কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ হিংস্র জীব সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আমার কাছে মনে হয় যে এই পৃথিবীতে যত হিংস্র জীবজন্তু রয়েছে তার ভিতর সব থেকে হিংস্র প্রাণী হল মানুষ নিজেই। কারণ আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন যে আমি কেন মানুষকে সব থেকে হিংস্র বলছি। আসলে আমরা বাঘ, সিংহ বিভিন্ন প্রাণীকে হিংস্র বলি। কিন্তু তারা কখনো তাদের নিজেদেরকে আঘাত করে না বা আক্রমণ করে না। কিন্তু মানুষই একমাত্র জীব যে কিনা মানুষকে সব সময় আঘাত করে। এমনকি স্বার্থের ফলে মানুষ মানুষকে খুন পর্যন্ত করে। আসলে আমরা সবাই জানি যে এই পৃথিবীতে সকল জীবজন্তুর ভিতরে মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব। আসলে প্রথম অবস্থাতে মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলারও অনেক কারণ ছিল। কারণ সে সময় মানুষের ভিতরে এত হিংসাত্মক মন মানসিকতা কখনো জন্ম হয়নি। তখন তারা নিজেরা বেঁচে থাকার তাগিদে একে অন্যের সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করত। এছাড়াও কোন একজন যদি বিপদে পড়তো তাহলে অন্য একজন মানুষ সবসময় তার সাহায্যে এগিয়ে আসতেন।
এছাড়াও প্রাচীনকালে মানুষ একে অন্যের সাহায্যে সব সময় এগিয়ে আসতো। তারা কখনো একে অন্যকে বিপদে ফেলে চলে আসছেন না। এছাড়াও তখনকার সময় মানুষের এতটা চাহিদা অথবা কোনো অতিরিক্ত প্রয়োজন ছিল না। আসলে দিন দিন আমারা আধুনিক হওয়ার ফলে আমাদের চাহিদা দ্বিগুন আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ আমাদের চাহিদার অতিরিক্ত জিনিস পাওয়ার জন্য আমরা সবসময় বিভিন্ন অন্যায় পথ অবলম্বন করি। এছাড়াও কোন কিছু পাওয়ার আশায় অন্য মানুষকে পর্যন্ত আমরা খুন করি। আসলে আমরা কখনো নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর অন্য কিছুই বুঝিনা। আসলে স্বার্থের জন্য মানুষ পাগল হয়ে যায়। এছাড়াও মানুষ এখন আর আগের মতো একে অন্যকে কখনোই সাহায্য করে না। তারা সব সময় ভাবে যে কি করে অন্যের ক্ষতি করে নিজে বড় হওয়া যায়।
আসলে এসব মানুষেরা কখন অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে নিজেরা জীবনে বড় পাপ করে ফেলে তা কখনোই বুঝতে পারে না। আসলে বুঝবেই বা কি করে। কারণ সেই সময় মানুষের ভিতরে সহানুভূতির সৃষ্টি বা জন্ম হয় না। কারণ সে সময় মানুষের পুরো মন জুড়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের লোভ লালসা। তারা ভাবে জীবনকে আরো আনন্দময় করতে হবে এবং এই আনন্দময় করার জন্য তারা যেকোনো অন্যায় পথ বেছে নিতে পারবে। আসলে কোন পিতা-মাতাই তার সন্তানদেরকে খারাপ পথে যাওয়ার জন্য খারাপ কোন শিক্ষা দেয় না। তারা চায় যে তাদের সন্তান যেন জীবনে অনেক বড় হতে পারে এবং সমাজের বুকে তার ভালো কাজের জন্য মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। আসলে পিতা মাতা যতই খারাপ হোক না কেন সেই পিতা-মাতা তার সন্তানের সব সময় মঙ্গল চায়। কারণ একজন পাপী লোক জানে যে সে জীবনে কতটা পাপ করেছে। আর এই পাপের ফলে তাদের জীবনে কতটা অভিশপ্ত জীবন কাটাতে হবে সেটি যেন তার সন্তানেরা না কাটায়।
আসলে হিংস্রতা শব্দটা কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি ভয়ংকর হয়ে আসে। অর্থাৎ একজন মানুষ একজন মানুষকে খুন করে। কিন্তু একজন একজন মানুষকে যে কতটা নিষ্ঠুরভাবে খুন করতে পারে তা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে সেখানে হিংস্র শব্দটা একদম সাদাসিধে হয়ে যায়। অর্থাৎ মানুষ যে কতটা হিংস্র তার কর্মকাণ্ড দেখলে আমরা সবসময় বুঝতে পারি। আমরা প্রতিদিনই তো দেখি যে একটা মানুষ একটা মানুষকে কিভাবে দিন রাত অত্যাচার করে। এছাড়াও যারা সমাজের গরিব লোক রয়েছে তারা কিন্তু প্রতিনিয়ত এই উচ্চ বৃত্তশালী লোকের দ্বারা প্রতিদিন বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হয়। আর যদি তারা মনের অজান্তে কোন ভুল কাজ করে ফেলে তাহলে তো তার শাস্তি যে কতটা কঠিন সেটি একমাত্র যে ওই শাস্তিটা পেয়ে থাকে সেই একমাত্র বুঝতে পারে। আসলে মানুষের মনে এখন আর সেই দয়ামায়া নেই। আসলে দয়ামায়া শব্দটি আমাদের সমাজ থেকে দিন দিন উঠে যাচ্ছে।
মানুষ এখন স্বার্থপর হয়ে গেছে। স্বার্থ ছাড়া মানুষ এখনো একবিন্দুও অন্যের উপকার করে না। আর মানুষ যেখানে স্বার্থ দেখে সেখান থেকে মানুষ আর পিছুপা হয় না। একটা মানুষ ততক্ষণই আপনার কাছে থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত তার স্বার্থসিদ্ধি লাভ না হয়। আর মানুষটি তখনই সরে যাবে যখন মানুষটির স্বার্থসিদ্ধি হয়ে যায়। এছাড়াও মানুষ মানুষকে যে সাহায্য করবে সেটিরও কোন উপায় নেই। কারণ কার মনে যে কি ধরনের মনোভাব রয়েছে তা মানুষ কখনোই বুঝতে পারে না। যদি কারো মনে খারাপ মনোভাব থেকে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিটি একমাত্র জানতে পারবে। বাইরের কোন লোক সেই মনোভাব সম্পর্কে জানতে পারবে না। আর প্রায় মানুষই একে অন্যকে সাহায্য করে স্বার্থের জন্য। আর স্বার্থ শেষ হয়ে গেলে সে মানুষটি সেই মানুষটিকে হত্যা করতেও পিছুপা হয় না।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়ার লেখার সাথে আমিও একম। আসলেই মানুষের চাইতে হিংস্র আর কোন কিছুই নেই মানুষ যেমন সৃষ্টির সেরা তেমনি সৃষ্টির নিকৃষ্ট হতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কথাটা একেবারে ঠিক দাদা। মানুষের হিংস্রতা পশুর হিংস্রাকেও হার মানিয়ে দিতে পারে এবং দেয়। দিনে দিনে মানুষের মনুষ্যত্ব মানবিকতা সহানুভূতি এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সবাই নিজের স্বার্থ নিয়ে পড়ে আছে। আর এই স্বার্থ হাসিল করতে গিয়েই মানুষ তার হিংস্রতার পরিচয় টা দেয়। মাঝে মাঝে মানুষ তার স্বার্থের জন্য সাধারণ চিন্তাশক্তিও হারিয়ে ফেলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন দাদা মানুষ সব থেকে হিংস্র জীব।কথায় আছে বাঘের আড়ি থেকে বাঁচা যায় কিন্তু মানুষের আড়ি থেকে নাকি বাঁচা সম্ভব নয়। আসলেই তাই মানুষ চাহিদা এতো পরিমাণ বেড়ে গেছে যে মানুষ মানুষকে খুন করে হলোও নিজের উচ্চাকাঙ্খা গুলো নিজের চাহিদা গুলো মেটাতে ব্যাস্ত।নিজের সামর্থ ছার মানুষ কিছুই বোঝে না বর্তমানে।আগের যগে মানুষের চাহিদা সীমিত ছিলো তাই কেউ কাউকে বিপদে ফেলতো না বরং বিপদে এগিয়ে আসতো।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর কথা গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit