রথযাত্রা। পর্ব :-০১

in hive-129948 •  3 months ago 

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি রথযাত্রার সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


1000002254.jpg


আজ আমাদের বাঙালি হিন্দুদের রথযাত্রা। আসলে পুরানে কথিত আছে যে, আষাঢ় মাসের শুক্লো দ্বিতীয়ায় বলরাম ও বোন সুভদ্রার সাথে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান জগন্নাথ। আসলে এই জগন্নাথের মাসির বাড়ির যাওয়ার জন্য এই রথ তৈরি করা হয়। আর যেদিন জগন্নাথ ঠাকুর মাসির বাড়ি থেকে পুনরায় নিজের বাড়ির দিকে চলে আসেন সেদিনকে আমরা উল্টোরথ বলি। আসলে আমরা হিন্দু বাঙালিরা প্রতিবছর এই রথযাত্রাকে খুব ধুমধাম করে পালন করি। আসলে প্রতিবছর রথযাত্রার দিনে বৃষ্টি হলেও এই বছর রথযাত্রার দিন কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিলনা। যদিও দুপুরের দিকে সামান্য একটু বৃষ্টি হয়েছিল। ভাবলাম যে এই বৃষ্টিটা প্রায় সারা রাত চলবে। কিন্তু দেখলাম যে আবহাওয়াটা পুরো উল্টো হয়ে গেল। অর্থাৎ অল্প বৃষ্টি হয়ে পুনরায় আকাশে ঝলমলিয়ে রোদের দেখা মিলল।


1000002255.jpg


যাইহোক মনটা তেমন আর ভালো ছিল না। কেননা আপনারা সবাই জানেন আমার বাংলা ব্লগের শোকের সংবাদটি। যাই হোক সকালবেলা ছুটির দিন থাকলেও দাদাদের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে করতে সময় কেটে গেল। তাই ভাবলাম যে কাজটা শেষ করে পুনরায় বাড়ি এসে একটু বিশ্রাম নেব। কিন্তু বাড়ি এসে দেখি যে গিন্নি রথের মেলায় যাওয়ার জন্য ড্রেস পড়ে রেডি হয়ে আছে। আসলে তখন আমার শরীরটা সত্যিই খুব ক্লান্ত ছিল। কেননা এত পরিশ্রম করার পরে ভাবলাম যে বাড়িতে এসে একটু ঘুমাবো তা হয়তোবা আর হলো না। যাই হোক আর দেরি না করে আমিও স্নান করে নতুন পোশাক পরে রথের মেলা দেখার জন্য বের হলাম।


1000002257.jpg


আসলে রাস্তাঘাট ভালো না থাকায় আমরা ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে সেই রথের মেলা দেখে গেলাম। যেহেতু এবছর আমি আর রথ টানতে পারিনি তাই সর্বপ্রথম সেই রথের কাছে গিয়ে প্রণাম করে দড়িটা ধরে হালকা একটু টান দেওয়ার চেষ্টা করলাম। যাইহোক দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করলাম। আর এরপর পাশের মন্দিরে জগন্নাথ দেবের মূর্তি দেখে সেখানে ভক্তিভরে প্রণাম করলাম। যেহেতু এই মন্দিরের সামনে প্রচুর লোক এসে ভিড় জমিয়েছে তাই আমি সেই মন্দিরের সামনে আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারলাম না। কারন আমার মত সবাই এসে মন্দিরের সামনে প্রণাম করছে এবং জগন্নাথ দেবের চরণধূলি নিচ্ছেন। তাই আমি কিছুক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে পুনরায় সাইডে সরে এসে জগন্নাথ দেবের মূর্তিটি দেখতে লাগলাম।


1000002259.jpg


আসলে যেহেতু আজকে রথের প্রথম দিন তাই প্রচুর পরিমাণে লোক এই রথযাত্রা দেখতে এখানে ভিড় জমিয়েছে। আসলে এই রথ যাত্রারটি যেখানে হয় সেই জায়গাটি রাস্তার পাশে। আর এর ফলে এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তেমন একটা বেশি চলাচল করতে পারছিল না। কেননা রাস্তার দুই পাশে পুলিশ গার্ড দিয়ে আটকে রেখেছে। আর এর ফলে চারিদিকে লোকজন আরাম-আয়েশে হেঁটে চলে বেড়াতে পারছে। যাইহোক আমরাও আস্তে আস্তে বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখতে শুরু করলাম। আসলে এইসব মেলায় বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখাটা আমার কাছে একটা সবথেকে বোরিং ব্যাপার। কেননা আমার কাছে সব থেকে কষ্টকর বিষয় এই বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে দেখার জন্য।


1000002260.jpg


আসলে পরবর্তীতে একটা দোকানের সামনে এসে হঠাৎ করে থেমে গেলাম। কেননা ওই দোকানের জিনিস গুলো দেখে আমার শৈশবকালের কথা মনে পড়ে গেল। কেননা আমরা আমাদের শৈশবকালে বিভিন্ন ধরনের মাটির তৈরি ব্যাংক দেখতে যেতাম। যেগুলো আমরা বাড়িতে কিনে এনে বাবা-মায়ের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে সেই ব্যাংক ভর্তি করতাম। যদিও আমরা প্রতিদিন যদি একটা একটা করে কয়েন সেই ব্যাংকে রাখি তাহলে বারবার সেই ব্যাংক ওজন করে দেখি যে সেই ব্যাংকটি ভরতে আর কত সময় লাগবে। আসলে এই মাটির ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের ফলমূল হাঁস আকৃতির তৈরি করা হয়। আসলে মনে হচ্ছিল যেন দোকানটি থেকে কিছু মাটির তৈরি ব্যাংক কিনে নিয়ে যাই। যাইহোক এখন তো বড় হয়ে গেছি তাই আর কিনতে পারলাম না। আসলে চেষ্টা করব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই ধরনের ব্যাংক বাড়িতে রাখার জন্য।


ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm



আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png