কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি মিলন মেলা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আজকে এমন একটা জিনিস আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি যেটি আপনার হয়তোবা ছোটবেলায় দেখেছেন। আসলে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন কিন্তু তেমন বিভিন্ন ধরনের কলম পেতাম না। আসলে বর্তমানের নরমাল কলমের মতো কলম দিয়ে ছোটবেলা আমরা লেখাপড়া করতাম। কিন্তু মাঝে একটা সময়ে লম্বা ধরনের একটা কলম বাজারে চলে এলো। অর্থাৎ কলমটি কিন্তু প্রায় এক হাতের মতো লম্বা ছিল। আসলে এই কলমটা তখন অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। আর এমন কোন ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রী ছিল না যাদের হাতে এই রকমের কলম একটিও দেখতে পাওয়া যেত না। যদিও তখন কলমের দাম ছিল প্রায় ১৫ টাকা। তাইতো বাড়িতে অনেক রাগারাগি করে এই টাকা জোগাড় করে এই ধরনের কলম কেনার জন্য আমরা বাজারে চলে যেতাম।
আর যখন আমরা বাজারে যেতাম তখন কিন্তু বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধব আমাদেরকে টাকা দিয়ে ওদের জন্য কলম কিনে আনতে বলতো। যাইহোক আমিও যখন বাজারে যেতাম তখন দেখতাম যে যে রং আমার বেশি পছন্দ সেই রং আমি কিনে নিতাম। আসলে আমি যে ধরনের রঙের কলম নিতাম সেই ধরনের কলম কিন্তু অন্যান্য বন্ধুদের জন্য নিতাম না। তাদের একটু আলাদা ধরনের নিতাম। কেননা আমি চাইতাম না যে আমার মত রংয়ের কলম আর কারো থাকুক। যাইহোক হঠাৎ একদিন স্কুলে শিক্ষকরা রেগে গেলেন আমাদের উপরে। অর্থাৎ পুরো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপরে রেগে গেলেন এই লম্বা কলম ব্যবহার করার জন্য। আর আস্তে আস্তে অভিযান চলল শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এই ধরনের কলম নিয়ে যাওয়ার জন্য। যাইহোক পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমি আগে থেকে এই কলম সরিয়ে রাখলাম।
আসলে মেলায় ঘুরতে গিয়ে এই ধরনের কলম যেহেতু এখন আর পাওয়া যায় না কিন্তু আপনারা ছবিতে যে ধরনের কলম দেখতে পাচ্ছেন সেই ধরনের কলম কিন্তু আমাদের সময় ছিল না। আসলে এই কলম গুলো দেখে আমার সেই শৈশবকালের কথা মনে পড়ে গেল যেটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যাইহোক আমি কলম গুলো প্রত্যেকটা হাতে নিয়ে ছবি তুলতে লাগলাম। তখন গিন্নি পাশ থেকে বলল যে কি করছি এই কলম গুলো নিয়ে। তখন আমি ওকে আমার পূর্বের ঘটনাটা সংক্ষেপে বললাম। আর বললাম যে আমি কি এই কলম গুলো বাড়িতে কিনে নিয়ে যাব। যাইহোক গিন্নির দিক থেকে উত্তর আসলো না। কারণ বাড়িতে জিনিসপত্রে ভর্তি রয়েছে তাই আর বাড়তি কোন জিনিস কিন্তু আমাকে বারণ করল। যাই হোক কলম গুলো ধরে একটু শৈশবকালের অনুভূতিটা নিতে চেষ্টা করলাম।
আর তার পাশে ছিল একটা বাচ্চাদের খেলনার দোকান। আসলে এই খেলনা দেখলে আমার বারবার ছোটবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছা। আর এখন ভাবি যে কেনইবা আমরা বড় হলাম। আসলে আমার এখনো শৈশব কালের কথা মনে আছে যে যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন ভাবতাম যে কবে আমরা বড় হবো এবং স্বাধীনভাবে চলাচল করবো। কিন্তু এখন বড় হয়ে ভাবি যে ছোটবেলাটাই অনেক বেশি আনন্দ ছিল। কেন যে বড় হতে গেলাম। আসলে আমার কাছে মনে হয় যে ছোটবেলার মত এমন শান্তির সময় আর কখনো হতে পারে না। একটা মানুষ যতই ধন সম্পত্তির মালিক হোক না কেন সে কিন্তু টাকা দিয়েও সেই ছোটবেলার আনন্দ কখনো ফিরিয়ে আনতে পারবে না। আসলে মনে হয় যেন বাচ্চার খেলনা দিয়ে ঘর ভর্তি করে ফেলি এবং সেখানে আমি বসবাস করি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মেলা ভ্রমন করতে আমি খুব পছন্দ করি ভাইয়া। ছোটবেলায় আমি অনেক মেলাতে গেছিলাম। আর এখন এ সমস্ত মেলাগুলো দেখলে সত্যিই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় এবং অনেক স্মৃতি মনে আসে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। যদি হয় সেটি আবার কোন মেলা তাহলে তো কোনো কথাই নেই।মেলায় ভ্রমন করলে বিভিন্ন জিনিসের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।আবার বেশ মজাদার খাবারও খাওয়া যায়। মেলায় যেতে আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ মেলায় গেলে যে কোন ধরনের ছোট বড় সকল জিনিসই পাওয়া যায়।নিজেদের দরকারি অনেক জিনিসপত্র কেনা যায়। আপনার মিলন মেলায় ঘুরে দারুন কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ সবাইকে।
💕, 💖, 🌈, 📸, 👏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit