কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের সবাই। আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করব। এই পর্বে আমার নতুন অনেক এক্সপেরিয়েন্স হল। তো আজকে আমি আমার এই নতুন এক্সপেরিয়েন্সের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
তরমুজ টমেটো।
তো কিছুক্ষণ পর জ্যেঠু এসে আমায় বললো, তুই বাড়ি গিয়ে জামাটা চেঞ্জ করে আয় কারণ টমেটো গাছের পাতায় নাকি খুব দাগ হয়। সত্যিই আমি হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আমার হাতে হালকা কালো রঙের দাগ হয়ে গেছে। তো পুনরায় আমি আবার বাড়িতে গিয়ে জামা চেঞ্জ করে আসলাম এবং জ্যেঠুর একটা লুঙ্গিও পড়ে আসলাম।
বস্তা ভর্তি টমেটো।
গাছে যে টমেটো পেকেছে তা যদি একদিনের বেশি থাকে তাহলে সেই টমেটোটি বেশি পেকে যায়। টমেটো বেশি পাকা হলে এই টমেটো পাইকারি দোকানদাররা কিনতে চায় না। তাই আজই সব পাকা টমেটোগুলো গাছ থেকে ছিঁড়তে হবে।
একটা টমেটো -ফি নিলাম।
তো সবাই মিলে আমরা টমেটো ছিঁড়তে লাগলাম। দেখতে দেখতে প্রায় দুপুর গড়িয়ে বিকাল হল। একটা গাছের টমেটো দেখলাম অনেকটা তরমুজের উপরের রং এর মতো। তো আমি জ্যেঠুকে জিজ্ঞাসা করলাম এই টমেটোটার কি নাম। তখন জ্যেঠু আমায় বলল এই টমেটোটির নাম হলো তরমুজ টমেটো।
হাতে টমেটো পাতার দাগ লেগে গেছে।
দেখতে দেখতে আমরা প্রায় ছয় বস্তা টমেটো তুলে ফেললাম। এখন এই টমেটো গুলো নিয়ে আমাদের বাজারে যেতে হবে বিক্রির জন্য।
পা ভর্তি কাদা।
তখন আমি জ্যেঠুকে বললাম আজ আমি টমেটো নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে যাব। জ্যেঠু বলল, ঠিক আছে যা আজ তোর একটা নতুন এক্সপেরিয়েন্স হবে।
টমেটো বোঝাই ভ্যানের উপরে বসে একটা সেলফি।
তো আমি আবার বাড়ি গিয়ে জামা চেঞ্জ করে চলে এলাম। এসে দেখি সমস্ত টমেটো একটা ভ্যানের উপর বোঝাই করে বাধা হয়ে গেছে। আমার বসার জায়গা না থাকায় আমি ওই টমেটো ভর্তি ভ্যানের উপর অর্থাৎ বস্তার উপর বসে পড়লাম। বাজারে যেতে যেতে আমাদের প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এল। সেদিন বাজারে গিয়ে দর কষাকষি করে ভালো দামেই টমেটো বিক্রি করলাম।
বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 20/12/2022
এদিকে আমার গিন্নি তো রেগে ফায়ার কারণ, আমি যাবার সময় আমার মোবাইল ফোনটি নিতে ভুলে গেছিলাম। আমার এত দেরি দেখে আমার গিন্নি খুব টেনশন করছিল।
যাইহোক টমেটো বিক্রি করে আমি পুনরায় বাড়িতে চলে আসলাম। এসেই গিন্নির বকুনি শুনলাম।
আমার এই ভালো দামে টমেটো বিক্রি দেখে জ্যেঠু খুব খুশি হলেন।
তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। তো দেখা হবে পরবর্তী পর্বে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনার বাংলাদেশ ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। ক্ষেতে গিয়ে আপনার জেঠুর সাথে টমেটো তুললেন।আপনার টমেটো বিক্রি করার নতুন অভিজ্ঞতা কেমন ছিল সেটা জানতে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ বাংলাদেশে এসে দাদা দেখছি একেবারে কৃষক হয়ে গিয়েছেন হা হা। প্রথমে ক্ষেত থেকে টমেটো তুললেন সেটা বাজারে গিয়ে বিক্রি করলেন বেশ চমৎকার। আপনার এই অভিজ্ঞতা টা ভালো ছিল। তবে শেষে গিন্নির বকুনি টাও কাঙ্ক্ষিত ছিল হা হা হা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit