কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। দেখতে দেখতে আজ আপনি আপনাদের সাথে আমার লেখা কবিতা পোস্ট করলাম । আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
এইতো কিছুদিন আগে দুর্গাপূজা গেল আবার তার মাঝে কালীপূজাও চলে এলো। আসলে এত উৎসবমুখর দিনে আমরা সবাই আনন্দ করি। এই আনন্দের দিনে আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করি। অনেকে আছে প্রয়োজন ছাড়া বিভিন্ন ধরনের অহেতুক জিনিস কেনাকাটা করে। কারণ তারা প্রচুর টাকার মালিক। এছাড়াও তারা বছরে প্রায় দুই থেকে চারবার নতুন জামা কাপড় কেনে। এমন অনেক লোক রয়েছে যারা প্রতি মাসেও নতুন জামা কাপড় কেনাকাটা করে। আসলে তারা টাকা পয়সা কিভাবে খরচ করবে তা বুঝে উঠতে পারে না। কিন্তু এই কালী পূজার সময় আমরা চারিদিকে দেখতে পাই যে বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি পোড়ানো হচ্ছে।
আসলে কালী পূজার সময় আমাদের এই ভারতবর্ষে কয়েক হাজার কোটি টাকার আতশবাজি কেনাবেচা হয়। যদিও মানুষ একটু সামান্য আনন্দের জন্য এত টাকা ব্যয় করে। কিন্তু তারা কখনোই হতদরিদ্র লোকদের সামান্য টুকু সাহায্য করে না। এছাড়া আমরা রাস্তার দু'ধারে বিভিন্ন ধরনের আলোর গেট দেখতে পাই। আসলে কালী পূজা হল দীপাবলি পূজা। এই সময় প্রায় সবাই তার বাড়ি বিভিন্ন ধরনের আলো দিয়ে সজ্জিত করে। এত আলোর মাঝেও সেই গরিব মানুষের ঘর অন্ধকারই থেকে যায়। কারণ তারা নিজেদের ঘরে আলো জ্বালানোর মত সামর্থ্য তাদের থাকে না।
কিন্তু সামান্য সেই রাস্তার আলো তাদের ঘরকে একটু হলেও আলোকিত করে দেয়। তাদের এই পূজার আনন্দ করার মতো সামর্থ্য তাদের থাকে না। আসলে শখ থাকে কিন্তু শখ পূরণের মতো অর্থ তাদের থাকেনা। এই গরিব শ্রেণীর লোকেদের বাচ্চা-কাচ্চারা রাস্তার দুপাশে বড়লোক বাচ্চাদের আতশবাজি পোড়ানো দেখে তাদেরও মন চায় একটু আতশবাজি পোড়ানোর জন্য। হয়তোবা তাদের আশা আশাই থেকে যায়। কারণ তাদের পিতা-মাতার আতশবাজি কেনার মত সামর্থ্য তাদের নেই। কারণ তাদের নিজেদের খাবার জোগাড়ের জন্য সামান্যটুকু অর্থ থাকে না তারা কি করে আতশবাজি কেনার মত পয়সা থাকবে তাদের কাছে।
এসব দেখলে আমাদের ভিতর অনেক লোক আছে যাদের মন কেঁদে ওঠে। তারাই এই পুজোর সময় বিভিন্ন গরিবদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও আমরা বড় বড় প্যান্ডেলগুলোতে দেখতে পাই যে তারা গরীবদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র বিতরণ করে। এছাড়াও অনেক বড় বড় পরিবার রয়েছে যারা শুধুমাত্র এই গরিবদের সাহায্যের জন্য তারা তাদের পুজোর আনন্দটুকু ত্যাগ করে দেয়। আসলে বিভিন্ন পূজা মন্ডপের এই বিতরণ অনুষ্ঠানটা কিন্তু খুবই ভালো একটা দিক। হয়তোবা এই গরিবরা তাদের নতুন পোশাক পেয়ে তারাও একটু পূজার আনন্দে মেতে ওঠে। তাইতো আমাদের সবার উচিত প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত টাকা ব্যয় না করে গরিবদের মাঝে অর্থ বিতরণ করা অথবা কোন সাহায্য করা অবশ্যই ভালো একটা দিক।
✠ গরিবের পূজার আনন্দ ✠
এই পুজোতে সবাই কত,
বিভিন্নভাবে টাকা করছে ব্যয়।
আনন্দের জন্য মানুষ এত,
করে সব সময় টাকার অপচয়।
কত ধরনের জামা কাপড়,
কেনে পুজোর সময় তারা।
এত জামা জীবনে তাদের,
হয় নাকো সবসময় আর পড়া।
বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মে,
টাকা উড়ায় ধনী মানুষের।
কারণ তাদের প্রচুর টাকা,
খরচ করার জায়গা না পায়।
রাস্তার পাশে গরিব মানুষের,
সব সময় বসে বসে ভাবে।
তাদের কবে সুদিন আসবে,
তারাও নতুন জামা কাপড় পাবে।
নানা রঙের বাতি জ্বলে,
রাস্তার দুই পাশ জুড়ে।
সেই আলোতে গরীবের জীবন,
দেখতে পাই আমরা সকলে।
গরিবের সন্তানেরা বসে দেখে,
আতশবাজি ধনীর সন্তানের হাতে।
তাদেরও একটুখানি মন চায়,
আতশবাজি জ্বালাবে কোন রাতে।
বড় বড় পূজা মণ্ডপের সামনে,
গরিব মায়ের কোলের সন্তান কাঁদে।
তা দেখে আর থাকতে পারিনা,
কবে তাদের সুদিন হবে।
এত টাকা দিয়ে মণ্ডপ হল,
তা দেখে গরিবরা ভাবে।
এই টাকার একটু অংশ পেলে,
দুঃখ কষ্ট সব মুছে যাবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা কবিতার নাম গরিবের পূজার আনন্দ আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটি লাইনের সাথে ছন্দের বেশ মিল রয়েছে। ঠিক বলেছেন দাদা আপনি গরীবের জীবন আলোতে বেশি ঝকঝক করে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit