সোর্স


এই পৃথিবীতে জ্ঞান সবাই সবাইকে দিতে পারে। কিন্তু একটা ব্যক্তি যে কতটা জ্ঞানী সে একমাত্র নিজেই জানে। আসলে কিছু কিছু অল্প জ্ঞানী ব্যক্তি আছে যারা কিনা সব সময় চেষ্টা করে যে অন্যের কাছে তাদের জ্ঞান প্রকাশ করার জন্য এবং তারা মনে করে যাতে করে সে অনেক বেশি জ্ঞানী। কিন্তু একটা জিনিস আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যদি আপনার নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করতে চান তাহলে কিন্তু আপনার জ্ঞান শুধু শুধু অন্যের কাছে গিয়ে প্রচার করার কোন মানে নেই। আসলে যারা প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ তারা কিন্তু তাদের নিজেদের জ্ঞানকে বড়াই করে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে চায় না। কারো যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সেই ব্যক্তি তাদের কাছে গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করার জন্য বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান দিয়ে থাকে।


আসলে এই পৃথিবীতে এখন প্রকৃত জ্ঞানী লোকের সংখ্যা অনেক বেশি কমে গেছে। কেননা মানুষ এখন অল্প বিদ্যা নিয়ে সেই বিদ্যাকে নিয়ে তারা অনেক বেশি অহংকারী হয়ে ওঠে। একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে অল্প বিদ্যা কিন্তু ভয়ংকর। আসলে যারা অল্প জ্ঞান নিয়ে বিভিন্ন কিছু সমাধান করার চেষ্টা করে তারা কিন্তু জীবনে কখনো সেই জিনিসগুলো সমাধান করতে পারেনা। একটা সময় মানুষ যখন তাদের প্রকৃত জ্ঞানের কথা জেনে যায় তখন তাদেরকে আর কখনো ভালোবাসে না এবং সেসব মানুষের থেকে তারা সবসময় দূরে থাকার চেষ্টা করে। একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে আমরা যদি নিজেরা জ্ঞানী হতে পারি তাহলে আমরা মানুষকে জ্ঞানী করার জন্য অনুপ্রেরণা দিতে পারব।


আসলে বর্তমান সময়ে আমরা সব সময় এর উল্টোটা দেখতে পাই। কেননা মানুষ সবসময় চেষ্টা করে কি করে এই পৃথিবীতে অল্প জ্ঞান নিয়ে বেঁচে থাকা যায় এবং অল্প পরিশ্রম করে প্রচুর পরিমাণ অর্থের মালিক হওয়া যায়। একটা জিনিস আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে আমরা এই পৃথিবীতে যদি জ্ঞান অর্জন শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য করি তাহলে সেই জ্ঞানের কোন মূল্য নেই। অর্থাৎ মানুষকে সবসময় জ্ঞান আরোহন করতে হলে বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জানতে হবে। আসলে যে ব্যক্তি যত বেশি জানার ইচ্ছা রয়েছে সেই ব্যক্তি কিন্তু তত বেশি বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জ্ঞান আরোহন করতে পারে। আসলে কিছু কিছু বিষয়ে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যে এখন মূর্খ ব্যক্তিদের প্রাধান্য জ্ঞানী ব্যক্তিদের থেকে বেশি।


আসলে যে দেশ জ্ঞানী ব্যক্তিদের সঠিক কদর করতে পারে না তারা কখনো উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যদি নিজেদেরকে জ্ঞানী করে তুলতে পারি তাহলে অন্য একটা মানুষকে অবশ্যই জ্ঞান সঞ্চয়ের জন্য তাকে অনুপ্রেরণা যোগাতে পারি। আসলে একটা জিনিস আপনি সবসময় খেয়াল করে দেখেছেন যে আপনি যতটুক জ্ঞানী ঠিক ততটুক জ্ঞান কিন্তু আপনি আপনার সন্তানদেরকে দিতে পারবেন। এজন্য আপনি যদি আপনার সন্তানদেরকে বেশি জ্ঞানে শিক্ষিত করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে প্রথমে বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং সেই জ্ঞান আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার সব সময় চেষ্টা করতে হবে।

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।