কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে প্রথম প্যান্ডেলে এত বেশি ভিড় হয়েছে যাতে বারবার আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি আজকের রাত্রে এই পূজা মন্ডপ পুরোপুরি দেখতে পারবো না। কিন্তু একটা জিনিস বারবার আমার সাথে হচ্ছিল যে আমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তেমন কোন একটা জোর লাগাতে হচ্ছিল না। কেননা পিছনের লোকগুলো যেভাবে আমাদের ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে দিচ্ছিল এতে করে খুব আরাম লাগছিল। আসলে এরপরে যখন আমরা একদম প্যান্ডেলের মুখের কাছে চলে এলাম তখন একটা জিনিস দেখে অবাক হলাম যে এই পুরো প্যান্ডেলটি চারিদিকের কারুকার্য বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট সামুদ্রিক শামুক এবং ঝিনুক দিয়ে করা হয়েছে। আসলে এই সামুদ্রিক শামুক এবং ঝিনুক দিয়ে এত নিখুঁতভাবে তারা কাজটি করেছে যা আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
এছাড়াও কিছু কিছু অভদ্র ধরনের লোক এই প্যান্ডেলের গায়ে হাত দিচ্ছিল। যদিও প্যান্ডেলে যায় লেখা রয়েছে যে প্যান্ডেলের কোন অংশে আপনারা হাত দেবেন না। কেননা এই জিনিসগুলো অতি সূক্ষ্মভাবে বিভিন্ন শিল্পীরা সাজিয়েছেন এবং বারবার হাত দেওয়ার ফলে কিন্তু এই ঝিনুক গুলো দেওয়াল থেকে খুলে যেতে পারে। আসলে মানুষের কৌতূহলের কোন শেষ নেই। এরপর আরেকটু ভিতরে যখন গেলাম তখন দেয়ালের ভিতরের কারুকার্য আরো বেশি বাড়তে শুরু করল। কেননা সেখানে বিভিন্ন ধরনের দেবদেবীর মূর্তি এই ঝিনুক এবং শামুক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই প্যান্ডেলটি দেখে মনে হচ্ছে যে এ বছর এই প্যান্ডেলের কমিটির সদস্য গুলো এই প্যান্ডেলের জন্য অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন।
অর্থাৎ প্যান্ডেলের ভিতরে চারিদিকের পুরো অংশটা এই ছোট ছোট শামুক এবং ঝিনুক দিয়ে তৈরি। তাই আমি চারিদিকের ছবিটা কষ্ট করে তোলার চেষ্টা করলাম। কেননা পিছনের মানুষগুলো একদম চেপে আমাদের সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। আসলে একটা পুজো দেখতে যে এত মানুষের ভিড় হবে তা যদি আগে জানতে পারতাম তাহলে হয়তোবা এই পুজো একদম সবশেষে দেখার চেষ্টা করতাম। যাই হোক যেহেতু এতক্ষণ কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়েছে তাই এর পুরো শেষ দেখেই আমি ছাড়বো। তাইতো জোর করে পিছনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করলাম এবং ধৈর্য ধরে ছবিগুলো তোলার চেষ্টা করলাম। যদিও আমি অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম কিন্তু মানুষের ধাক্কায় সেই ছবিগুলো ঠিকঠাক ভাবে আমি কখনো তুলতে পারিনি।
এরপর যখন আমরা ভেতরের দিকে ঢুকলাম তখন কিন্তু আমরা দেব দেবীর কোন ছবি তুলতে পারলাম না। কেননা এখানে দুর্গা মায়ের যে মূর্তি করা হয়েছে এবং এই মূর্তির পুরো শরীর একদম সোনায় ভর্তি ছিল। আসলে এত সোনা আমি একসাথে এর আগে কখনো দেখিনি। অর্থাৎ দুর্গা মায়ের পাশে যে সব দেবদেবীরা রয়েছেন তাদের পুরো শরীরটাও কিন্তু সোনা দিয়ে মোরা। এই সোনা দেখে মনে হচ্ছে যে এখানে কয়েক কোটি টাকার সোনা দিয়ে এই মায়ের মুখ খানি এবং সারা শরীর ঢেকে রাখা হয়েছে। আর এজন্য অতিরিক্ত সিকিউরিটির কারণে আমাদের প্যান্ডেলের ভিতরের মায়ের মূর্তির ছবি আর তুলতে দেওয়া হচ্ছিল না। অনেকে চেষ্টা করছিল কিন্তু পুলিশেরা লাঠি দিয়ে তাদের ক্যামেরাগুলোর নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। তাই তাড়াহুড়ো করে আমাদের মায়ের মুখটা দেখা শেষে আমরা প্যান্ডেল থেকে বের হয়ে গেলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লুমিনাস ক্লাবের এই যে মন্ডপ, তা এক কথায় অসাধারণ। অসাধারণ একটি কারুকার্য করা মন্ডপের ছবি আপনি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। শামুক ও ঝিনুক দিয়ে তারা ভীষণ সুন্দর করে তাদের কাজ ফুটিয়ে তুলেছে মন্ডপের গায়ে। অসময়ে দুর্গা পূজার ছবি দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনার পোস্ট সেই কথাই মনে করালো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit