কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ হারিয়ে যাই শৈশব স্মৃতি সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
এই পৃথিবীতে আমরা বর্তমান সময়ে যে সময়টা কাটাচ্ছি তা আমাদের কাছে মাঝে মাঝে বড়ই কষ্টকর মনে হয়। আসলে আমরা যখন ছোটবেলায় ভাবতাম যে আমরা কবে বড় হব। কিন্তু সেই ভাবনাটা আজ আমাদের কাছে এখন উল্টো মনে হয়। অর্থাৎ এখন মনে হয় যে আমরা যদি আবার পুনরায় আমাদের শৈশবকালে ফিরে যেতে পারতাম। মাঝে মাঝে আমাদের অনেকটা পাগলের মতো মনে হয়। কেননা আমরা মাঝে মাঝে পাগলের মত শৈশবকালের স্মৃতিগুলো ভেবে মুচকি হাঁসি। আসলে শৈশব কালের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আমাদের সবার খুব খারাপ লাগে। কেননা সেই সময়টা আমাদের এই পৃথিবী সম্পর্কে তেমন কোন চিন্তা ভাবনা কখনোই ছিল না। সব সময় আমরা চারিদিকে ঘুরে ফিরে বেড়াতাম এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে বিভিন্ন ধরনের খেলায় মজে থাকতাম।
আসলে সেসব কালের স্মৃতিগুলো যখন আমাদের মনে পড়ে তখন একদিক থেকে যেমন আমাদের ভালো লাগে তেমনি অন্য দিক থেকে আমাদের কষ্ট লাগে। কেননা এই শৈশবকালে আমাদের এই পৃথিবীর কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে আমাদের তখন পরিচয় ঘটেনি এবং আমরা আনন্দের সহিত সবাই টেনশন ছাড়া ঘোরাফেরা করতাম। কিন্তু এখন আপনি যতই আনন্দ উপভোগ করতে যান না কেন আপনার মনের ভিতর কিন্তু একটা জিনিস সব সময় বেজে উঠবে সেটি হল টেনশন। কেননা এখন বাস্তব জীবনটা এতটাই আমাদের সামনে চলে এসেছে যে এই বাস্তব জীবনের থেকে আমরা নিজেদেরকে বের করে কখনো একটু আনন্দ উপভোগ করতে পারি না। আসলে শৈশবকালের স্মৃতি যতই খারাপ হোক না কেন সেই স্মৃতি কখনো ভুলে থাকা যায় না।
একটা জিনিস কিছু কিছু মানুষদের ক্ষেত্রে আবার উল্টো হতে পারে। কেননা কিছু কিছু মানুষের জীবনের পুরোনো স্মৃতি যে তারা যদি ফিরে যায় তখন তাদের সেই স্মৃতির কথা মনে করে কষ্ট লাগে। কেননা তাদের শীর্ষক স্মৃতিটা ছিল কষ্টের মধ্যে। আসলে এই পৃথিবীতে সবার শৈশব স্মৃতি একই রকম হবে এমন কোন কথা নেই। সবাই চেষ্টা করে এই পৃথিবীতে একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং মানুষকে ভালোবাসার জন্য। কিন্তু যারা অভাবে পরিবারে জন্মগ্রহণ করে তাদের শৈশব স্মৃতিটা কখনোই ভালো থাকে না। অর্থাৎ তাদের শৈশবটা কেটে যায় অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে। আর এর ফাঁকে তারা তাদের নিজেদের জীবনটাকে তেমন একটা বেশি উপভোগ করতে পারেন না। কেননা তাদের পিতা-মাতা তাদের খুব ছোটবেলায় অর্থ উপার্জনের জন্য বাইরে পাঠিয়ে দেয়।
আর একমাত্র সেইসব ব্যক্তিদের কষ্ট তারাই বুঝতে পারে। এজন্য আমাদের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে একটা জিনিস সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে জীবনটা যতই মধুর হোক না কেন বাস্তব জীবনের সঙ্গে যখন আমরা পরিচিত হবো তখন আমাদের কাছে এই জীবনের মূল অর্থটা ফুটে উঠবে। আর এই জন্য শৈশবকালের স্মৃতিগুলো আমাদের মনটাকে কেড়ে নিয়ে নেয়। আসলে আমরা যদি এমন হতো যে সবাই মিলে আবার আমাদের শৈশবকালে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কতটা ভালো হতো না। আসলে আমার মত আপনারাও চান যে আমরা সবাই মিলে যদি শৈশবকালে ফিরে যেতে পারতাম। আসলে সেই মা-বাবার ভালবাসা এবং মা-বাবার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সেই মজাটা আবারও ফিরে পেতাম। কিন্তু বর্তমানে প্রজন্ম এই শৈশবকে আর উপভোগ আমাদের মতো কখনোই করতে পারবে না।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শৈশবকালে ফিরে যাওয়ার এই প্রবল ইচ্ছে একটা সময়ের পর মানুষকে ভীষণ তাড়া করে বেড়ায়। কিন্তু জীবন যেন এক স্রোত। একবার এগিয়ে গেলে আর ফিরে আসার রাস্তা কই। আপনার এই পোষ্ট খুব প্রাসঙ্গিক এবং তীব্র মনে হল। প্রতিটি লাইনের সঙ্গে আমি সহমত। ছেলেবেলা আবার ফিরিয়ে দিলে যেন সেখানেই থেকে যেতে চাইতাম আজীবন। আসলে মানুষ যা হারিয়ে ফেলে তার প্রতি এক তীব্র টান অনুভব করে বরাবর। এ হলো মানুষের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি দাদা ঠিক বলেছেন। একসময় ছোট ছিলাম তখন আফসোস করতাম যে কবে বড় হবো। আর এখন আফসোস করে শৈশব টা কে নিয়ে। কিন্তু সেটা আর ফিরে আমরা পাব না। শৈশবের স্মৃতিটা কখনোই ভুলে যাবার না। মনে থেকে যায় আজীবন। চমৎকার লিখেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit