আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
একজন কর্মঠ ভালো মানুষের গল্প।পর্ব -৪ |
---|
তৃতীয় পর্বের পরে👇
এভাবে করতে করতে চলতেছিল তার জীবন, এক কঠোর সংগ্রামের মাধ্যমে। তার বোনের ফ্যামিলিতেও তিনি যথাসম্ভব সহযোগিতা করতেন। তার বোনের ছিল মেয়ে ছয়টা আর দেখতে দেখতে তার ভাইয়ের মেয়ে হয়েছে পাঁচটা।মোটামুটি সবার বিয়ে থেকে শুরু করে বাকি অনেকগুলো দায়িত্ব তিনি সামলিয়েছেন।তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলাফল সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন।
অবশেষে যখন অনেক বছর পর তিনি বাড়িতে আসেন বিদেশ থেকে। তখন তাকে বাড়িতে অবশিষ্ট যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো তার টাকার মাধ্যমে করিয়ে ছাড়লেন তার ফ্যামিলির লোকজন। মোটামুটি এতদিন বাড়িতে থেকে তার অর্জিত যত অর্থ ছিল সব শেষ করে ফেলেন। এর পর তাকে তাদের ফ্যামিলি যৌথ পরিবার থেকে আলাদা করে দিলেন।
শুরু হলো তার আরেকটা কষ্টের জীবন। তবুও তিনি সবকিছু ম্যানেজ করে চলতেছিলেন। আর ছেলে মেয়েদেরকে মানুষের মত মানুষ গড়ার প্রচেষ্টায়, অনবরত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে তার ছেলে সন্তানও বড় হতে লাগলো।যখন তার ছেলেদের কর্মব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। তখন তিনি কারো কাছে হাত পাতেন নাই।নিজেই নিজের ছেলে সন্তানকে মানুষ করার লক্ষ্য এগিয়ে গেলেন।
মোটামুটি ছেলেও যখন ইনকাম করা শুরু করল, তাদের দিন খুব ভালো যাচ্ছিল। হঠাৎ করে ছেলে আবার বাড়িতে ফিরে এলো। আর তার একটাই কারণ সেখানে যথাযথ সুযোগ ছিল না ভালো কিছু করার। যদিও ছেলেটিকে যদি অন্য কোন ভাল কাজে লাগানো হতো, তাদের ফ্যামিলির জন্য আরো ভালো কিছু হত। কিন্তু লোকটি বুঝে নাই যে তার ছেলের দ্বারা ভালো কিছু হতে পারে। সে চেয়েছে তার মত করে। যার জন্য ভালো কিছু করা হয়নি।
Source
যাইহোক সেদিকে বিস্তারিত যাচ্ছি না। যেহেতু আমি লোকটির জীবন সম্পর্কে বলতে চাচ্ছি, তাই অতিরিক্ত কিছু না বলে যতটুকু তার জীবনের সাথে জড়িয়ে ছিল সেটাই তুলে ধরতেছি। তারপরও তাদের দিন ভালোই যাচ্ছিল।যেহেতু লোকটি ভালই একটা পজিশন তৈরি করে নিয়েছে বিদেশে। অবশেষে তার ছেলে ভালো একটা কাজের উদ্যোগ নিয়েছে এবং সেখানে অনেকগুলো টাকার প্রয়োজন।
যখন তার ছেলে বাইরে ছিল তখন তাদের জায়গা জমিও কেনা হয়েছিল। আজ সে জাগাও বিক্রির হুমকির মুখে। কারণ তার ছেলে যে উদ্যোগটি নিচ্ছে সেখানে খুব বড় একটা প্রজেক্ট। যার কারণে তাদের জমিটি বিক্রি করতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজন অনেক টাকার। কিন্তু লোকটির এখন কোন প্রকার টাকা নেই। তিনি বসে রয়েছেন কাজের অপেক্ষায়। কখন কাজ হবে কখন টাকা পাবে।
এদিক থেকে তার ছেলেরাও মোটামুটি খুঁটিনাটি কিছু না কিছু করে চলছে। কিন্তু এটা দিয়ে কোন ভাবে বর্তমান উদ্যগতির বাজারে টিকে থাকা সম্ভব নয়। আবার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সে উদ্যোগে প্রচুর টাকা প্রয়োজন। ছেলের বন্ধুবান্ধব এবং তাদের অতি ক্লোজ আত্মীয়-স্বজন থেকে কিছু টাকা ম্যানেজ হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও 7 থেকে 8 লক্ষ টাকা। এখানে মেন বিষয় হচ্ছে এই সাত থেকে ৮ লক্ষ টাকা কোন ব্যাপারই না যদি তার ভাই তাকে সহযোগিতা করে।
বাকিটা শেষ পর্বে....... কারণ একজন ভালো মানুষের জীবনের কথোপকথন তো আর অল্পস্বল্প করে শেষ করে দেয়া যায় না।আর যদি একজন মানুষের জীবনের ৭০ বছরের কথোপকথন তুলে ধরতে হয়।তাহলে হয়তো লিখে শেষ করা যাবে না। তবুও যতটুকু না লিখলে নয়, সেটাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। যাই হোক পোস্টটি যারা পড়েছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আগের পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আশা করি আগামীতে ভিন্ন রকম পোষ্ট নিয়ে আবারো আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোষ্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | অনুভূতি |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
গল্পটি যেহেতু আমার নিজের আগ থেকেই জানা। সে হিসেবে আর কিছু বললাম না। তবে ভালো লোকেদের সাথে এরকম খারাপ কাণ্ড ঘটে, এটি সমাজের নিয়ম হয়ে গেছে। ধন্যবাদ সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
💐❤❤
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit