মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলাম।

in hive-129948 •  4 months ago 

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটা বিপদের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।


image.png



সোর্স

আসলে আজ আমি আমার জীবনের একটা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে এই ঘটনাটি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটা মর্মান্তিক ঘটনা। আসলে ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক জিনিসপত্রের উপরে আমার একটু গবেষণা করার চিন্তা ভাবনা থাকতো। তাই কোন ধরনের জিনিসপত্র যদি নষ্ট হয়ে যেত তাহলে সেগুলো আমি প্রথমে খুলে সেই জিনিসটি নিয়ে গবেষণা করতাম। যদিও ইলেকট্রিক জিনিসের উপরে আমার একটু জ্ঞান ছিল আগে থেকেই। এছাড়াও বাড়ির কোন ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি যদি নষ্ট হয়ে যেত তাহলে তা আমি প্রথমে চেষ্টা করতাম ঠিক করার জন্য। আসলে এই ব্যাপারটি আমি একটু লুকিয়ে করতাম। যেহেতু মা-বাবা যদি ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে দেখতো তাহলে তারা আমার উপরে রাগ করত।


আর এজন্য আমি সবসময় একটু লুকিয়ে লুকিয়ে এসব ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি সারার চেষ্টা করতাম। আসলে আপনারা সবাই তো মাল্টিপ্লাগ চেনেন। আর আগে মাল্টিপ্লাগের একটা ছোট বাল্ব থাকতো। কেননা কারেন্ট আছে কি নেই তা বোঝার জন্য এই ছোট বাল্বটি থাকতো। আসলে হঠাৎ করে একদিন একটা মাল্টিপ্লাগের বাল্ব নষ্ট হয়ে গেল। তাই আমি প্রথম নিজে চেষ্টা করলাম জিনিসটা ঠিক করার জন্য। যেহেতু মান্টিপ্লাকটির লাইন মূল বোর্ডের সাথে দেওয়া ছিল। কিন্তু একটা জিনিস আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে সেই বোর্ড থেকে কারেন্ট অফ করার জন্য। অর্থাৎ কারেন্টের লাইনের সুইচটি কখনো অন ছিল। যেহেতু আমার ওইদিকে কোন খেয়াল ছিল না তাই আমি এক মনে মাল্টিপ্লাগটি চলতে চেষ্টা করলাম। আর এই ধরনের ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি খোলার জন্য আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভার ছিল।


যখন আমি ইলেকট্রিক মাল্টিপ্লাগটি খুললাম তখন দেখতে পেলাম যে বাল্বটি পুড়ে গেছে। কিন্তু তখন আমারও খেয়াল ছিল না যে ওই মাল্টিপ্লাগ এখনও কারেন্ট রয়েছে। তাই আমি যখন সেই বাল্বের গোড়ায় হাত দিলাম তখন আমাকে হঠাৎ করে কারেন্টে ধরে বসলো। আসলে কারেন্টের ধরার অনুভূতিটা আমার কাছে একটা অন্যরকম ছিল। একদিক থেকে যেহেতু আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ইলেকট্রিক মাল্টিপ্লাগটি ঠিক করছিলাম। আর আমার কাছে তখন কেউ ছিলনা। তখন হঠাৎ করে যখন আমাকে কারেন্টে ধরে বসলো তখন সেই মুহূর্তের পুরো ঘটনাটি আমার মনে ছিল। তখন আমি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। আর আমার জোর ছিল না যে আমি সেই কারেন্টের থেকে নিজেকে মুক্ত করব। আসলে তখন আমি একটু বুদ্ধি করে জোরে একটা ঝাঁকা দেওয়ার চেষ্টা করলাম।


আসলে সেই মুহূর্তে আমার সেই বুদ্ধিটি কাজে লাগলো। অর্থাৎ আমি সেই কারেন্টের মাল্টিপ্লাগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সম্ভব হলাম। আসলে তার কিছুক্ষণ আমি অচেতন হয়ে গেলাম। প্রায় তিন থেকে চার মিনিট পর আমার হুশ ফিরল। তখন আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম যে আজকে যদি কারেন্ট আমাকে না ছাড়তো তাহলে হয়তো আমার মৃত্যু হতো। আসলে এই ঘটনাটি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া অন্যতম একটা মর্মান্তিক ঘটনা। যার ফলে আমার মৃত্যুও হতে পারতো। আসলে ভগবানের অশেষ কৃপায় আমি সে বারের মতো বেঁচে গেলাম। তাই সব সময় আপনাদের বলি যে আপনারা যখন কোন ইলেকট্রিক জিনিস নিয়ে গবেষণা করবেন অথবা ঘাটাঘাটি করবেন তখন সেই জিনিস এই ইলেকট্রিক আছে কিনা তা প্রথমে লক্ষ্য করবেন। আর সেটি যদি আপনি না পারেন তাহলে কোন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে সেই জিনিসটি ঠিক করার চেষ্টা করবেন।



আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।



সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।



11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। আমার ভাষা হলো বাংলা। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

কি ভয়ংকর পরিস্থিতির সমূখীন হয়েছিলেন দাদা।লুকিয়ে মাল্টিপ্লাগ ঠিক করতে গিয়ে কারেন্ট সর্ট খেয়েছেন।অনেক বড়ো বিপদ হতে পারতো।আমিও কয়েক বার কারেন্ট সর্ট করেছিলাম ভয়ংকর অনুভূতি। সত্যি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় বেঁচেছেন। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।