রথযাত্রা। পর্ব :-০৩

in hive-129948 •  3 months ago 

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি রথযাত্রার সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


1000002266.jpg


আসলে অনেকক্ষণ ধরে ভাবছিলাম গিন্নি এখনও বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্সের দোকানে কেন যাচ্ছে না। আসলে তার কাছে বিভিন্ন ধরনের জিনিস আছে যা সে এর আগের দোকানগুলোতে ঘুরেছে। আসলে এমন কোন মেলা নেই যেখানে সে এই ধরনের কসমেটিকসের জিনিস না কেনে। আসলে তার বেশি পছন্দ হলো কানের দুল। মনে হয় যেন আমি বাড়িতে গিয়ে তার সব কানের দুল গুলো নিয়ে এসে কোন মেলায় একটা দোকান করে বসলে অন্যান্য দোকানে অপেক্ষা আমার কাছে অনেক ধরনের বেশি ভ্যারাইটি কানের দুল পাওয়া যাবে। আসলে এটি আমি মোটেও বানিয়ে কথা বলছি না। সত্যি বলতে কি আমি প্রায় প্রতিটা মেলাতে তাকে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় জোড়া কানের দুল কিনে দিতে বাধ্য হই।


1000002267.jpg


আসলে বাধ্য না হয়েও কোন উপায় নেই। তার পছন্দের কানের দুলটি যদি আমি কিনে না দিই তাহলে এর পরবর্তী আবহাওয়াটা পুরো চেঞ্জ হয়ে যায়। আসলে আমি তার আচার আচরণে এই সবগুলো টের পেয়ে যাই এবং সেই কানের দুলটি পুনরায় গিয়ে কিনে দিতে আমি বাধ্য থাকি। যাইহোক এক এক জন মানুষের এক এক ধরনের শখ থাকে। আর আমার গিন্নির শখ হল কানের দুল সংগ্রহ করা। আসলে এই ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচার যদি কোন উপায় থাকে তাহলে সবাই আমাকে একটু কমেন্টে জানাবেন। আসলে মেলায় সব থেকে বেশি বাচ্চাদের খেলনার দোকানগুলো দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের খেলনা থাকে। যাইহোক বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের খেলনা গুলোর সংখ্যা অনেক বেশি।


1000002268.jpg



আসলে এরপর চলে এলাম বিভিন্ন ধরনের সামগ্রিক একটা দোকানে। আসলে দোকানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। আসলে এই জিনিসগুলোর মধ্য থেকে আমি একটা বালিশের মত সামগ্রী আমার জন্য কিনে দিলাম। কেননা এটি সে বিছানার পাশে রেখে ঘুমাবে। আসলে এই জিনিসটি কেনার জন্য আমি একটু বেশি রাগ করলাম। আসলে এই জিনিসটা আমার কাছে সম্পূর্ণ একটা অপ্রয়োজনীয় জিনিস মনে হয়েছে এবং জিনিসটির দাম একটু তুলনামূলক আরও বেশি। যাই হোক পরবর্তী দেখতে পেলাম গিন্নির মুখে মেঘে ভরে গেছে। তাই আর দেরি না করে যে দাম হোক না কেন আমি তাকে সেই বালিশের মত জিনিসটি কিনে দিলাম। আবার দেখলাম যে হঠাৎ করে তার মুখে রোদের আভা ফিরে এসেছে।


1000002269.jpg

এরপর যে দোকান দিতে গেলাম সেখানে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর এই তুলা দিয়ে তৈরি করতে দেখলাম। আসলে এই ধরনের ব্যবসা কিন্তু একটা লাভজনক ব্যবসা। যেখানে ইনভেস্ট খুব কম কিন্তু উপার্জন অনেক বেশি। আসলে এই ধরনের নরম তুলার জাতীয় জিনিসগুলো বাচ্চাদের খুব পছন্দ হয়। যদি এখন প্রতিটা বাড়িতে এই ধরনের সামগ্রী তৈরি করার জন্য বাড়ির মহিলা সদস্যরা সব সময় কঠোর পরিশ্রম করে। আসলে আপনারা যে দোকানটি দেখতে পাচ্ছেন এই দোকানের প্রতিটা সামগ্রী একজন মহিলা তার বাড়িতে তৈরি করে। কেননা আমি এই জিনিস তৈরি পুরো বিবরণটা ওই দোকানদারের কাছে শুনেছিলাম।


1000002271.jpg


আসলে যত সময় যাচ্ছে ততই ভিড়ের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। কেননা আমরা যখন এসেছিলাম তখন তেমন এতটা বেশি লোক ছিল না। আর যত রাত বাড়ছে ততই মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে এই রথের মেলাতে বিভিন্ন ধরনের খেলনা জিনিসপত্র পাওয়া যায় এবং মানুষ যেহেতু তার ব্যস্ততার সময়ের মধ্যে একটু সময় বের করে তার পরিবারকে নিয়ে এই ধরনের মেলায় আসে। আরেকটা ব্যাপার হল এ বছর রথের মেলায় তেমন একটা বেশি বৃষ্টি হয়নি। আর এজন্য সবাই খুব আনন্দের সহিত এবারের মেলাটা খুব বেশি উপভোগ করেছে।


ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm



আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মেলায় তোলা ছবিগুলি অসাধারণ। ছেলেবেলা থেকেই রথের মেলার সাথে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। এ যেন এক নস্টালজিয়া। সাথে মেলায় ঘোরার বর্ণনা খুব ভালো লাগলো। রথের মেলা বাঙালীর মননের সাথে জড়িত। প্রতিবার রথে একবার মেলায় না গেলে যেন সম্পূর্ণ হয় না। আপনার রথের মেলা সিরিজ বেশ ভালো লাগছে।

বাসার বউদের এটা জন্মগত অধিকার, কোথাও ঘুরতে গেলে অবশ্যই কসমেটিক্সের দোকানে যাবেন এবং বেশ কিছু শপিং করবেন। এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই তবে যদি সেখানে না যায় সে ক্ষেত্রে আপনার মত অবাক হওয়াটা স্বাভাবিক, হাহাহা।

রথযাত্রা তৃতীয় পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। রথযাত্রায় গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন অনেক আনন্দ করেছেন সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে । অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন বিভিন্ন জীবজন্তু তুলা দিয়ে তৈরি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো।