কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি মিলন মেলা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে আমরা এই মেলায় চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। তাই আমি এবার একটু জোর করে গিন্নিকে বললাম যে আমি আর বেশিক্ষণ এই মেলায় থাকতে চাই না। কেননা আমি এখনো কাজ করে ঘরের ভিতরে না ঢুকে তোমায় নিয়ে মেলায় ঘুরতে বেরিয়েছি। আসলে একটা জিনিসের কাছে আমি বারবার হার মেনে যাই কারণ আমি গিন্নীকে নিয়ে বেশি একটা বাইরে বের হওয়ার সময় মোটেও পাই না। তাইতো সে যখন কোথাও বাড়ির কাছে বের হতে চাই তখন আমি তাকে না বলতে কখনই পারি না। আসলে এজন্য আমি যতই রাগ করি না কেন আবার কিন্তু পুনরায় ঠিক হয়ে যায় সেই কথা মনে পড়লে। যাই হোক আমরা প্রায় সব গলি গুলো ঘুরে দেখা প্রায় কমপ্লিট হয়ে গেল। এখন আমরা লাস্ট গলিতে ঘুরতে এলাম।
কারণ এইটা দেখে আমরা একদম বাড়ির দিকে বের হব। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা অর্থাৎ মেলার ভিতরের রাস্তার যে অবস্থা তা কিন্তু ভীষণই খারাপ। তাইতো আমরা খুব সাবধানে এদিক-ওদিক তাকিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছিল। যদিও আমার পায়ে কাদা লেগে গিয়েছিল তাই আমি আর তেমন একটা বেশি বাড়ি যাওয়ার চিন্তা ভাবনায় খেয়াল করলাম না। তো যেহেতু আর একটু অপেক্ষা তাই ও যেহেতু বাকি দোকান গুলো দেখার চাচ্ছিল তাই আমি ওকে আর বারণ করলাম না। আর ওর কথা মতো আরেকটু সময় আমি অপেক্ষা করে রইলাম। এরপর যখন আমরা আরেকটা একই ধরনের মালা ও কানের দুলের দোকান দেখতে পেলাম। আসলে গিন্নি সব সময় চেষ্টা করে যে আলাদা ধরনের বিভিন্ন কানের দুলের কালেকশন করতে।
যেহেতু আর অল্প কয়েকটা দোকান আছে তাই কিন্তু আমি তার কথার সম্মতি দিয়ে সেই দোকানটাতে গেলাম এবং চারিদিক ঘুরে দেখতে শুরু করলাম। এরপর পাশের একটি দোকানে দেখতে পেলাম যে একটি বাচ্চা তার ঠাকুরমার সাথে বিভিন্ন দোকান ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেহেতু আমরা দোকানের এক পাশে বসে বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখছিলাম তাই অন্য পাশ থেকে ওরা বিভিন্ন ধরনের জিনিস ঘুরে ঘুরে দেখছিল। যাইহোক বাচ্চাটির একটি জিনিস পছন্দ হয়ে গেল এবং সে সেই জিনিসটি কেনার জন্য জেদ করতে চাইল। আসলে ছোটবেলায়ও কিন্তু আমরা আমাদের ঠাকুরমা এবং ঠাকুর দাদার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বায়না করতাম। আসলে তাদের এই কর্মকাণ্ড দেখে আমার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
এরপরে যে দোকান থেকে গেলাম এই দোকানটি হল এই মেলার সর্বশেষ ইমিটেশনের দোকান। তখন আমি একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কেননা এর পরে আর কোন দোকানে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না। যাইহোক আর একটু ধৈর্য ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম এবং চারিদিকের বিভিন্ন জিনিস আমি পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। যেহেতু অনেকগুলো জিনিস কেনা হয়ে গেছে তাই গিন্নির আর কেনার প্রতি তেমন একটা বিশেষ নজর দেখতে পাচ্ছি না। আসলে শুধুমাত্র ওর কিন্তু বিভিন্ন ধরনের জিনিস ঘুরে ঘুরে দেখতে ভালো লাগে। শুধুমাত্র আমার গিন্নির ক্ষেত্রে নয় মনে হয় সকল মেয়েদেরই বিভিন্ন দোকানের জিনিসপত্র ঘুরে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এরপরে আমি একটা জায়গায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম এবং যেখানে দাঁড়িয়ে রইলাম সেখানে কাঁদার পরিমাণটা অনেক কম ছিল। মেলার মাঝের দিকে একটু কাঁদার পরিমাণ বেশি থাকে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই সমস্ত মেলার দোকানগুলো আমার কাছে যে এত ভালোলাগে দাদা তা বলে বোঝাতে পারবো না আপনাকে। কারণ এখানে অনেক কিছু জিনিস বেচাকেনা হয়। যে সমস্ত জিনিসগুলো বাজারে সহজে পাওয়া যায় না কিন্তু এখানে খুব সহজে পাওয়া যায়। তাই এই সমস্ত মেলাগুলো আমি অনেক অনেক পছন্দ করি। আর সুযোগ পেলে আমিও আমাদের এলাকার ওয়াজ মাহফিলের মেলাগুলোতে উপস্থিত হই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit