কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো কিছুদিন যাবত খুব বোরিং সময় কাটছিল। কি করবো কি করবো বুঝতে না পেরে ভাই বোনকে বললাম চল কোথাও গিয়ে একটু ঘুরে আসা যাক। তখন আমি ঢাকাতেই ছিলাম। আসলে আমি ঢাকার যে অংশটিতে ছিলাম সেটি একদম চিড়িয়াখানার পাশে। আসলে এই জায়গাটাতে বোঝাই যায় না যে আমি ঢাকার ভিতরে রয়েছি। কারণ এটা একটা কলনি ছিল। এই কলোনির চারিদিকে গাছপালা একদম ভর্তি ছিল এবং কোন ধরনের যানবাহনের আওয়াজও ছিল না এই কলোনিতে।
তখন ভাই আমাকে বলল যে চলো দাদা আমরা একটা পার্কে ঘুরে আসি। পার্কটি ঢাকা থেকে খুব দূরে। তো আমি বললাম দূরে হলে কোন সমস্যা নেই। পার্কটি ভালো কিনা শুধু তাই জানতে চাইলাম। ও তখন পার্ক সম্পর্কে সবকিছু আমার বিস্তারিত বলল। এই পার্কের ভিতরেও নাকি একটি ওয়াটার পার্ক রয়েছে। সময়টা তখন একটু গরম থাকার কারণে আমি এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম।
আমার সাথে আমার দুই বোন এবং ওই ভাইটি যোগ দিল। আসলে ওরা খুব এক্সাইটেড ছিল। কারণ আমি ওদের আবদার পূরণ করেছি। যাইহোক আমরা নির্দিষ্ট একটি দিন ঠিক করলাম এবং একটি গাড়ি ভাড়া করলাম। আসলে বাংলাদেশের গাড়ি ভাড়াটা একটু বেশি। তো আমরা একটা নির্দিষ্ট দিন দেখে বেরিয়ে পড়লাম ওই পার্কের উদ্দেশ্যে।
পার্কটির নাম হল ড্রিম হলিডে পার্ক। আসলে এই পার্কটি ঢাকা থেকে অনেকটা দূরে। আমরা অবশ্য আসার আগে কিছু এক্সট্রা জামা কাপড়ও নিয়ে এসেছিলাম। কারন আমরা ওয়াটার পার্কে যাব। আসলে পার্কটি বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত সেই নামটি আমি ভুলে গেছি। তোমাদের কারো জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্টে আমাকে জানাবেন।
প্রথমেই আমরা গাড়ি থেকে নেমে কিছু ছবি তুলে নিলাম পার্কের সামনে। আমাদের সাথে আমাদের পিসি এসেছিলেন। যাইহোক দেরি না করে পার্কে টিকিট কেটে নিলাম। টিকিটের মূল্যটা একটু বেশিই ছিল। যাইহোক টিকিট কাটা শেষে আমরা আস্তে আস্তে ভিতরে প্রবেশ করলাম।
পার্কে এসে অবশ্য আমার নিজের তেমন কোনো ছবি তুলতে পারিনি। সবই আমার গিন্নি, ভাই, বোন আর পিসির ছবি তুলতে তুলতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম। শুধু আমাকে ওরা বলে দাদা তুমি তো ভালো ফটোগ্রাফার তাই আমাদের ভালো ভালো কিছু ছবি তুলে দিয়ে যাও। তাই এদের ছবি তুলতে তুলতে আমি নিজেদের ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে একটু ফাঁকা হলে আমরা নিজেরা একটা সেলফি নিয়ে নিলাম।
তো আমরা আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত ওয়াটার পার্কের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন। কারণ আমাদের ওয়াটার পার্কটাই প্রধান ছিল। ওয়াটার পার্কের ভিতর প্রবেশ করে প্রথমে সবাই আমরা একটা সেলফি নিয়ে নিলাম এবং আমরা দুজনে মিলেও একটা সেলফি নিলাম। এরপর আমরা আমাদের ড্রেস চেঞ্জ করে ওয়াটার পার্কে চলে আসলাম।
আসলে আমরা সবাই মিলে খুব আনন্দ করছিলাম। আর এখানেও বিভিন্ন ধরনের রাইড ছিল। আমরা সবাই খুব খুশি ছিলাম। বিশেষ করে আমার ভাই-বোনেরা আরো বেশি খুশি ছিল। কিছুক্ষণ পর আমি ওদের বললাম তোদের ছবি এত তুলে দিলাম কিন্তু তোরা আমাদের একটাও ছবি তুলে দিলি না। যাইহোক ভাই আমাদের একটা ছবি তুলে দিতে সক্ষম হল।
অনেক আনন্দ করার পর কিছুক্ষণ পর এনাউন্স হল ওয়াটার পার্ক বন্ধ হয়ে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যে। তাই আমরা আস্তে আস্তে সবাই ড্রেসিংরুমে গিয়ে নিজেদের জামা কাপড় চেঞ্জ করে নিলাম। কারণ পার্কটি অনেক বড় ছিল। আরো অনেক কিছু দেখার ছিল এই পার্কে। তাই আমরা সময় নষ্ট করলাম না। দ্রুত ড্রেস চেঞ্জ করে ওয়াটার পার্কের বাইরে চলে আসলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 17/10/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাংলাদেশ ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব আজ আপনি আমাদের মাঝে একের পর এক শেয়ার করে চলেছেন। আপনার এই সুন্দর ভ্রমণ পর্ব গুলো দেখে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি এবং বুঝতে পেরেছি। আর আপনাদের মনের মধ্যে ভালো লাগাগুলো যে শেয়ার করেছেন তা সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করতে পেরেছি সমস্ত পোস্ট থেকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit