কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে মিলন মেলার এক আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো যেহেতু আমাদের বাজার করা বাকি ছিল। তাই আমরা মেলা থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেরিয়ে এলাম বাজার করার জন্য। সুতরাং আমরা মোটরসাইকেলের ভিতর থেকে একটা বের করে বাজারের দিকে রওনা দিলাম। কিছু সবজি বাজার করলাম প্রথমে। তারপরে মাংসের দোকানের দিকে রওনা দিলাম। আসলে বিভিন্ন অসাধু ব্যক্তিদের কারণে বাজারে বিভিন্ন ধরনের দামের তারতম্য দেখা যায়।
কারণ আজ সকালে আমি ৳১৪০ টাকা কেজি দরে মাংস কিনেছিলাম। কিন্তু এখানে এই লোকটি ৳২০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করছে। আমি আর মেজাজ সামলাতে পারলাম না। লোকটিকে বললাম আপনারা কি ফাজলামি শুরু করেছেন। কেউ বিক্রি করে ৳১৪০ টাকায় আবার আপনি বিক্রি করছেন ৳200 টাকায়। আমার কথা শুনে পাশের কয়েকজন লোকও আমার সাথে প্রতিবাদ করা শুরু করল। যাইহোক আমি আর মাংস না কিনে পুনরায় মেলার দিকে চলে এলাম।
আমরা আবার পুনরায় যখন এসেছিলাম তখনও লোক সংখ্যা অনেক কম ছিল। তাই আমরা বিভিন্ন দিকটা খুব সুনিপুণভাবে ঘুরে দেখতে লাগলাম। আসলে আমরা দুজনই ফাঁকা মেলায় গোল দিতে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে মেলায় লোকের সংখ্যা খুব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেতে লাগলো। আর আমার গিন্নি বিভিন্ন ধরনের ইমিটেশনের দোকানগুলোই ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো।
এসব ধরনের ইমিটেশনের জিনিস তার ঘরে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কিন্তু তার সত্বেও সে এই ধরনের জিনিস আবার ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো। আসলে আমার একটু রাগ হয়। কারণ যে জিনিসগুলো ঘরে রয়েছে সেগুলো আবার ঘুরে ঘুরে দেখার কোন অর্থ নেই। শুধু আমার গিন্নিই নয় তার সকল মহিলারাই এই ধরনের ইমিটেশনের দোকানগুলোতে বেশি করে ভিড় জমায়। হয়তোবা আমার জানা নেই কিন্তু মেয়েরা একটা জিনিস কেনার আগে কমপক্ষে ১০০টা জিনিস ঘেটে দেখে।
আমার গিন্নি ও সে ক্ষেত্রে আলাদা নয়। সেও কোন জিনিস কেনার আগে অনেক ঘেঁটে ঘেঁটে একটা জিনিস কিনে নেয়। আসলে মাঝে মাঝে আমার এতটাই রাগ বেড়ে যায় যে আমি ওর দিকে রাগী চোখে তাকালে ও বুঝতে পারে যে ওর জিনিসটা করা আমার পছন্দ হচ্ছে না। যাইহোক কিছু জিনিস তাকে কিনে দিলাম আমি।
এরপর আমরা একটা খাবারের দোকানে গেলাম। আসলে এই খাবার টিম মেদিনীপুরের বিখ্যাত খাবার। এই খাবারটির নাম হল পাঁশকুড়ার চপ। এখানে বিভিন্ন ধরনের চপ পাওয়া যায়। যেমন ধরুন আমের চপ, পনির চপ, মোচার চপ, সয়াবিন চপ। আসলে এই দোকানের সব চপগুলোই নিরামিষের। যাইহোক আমি আর দেরি না করে এই চপের দোকানে ঢুকে পড়লাম।
আসলে আমরা দুই ধরনের দুটো আলাদা আলাদা চপ অর্ডার করলাম। আমি সোয়াবিনের চপ এবং আমার গিন্নি আমের চপ অর্ডার দিল। আসলে কোথাও খেতে গেলে আমরা দুজনে আলাদা আলাদা ধরনের খাবার অর্ডার করি। যাতে আমরা দুটো খাবারের স্বাদই পেয়ে থাকি। যাই হোক আমাদের অর্ডার করা মাত্রই লোকটি চপ ভাজতে আরম্ভ করল।
আমার একটা জিনিস ভালো লেগেছে যে এখানে অর্ডার করার পরই চপ ভাজা হয়। এনারা কোনো চপ আগে থেকে তৈরি করে রাখেন না। যাই হোক আমাদের চপটি ভাজা হয়ে গেল এবং দুজনকে দুটো চপ কাগজ উপরে দেয়া হলো। আসলে আমার চপটি খেতে খুব দারুণ ছিল। কিন্তু গিন্নির আমের চপটি তেমন একটা ভাল ছিল না। তাই সে তার নিজের চপটি খাওয়া বাদ রেখে সে আমার চপটির প্রতি লোভ দিল।
এরপর খাওয়া শেষ করে আমরা অন্য একটি খাবারের দোকানের দিকে যেতে লাগলাম। খাবার দোকানটিতে বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকার সত্বেও খাবারগুলো অস্বাস্থ্যকর ভাবে তৈরি করা হচ্ছিল এবং খাবারের দামও ছিল আকাশ ছোঁয়া। আসলে দাম যাই হোক না কেন কিন্তু খাবারের কোয়ালিটি যদি ভাল হয় তাহলে সে জিনিস খাওয়া যায়। কিন্তু একদিকে যেমন খাবারের কোয়ালিটি খারাপ এবং অন্য দিকের দাম বেশি তাই আমরা আর ওই দোকান থেকে কিছু কিনলাম না।
তো আমরা আবার অন্য একটা মিষ্টির দোকানে চলে গেলাম। মিষ্টির দোকানের সামনে আমরা গরম গরম পান্তুয়া দেখতে পেলাম। আসলে এই পান্তুয়া খেতে আমার খুব ভালো লাগে। এদিকে আমার গিন্নির পান্তুয়া খেতে মোটেও ভালো লাগেনা। তাই আমি দেরি না করে একটা পান্তুয়া কিনে নিলাম। কিন্তু এদিকে গিন্নিও আমার পান্তুয়া থেকে ভাগ বসাতে শুরু করল। যাইহোক তাকে দুই কামড় দিয়ে আমি দ্রুত পান্তুয়াটি ঠিক খাওয়া শেষ করে নিলাম।
এর কিছুক্ষণ পর প্রচুর লোকের আগমন দেখা দিল এবং ছোট ছোট বাচ্চারা নাচ করার জন্য তারা সুন্দর সুন্দর ড্রেস পরে মেলায় চলে এলো। এদিকে আমার গিন্নির তো নাচ দেখতে খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আর বাড়ির দিকে যেতে পারলাম না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই ছোট একটা অনুষ্ঠান দেখতে লাগলাম। আসলে অনুষ্ঠান ছোট হলেও এখানে বাচ্চাকাচ্চা গুলো খুব সুন্দর নাচ প্রদর্শন করছিল। এরপর অনুষ্ঠান শেষে আমরা বাড়ি চলে এলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 21/07/2023
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit