হিংসুটে মনোভাব পশুর সমতুল্য, না না তার চাইতেও অনেক নিকৃষ্ট।

in hive-129948 •  3 months ago 
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

হিংসুটে মনোভাব পশুর সমতুল্য, না না তার চাইতেও অনেক নিকৃষ্ট।

Screenshot_20240730-235752_Gallery.jpg

Source

বন্ধুরা আজকে যে বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটি টাইটেল দেখে অবশ্যই আপনারা বুঝে ফেলেছেন । মূলত একজন মানুষের সঠিক পরিচয় হচ্ছে মানবতা কেন্দ্রিক, সুষ্ঠু মন মানসিকতা কেন্দ্রিক। হিংসুটে মনোভাব নিয়ে যারা চলাফেরা করে তারা মানুষের ঘরে জন্ম নেওয়া মানুষ হলেও, কখনো সঠিক মানুষ হতে পারে না। যাই হোক এ বিষয়ে আজকে আপনাদের মাঝে নিজের মধ্যকার কিছু কথা শেয়ার করব। তো চলুন শুরু করি।

একটা মানুষ তাকে ফুটিয়ে তুলতে পারে শুধুমাত্র পজেটিভ চিন্তাধারা দিয়ে।যে মানুষের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না সেই প্রকৃত মানুষ। যে মনের দিক থেকে বড় ও মানবতা কেন্দ্রিক সেই মূলত প্রকৃত মানুষ। আর এ ধরনের মানুষের কাছে অন্য কোনো মানুষ লাঞ্ছিত হবে না, তাদের কাছে ঠকবে না। এরা কাউকে হিংসা করবে না আর কারো হকও মারবে না।তবে দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে এ ধরনের মানুষ খুবই কম আছে পৃথিবীতে।

আর হিংসুটে মানুষের অভাব নেই যারা পশুর সমতুল্য। আবার বলতে গেলে পশু নয় বরং তার চাইতে আরো নিকৃষ্ট। কারণ অনেক পশুর মাঝেও হিংসুটে মনোভাব থাকে না, তাই মানুষ হয়ে যদি হিংসুটে মনোভাব রাখে তাহলে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয় তারা। হিংসা মানুষকে কুলুষিত করে, মানুষের মন নোংরা করে তোলে। আর এই হিংসার কারণে সে যত নিকৃষ্ট কাজ আছে সেটা করতেও দ্বিধাবোধ করে না।

মনে করুন একটি মানুষ খুব সুন্দর চলছে। সে কারো সাথে হানাহানি মারামারি বা কারো সাথে অন্যায় করছে না। এখন তার এই সুন্দর চলাফেরা, তার এই সুন্দর মনোভাব অন্য একজনের সহ্য হচ্ছে না। তাই এই ব্যক্তিকে সে হিংসার চোখে দেখে। আর এই হিংসার চোখে দেখতে গিয়ে একটা সময় দেখা যায় কোন না কোন কারণবশত প্রতিহিংসায় রূপ নেয়।সেই প্রতিহিংসা থেকেই মানুষ অমানুষে পরিণত হয়। আর অমানুষের কাজ তো আপনারাই বুঝতে পারছেন,তার দ্বারা কত খারাপ কাজ হতে পারে।

তবে আমি মনে করি হিংসুটে লোকরা মূলত কখনোই শান্তিতে থাকতে পারবে না । তারা অন্যের সুখে নিজেকে অসুখী মনে করবে। আর হিংসার কারণে তাদের সুখটাও অসুখে পরিণত হবে। আসলে এ ধরনের হিংসুটে ও নোংরা মনোভাব নিয়ে যারা চলাফেরা করে তাদের জন্য এই পৃথিবীটা অসুন্দর হয়ে আছে এখনো। এদের কারণে সমাজে বিশ্বে এবং সবার ঘরে ঘরেও ঝামেলা হচ্ছে।

ভালো মানুষদেরকে এরা ভালো থাকতে দেয় না। হিংসে করে, ক্রিমিনালী করে, নিজের স্বার্থকেন্দ্রিক হয়ে, সুন্দর সুন্দর সম্পর্ক গুলো ভেঙ্গে দেয় এরা।এদের ষোল আনা এরা বরাবর চায়। এতে করে অন্যের সুখ, শান্তি, সৌন্দর্য, নষ্ট হোক তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। এ ধরনের লোকগুলো নিতান্তই পশুর চাইতেও হিংস্র। আর এদের থেকে দূরে থাকাই অনেক বেশি শ্রেয়।

যাইহোক বন্ধুরা অনেক কথাই লেখার ছিল, কিন্তু কিছু কথা নিজের মধ্যে রেখে দিলাম। হয়তো সেগুলো বলা যাবে না। কিন্তু উপরোক্ত যতটুকু বলা যায় সেটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বাকি মনের টা মনেই রেখে দিলাম। কারণ অনেক সময় মনের সব কথা শেয়ার করতে গেলেও ঝামেলায় পড়তে হয়। যদি আবারো সুযোগ পাই আপনাদের সাথে আরো কিছু কথা শেয়ার করবো।

তো আজকের কথা বাড়াবো না। এই ব্লগটি যদি কারো ভালো লেগে থাকে সেটা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। আর কারো সাথে যদি এ ধরনের লোক, বা এই পরিস্থিতির সাথে পরিচিত থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি।যাক কথা না বাড়িয়ে এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণজেনারেল রাইটিং।
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

IMG-20231214-WA0050.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

🙏❤️🙏

অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমাদের চারিপাশে এমন অনেক মানুষ আছে। যারা নাকি কারো ভালো সহ্য করতে পারে না। আর এক সময় হিংসা থেকে প্রতিহিংসায় রূপ নেয়। আর সেই প্রতিহিংসা একসময় মানুষকে অমানুষে পরিণত করে। একসময় দেখা যায় তাদের দ্বারা মানুষের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়।তবে হিংসুটে মানুষকে আল্লাহ তাআলা কখনো পছন্দ করেনা।

আপু ধন্যবাদ আপনাকে।।🥰

মানুষের ভেতরে হিংসা থাকাটা একেবারেই ভালো না। বরং একটা মানুষের ভেতর থাকা উচিত সুন্দর চিন্তা ভাবনা, মানবিকতার এগুলো। হিংসা মানুষকে কখনো ভালোর দিকে নিয়ে যায় না। হিংসুটে মানুষগুলো অনেক বেশি খারাপ হয়ে থাকে। তাদের ভেতরে থাকে জঘন্য মনোভাব। তারা আসলেই পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট হয়। কিন্তু একসময় তাদের এই হিংসাই তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়। কারণ এটার ফলে তারা ভালো কিছু করতে পারে না, আর এটাই হচ্ছে মূল ধ্বংস। হিংসুটে মানুষগুলোকে কেউই পছন্দ করে না। এমন কি সৃষ্টিকর্তাও না।

ভালো লাগলো যেনে ধন্যবাদ।।

আপনার লেখাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। সেটা আপনার ক্ষেত্রে নয় আমাদের চারপাশেও অনেকে আছেন এমন হিংসুক প্রজাতির মানুষ। তারা শুধু যে পশুর সমান তা নয় জানোয়ারের থেকে আরো অনেক বেশি খারাপ। তারা মানুষের সুন্দরভাবে চলাফেরা দেখলে সফলতা দেখলে হিংসায় জ্বলে যায়। এমন কিছু মানুষ আছে যা আমাদের সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে দিন দিন। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর অভিজ্ঞতা দিয়ে লেখা গুলো লিখে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন।🌿

কথাটা একদম সত্য হিংসুটে মনোভাব পশুর সমতুল্য। আবার প্রকারভেদে হিংসুটে লোকেরা পশুর চাইতেও খারাপ।এরা অন্যের ভালো দেখতে পারে না। এরা সব সময় নিজের ভালোটা বুঝে। যাইহোক বাস্তব একটা পোষ্ট শেয়ার করেছো।

ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন।।

❤️🥰❤️