দ্বিতীয় বর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমার অনুভূতি।

in hive-129948 •  last year 

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজকের পোস্টি আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।



end-3408301_1280.jpg

সোর্স



তো আগামীকাল আমার বাংলা ব্লগ এর দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান অর্থাৎ শেষ দিনের অনুষ্ঠান শেষ হলো। আসলে ভালো সময় খুব দ্রুতই কেটে যায়। আসলে এই তিন দিন আমার কাছে মনে হচ্ছিল কোন একটা অকেশন চলছে এই তিন দিনে। খুব ভালো লাগছিল এই তিনদিন। বেশ মজার ভিতর কাটছিল সময়টা। আসলে দেখতে দেখতে এই মজার সময়টা এত দ্রুত কেটে যাবে তা আমরা কখনো ভাবতে পারিনি।


আসলে এই তিন দিন আমারা সবাই খুব আনন্দে ছিলাম। প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটায় মনে হতো একটা অনুষ্ঠানের সময়। আমার কাছে তো মনে হয় এই তিনদিন পূজা অথবা ঈদ ছিল। আমার মনে হয় আমার মত সবার কাছে এই কটা দিন খুব আনন্দে কাটিয়েছিল। আসলে আমার কাছে এই তিন দিন খুব অল্প সময় মনে হয়েছে। এই কদিনে আমরা বিভিন্ন গান এবং কবিতার মাধ্যমে সবাই সবাইকে খুব আনন্দ দিতে পেরেছি।


আসলে দাদার দেওয়া টিপসগুলো আমরা মজা করে পাবার চেষ্টা করেছি সবাই। কেউ কেউ পেয়েছে আবার কেউ কেউ পায়নি। সবাই মেতে ছিলাম কথোপকথনে। বিভিন্ন ধরনের ইমোজি এবং রিয়াক্ট এর মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের অনুভূতি প্রকাশ করেছিলাম কমেন্ট সেকশনে।


আসলে তৃতীয় দিন এর অনুষ্ঠানটা আমার কাছে একটু ক্লান্ত তার ভিতরে কাটিয়েছে। কারণ সারাদিন আমি বাইরে কাজে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক কয়েক মিনিট আগে ঘরে এসেছিলাম। ঘরে এসেই সাথে সাথে আমি আমার ল্যাপটপটি ওপেন করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলাম। যদিও অনুষ্ঠান শুরুর পাঁচ মিনিট পর আমি জয়েন হলাম। আসলে প্রথমেই দাদা আমাদের এই অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য অনুমতি দিলেন। বরাবরের মতো প্রতিদিনই দাদা আমাদের এই অনুষ্ঠান চালানোর অনুমতি দিয়ে থাকেন।


এছাড়াও দাদা অনুষ্ঠান শুরুর প্রথমে বলেছিলেন যে আজ নাকি এডমিন এবং মডারেটরদের দাদা গান গাইয়েই ছাড়বেন। ব্যাপারটা শুনে আমার খুব ভালো লাগলো। যাইহোক একে একে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যরা গানে অংশগ্রহণ করলেন। আসলে আমার গান এবং কবিতা দুটোই দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন হয়েছিল। তাই আজকের দিনে অনুষ্ঠানে আমার কোন বিষয়ে নাম ছিল না।


আজ আমি একজন শ্রোতার মতো অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করেছিলাম। আসলে সকল ইউজারগণ তাদের গানের মাধ্যমে আজকের অনুষ্ঠানটি মাতিয়ে তুলেছিলেন। যদিও আজকের অনুষ্ঠানটি ছিল ডিজে পার্টির অনুষ্ঠান। কিন্তু কবিতা এবং গানের বিষয়ে লোকের সংখ্যা বেশি থাকায় আজকের দিনে কয়েকজন ইউজার গান গেয়েছিলেন। কারণ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের এই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়। আমি এদিকে গান শুনছিলাম এবং দাদার দেওয়া গিভওয়ে গুলো পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসেছিলাম। আসলে আমার মত সবাই দাদার এই পাওয়ার জন্য গিভওয়ে পাবার জন্য খুব এক্সাইটেড ছিল।

আজকের দিনে আজকের অনুষ্ঠানের পরিচালকদ্বয় বিভিন্ন ধরনের গানের মাধ্যমে আজকের অনুষ্ঠানটিকে আনন্দ মন্ডিত করে তুলেছিল। মাঝে মাঝে কখনো বিরহের গান আবার মাঝে মাঝে কখনো আনন্দ উল্লাসের গান আবার মাঝে মাঝে কখনো প্রেমের গান। আসলে অনুষ্ঠানটিতে মনে হচ্ছিল একই সময়ে যেমন গ্রীষ্ম ছিল তেমনি বর্ষা ছিল আবার শীত ছিল। কিছুক্ষণ বাদে আমি যারা গান বাজাচ্ছিল তাদের অনুরোধ করলাম টিন টিন বাবুর পছন্দের গান নাটু নাটু গানটি বাজানোর জন্য। কারণ টিন টিন বাবু গানটি অনেক পছন্দ করে। যাইহোক আমার কথা মত তারা গানটি কিছুক্ষণ পরে চালান।


আর এর মাঝে আমরা সবাই কথোপকথনের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানটিকে একটা নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলাম। যদিও আজ আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম। তাও আমি অনুষ্ঠানের কোন কিছুই একবারও মিস করিনি। কারণ আমার বাংলা ব্লগ এর কোন অনুষ্ঠান আমি কখনোই মিস করতে চাইনা।


তো গান শুনতে শুনতে আমরা অনুষ্ঠানের প্রায় শেষের দিকে চলে এলাম। আমার কাছে তো মনে হচ্ছিল অনুষ্ঠানটি কয়েক মিনিট আগে সবে শুরু হয়েছে এবং এক মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সত্যিই আনন্দের সময় খুব দ্রুত কেটে যায়। তো অনুষ্ঠান শেষের সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছিল কয়েক মিনিট আগে। তবুও অনুষ্ঠানটি এক্সট্রা সময় নিয়ে চলছিল।



এরপর চলে এলো আমাদের সবার প্রিয় দাদা কর্তৃক আয়োজিত গিভওয়ে। আসলে আমার পোড়া কপাল। আমার ভাগ্যে কি আর গিভওয়ে জোটে। বরাবরের মতো আজও দাদা চারটে গিভওয়ের আয়োজন করেছিলেন এবং আজকের দিনেও চারজন মহিলা এবং চারজন পুরুষ বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারও আমার কপালে কিছুই জুটলো না। কিন্তু এডমিন কর্তৃক আয়োজিত এয়ারড্রপ কনটেস্টে আমি একটাও মিস করলাম না। যদিও আজ এয়ারড্রপ এর সংখ্যা আগের দিনের থেকে বেশি ছিল।

এরপর আজকের দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেল। আসলে আমার কাছে মনে হচ্ছিল অনুষ্ঠানটি যদি প্রতিদিন হতো তাহলে আমাদের সবার খুব ভালো লাগতো। কারণ এই কটা দিন আমরা সবাই খুব আনন্দের ভিতরে কাটিয়েছিলাম। আসলে এই অনুষ্ঠানটি শেষ ঘোষণা হলেই আমার খুব কষ্ট লাগছিল। যাইহোক আবার অপেক্ষায় থাকবো তৃতীয় বার্ষিকী অনুষ্ঠানের জন্য।


আশাকরি কবিতাটি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।



তো দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার বাংলা ব্লগের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তৃতীয় দিনের অনুভূতি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে পেরেছি তা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। বর্ষপূর্তির মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আসলে আমার এখনো সেই উৎসবে রেস কাটেনি। সবের দিনে আমরা সবাই খুব মজা করেছিলাম।