি পেলাম। তারপরে তো বাকিটা আপনারা কমবেশি জানেন।আপনার দেখছি যথেষ্ট স্ট্রাগল আছে স্টিমিটে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনারা তো ইনভাইটেশন পেয়ে এসেছেন। আমি আসলে ইউটিউব থেকেই দেখে শিখে এসেছি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার অবশ্য প্রথম দুটি পর্ব পড়া হয়নি। তবে কেন জানি আপনার আজকের পর্বটি পড়ে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই শৈশব কালে। মানে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের শৈশব কালে। কি যে ছাই পাস লেখলাম। সেগুলো ভাবলে এখন শুধু হাসি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন আপু তখন কি লিখতাম আসলে সেটাই বুঝতাম না ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit