কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আমার গিন্নির সাথে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো আমরা কেনাকাটা শেষ করে গঙ্গার পাড়ে একটু ঘুরে আবার পুনরায় আমাদের বাড়ির কাছের গঙ্গার ঘাটে যেতে লাগলাম। তো কিছুদূর যেতে না যেতেই আমার গিন্নির চোখে পড়ে গেল তার প্রিয় ফালুদা। আসলে তার ফালুদা খুব প্রিয় একটি খাবার। আমরা বাংলাদেশে গিয়ে ফালুদা খেয়েছিলাম কিন্তু আমাদের ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশের ফালুদাটা খুবই সুন্দর ছিল। আমার আবার ফালুদা এত প্রিয় নয়। আমার একটু ঠান্ডার সমস্যা আছে তাই আমি ঠান্ডা জাতীয় খাবার কম খাই।
তো ফালুদার দোকান দেখে গিন্নি আগের মত খাবার বায়না করলো। তো আমাদের বাইকটা এক পাশে রেখে আমরা ফালুদার দোকানে গিয়ে একটা বাটার স্কচ ফ্লেভারের ফালুদা অর্ডার করলাম। যাই হোক কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের ফালুদা রেডি করে দিলেন দোকানদার দাদা। আসলে কোন কিছু খাওয়ার আগে গিন্নি প্রথম আমাকে খাওয়ায় তারপর সে নিজে খায়। যাইহোক সে আমাকে এক চামচ ফালুদা দিয়ে সে পুরোটা খেয়ে নিল কারণ আমি ঠান্ডা জিনিস খাই না।
তো ফালুদা কে আমরা বেরিয়ে পড়লাম আমাদের বাড়ির কাছের গঙ্গার ঘাটে। আসলে এই গরমের সময় বহুলোক এই গঙ্গায় স্নান করতে আসেন। আমারও দেখে মনে হচ্ছিল আমিও যদি একটু গঙ্গায় স্নান করতে পারতাম। গঙ্গার পাড়ের পরিবেশটা একটা মনোরম আকার ধারণ করেছে।
তো বট গাছের ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে আমি একটা সেলফি তুলে নিলাম। বট গাছের ছায়া সত্যিই খুব ঠান্ডা হয়। বহুলোক আমাদের এই গঙ্গার ঘাটে এসে এই বট গাছের নিচে বসে একটু বিশ্রাম নেয়।
গঙ্গার পাশের ঘাটে দেয়ালে একটা বটগাছ খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠেছে। আসলে প্র্যাকটিকালি বোঝা যায় একটা গাছের শিকড় মাটির নিচে কিভাবে থাকে। বটগাছটি খুব ইউনিক টাইপ এর একটা বটগাছ। যাইহোক বট গাছটির ছবি আমি আমার ক্যামেরায় বন্দি করলাম।
আরেকটা বড় সমস্যা হল এই গঙ্গার ঘাটে বহু লোক ঠাকুর বিসর্জন দিতে আসেন। এই গঙ্গার ঘাটে একজন লোক সব সময় কর্মরত থাকেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য। গঙ্গায় যেসব ঠাকুর বিসর্জন দেয় সেসব ঠাকুরের ধ্বংসাবশেষ ওই লোকটি গঙ্গার পাড়ে এনে রাখেন।
আসলে গঙ্গার ভিতরে একটি চড়ও জমে গেছে। সেই চড়ে বেড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা। বহুলোক এই গঙ্গায় মাছ ধরেন। এই গঙ্গার মাঝের চড়টিতে গিয়ে লোকজন মাঝে মাঝে বিশ্রামও নেয়
তো আমরা আর বেশি দেরি না করে আবার পুনরায় বাড়ির দিকে রওনা হলাম। বাড়ির দিকে আসতে আসতে একটা বাড়িতে আমি দুটো সুন্দর ধরনের মুরগি দেখতে পেলাম। এই মুরগি আমি আগে কখনো দেখিনি এবং এর নামও আমি জানিনা।
বাড়িতে এসে ছাদে বসে একটু হাওয়া খাচ্ছিলাম। তো কিছুক্ষণ পর আমি মেঘের গর্জন শুনতে পেলাম। প্রথমে অনেকক্ষণ ধুলো ঝড় হয়েছিল। আর ধুলোয় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না চারিদিক। তখন আমি আমাদের ছাদের রুমে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম।
কিছুক্ষণ পর এই গরমের মাঝে বৃষ্টির দেখা পেলাম এবং চারিদিকের আবহাওয়া টা খুব ঠান্ডা হয়ে গেল। আমি আর দেরি না করে রুম থেকে বেরিয়ে আবার ছাদে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি উপভোগ করতে লাগলাম। কারণ এই গরমে দু ফোঁটা বৃষ্টি মানে আমাদের জন্য আশীর্বাদ।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 06/06/2023
তো সেদিন যেহেতু বৃষ্টি হয়েছিল। তাই আমার একটু মসলা জাতীয় খাবার খেতে খুব ইচ্ছে করছিল। তাই গিন্নিকে বললাম বাড়িতে কিছু মসলা জাতীয় খাবার তৈরি কর। যাইহোক গিন্নি এক কথায় সাথে সাথে না বলে দিল। মনের দুঃখে কষ্টে গিন্নিকে নিয়ে পাশের একটা দোকানে চলে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে চাওমিন অর্ডার করলাম। যাইহোক চাওমিন খেয়ে দুইজন আবার পুনরায় বাড়িতে চলে আসলাম। তো এই ছিল আমার ছুটির দিনের সারাদিনের প্ল্যান।
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি বেশ ভাল লাগল । গিন্নিকে নিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন দেখেই বুঝতে পারছি । প্রথমে গঙ্গার ঘাট সেখান থেকে আবার বাড়িতে ফিরে এলেন ।শেষমেষ বৃষ্টির দেখাও পেলেন । তারপর আবার গিন্নী কে নিয়ে বাইরে যেয়ে চাওমিন খেয়ে নিলেন । সবকিছু মিলিয়ে দারুন ছিল আপনার ঘোরাঘুরি । ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রিয় দাদা আপনার ইন্ডিয়ার থেকে আমাদের বাংলাদেশের ফালুদা বেশ সুন্দর ছিল, এটা জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। গঙ্গার পাশের ঘাটের দেয়ালে বেড়ে ওঠা বটগাছটি দেখতে আসলে খুবই সুন্দর লাগছে। আর প্রচন্ড গরমের মাঝে বৃষ্টির দেখা মিললে সত্যি মনটা এমনিতে আনন্দে নেচে ওঠে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনার গিন্নিকে নিয়ে ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন। আপনার গিন্নি যেমন ফালুদা খেতে পছন্দ করে তেমনি আমার কাছেও ফালুদা খেতে অনেক ভালো লাগে। এই গরমে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঠান্ডা ফালুদা খাওয়ার মজাই আলাদা। গঙ্গার ঘাটের সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। ঘুরাঘুরি শেষে বাসায় এসে আবার বৃষ্টির দেখা ও পেয়েছে। এত ঘোরাঘুরির পর আবার মসলা জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করছে। বাসায় তৈরি করে খেতে পারলেন না বলে বাহিরে চলে গেলাম দুইজনে চাওমিন খেতে। আপনার এই ঘোরাঘুরি সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া বাংলাদেশের ফালুদাটা সত্যিই অনেক সুস্বাদু। অনেক প্রকারের জিনিষ দিয়ে বানায় তাই খেতেও ভাল লাগে। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি সেই সাথে বর্ণনা দারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit