আজ বৃহঃস্পতিবার,
২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৬ই মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ,
৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরি।
আশা করি সকলে ভালোই আছেন।আমারও সময় বেশ দিব্যি কেটে যাচ্ছে। যদিও কিছুদিন বৃষ্টির স্বস্তিতে কাটানোর পর পুনরায় গরমের প্রভাব বাড়াতে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ ভালোই যাচ্ছে সবকিছু।
এখন ঘড়ির কাটার হিসেবে ২টা বেজে ২০ মিনিট। গভীর রাত বলা চলে। গরমের প্রভাব বাড়াতে ঘুম আসছিল না। হঠাৎ গরমের কথা মাথায় আসতেই কিছুদিন আগের আমার রাজশাহী ভ্রমণের কথা মনে পড়ে গেলো। মোটামুটি ভালোই সময় কেটেছিল পদ্মার পাড় আর রাজশাহী শহরটা ঘুরে।পুরো শহর ঘুরবার মতো ততটা সময় হাতে ছিল না বিধায় খুব বেশি জায়গায় যেতে পারিনি।
অনেকদিন হলো আপনাদের সাথে কোনো কিছু শেয়ার করা হয়ে উঠছে না।তো ভাবলাম এই ছোট্ট ভ্রমণটা শেয়ার করা যায়। ভ্রমণটা ছোট হলেও কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনায় স্মৃতিতে বেশ লম্বা সময় থাকবে বলে মনে হচ্ছে। সে যাই হোক, তবে শুরু করা যাক রাজশাহী ভ্রমণের কিছু কথা।
আজ থেকে বেশ কিছু দিন আগে পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলাম রাজশাহীতে। যদিও অনেকদিন ধরেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে রাজশাহী সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছিলাম। সেগুলো নিজ চোখে দেখার ইচ্ছেও বলা যেতে পারে।
প্রথমে গিয়েছিলাম রাজশাহী কলেজে। কলেজ না বলে এক প্রকার বিশ্ববিদ্যালয়ও বলা যেতে পারে। প্রথমে একটি ভবন দেখে ভেবেছিলাম কলেজটি হয়তো ছোট হবে।কিন্তু যেই না ভিতরে ঢুকলাম একের পর এক বিল্ডিং আর বিশাল মাঠ আমার সকল ভাবনা মিথ্যা প্রমাণ করে দিলো।
রাজশাহী কলেজ ঘুরে বিকেলের দিকে পদ্মা নদীতে ঘুরতে গিয়ে ছবিটি তোলা হয়েছিল।তখন অবশ্য পানি বেশ কম ছিল।বৃষ্টির সময় পানি অনেক উপরে উঠে যায়।যখন গিয়েছিলাম তখন ততটা পানি দেখার সুযোগ হয়নি।
নৌকা করে ঘুরতে গিয়ে একটা চর দেখতে পেলাম। পানি কমার ফলে জেগে উঠেছে। সবাই দেখছি চরে নামছে। তো আমরাও চরে নামার সিদ্ধান্ত নিলাম।বিশাল বড় চর চারিদেকে বালু আর বালু। সন্ধ্যের দিকে হঠাৎ এক ঝাঁক ঘরে ফেরা পাখিরও দেখা পেয়েছিলাম। দৃশ্যটির একটি ছবি নিতে ভুলিনি। ইট-পাথরের এই শহুরে জীবনে এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার।
সারাদিন ঘোরাঘুরি করে আপন ঠিকানায় ফেরার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় দেখা গেলো রাজশাহী আলোচিত সেই ল্যাম্পপোস্ট গুলো। ঘন আঁধারের বুকে ল্যাম্পপোস্ট গুলো যেন আলোর মশালের মতো লাগছিলো। কিছুদূর যেতেই রাস্তার পাশ দিয়ে সারাসারি বিভিন্ন রকমের গাছ দেখতে পেলাম। কখনো ফুল কখনো সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারী গাছ। রাজশাহী শহরটি বেশ পরিচ্ছন্ন আর সবুজে ঘেরা। প্রতিটি রাস্তার পাশেই এমন গাছ দিয়ে ভরা।
এভাবে রাতের কিছুটা সময় আশেপাশে ঘোরাঘুরি করার পর অবশেষে বাসের সময় হয়ে যায়। আর আমার রাজশাহীর সংক্ষিপ্ত এই ভ্রমণটিও তার মধ্য দিয়েই শেষ হয়।
সময়ের স্বল্পতার কারণে আরো কয়েকটা জায়গা ঘুরতে যেতে চেয়েও পারিনি।আশা করছি পরেরবার গেলে বাকি সব জায়গা গুলো ঘুরে একটি পূর্নাঙ্গ ভ্রমণ উপহার দিতে পারবো আপনাদের।
সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য, ধন্যবাদ। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
আপনার পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে তবে পোস্টের মধ্যে লেখার পরিমাণ অনেক কম হয়েছে বিধায় একটু খারাপ লাগছে। তবে আপনার প্যারাগ্রাফ গুলো একটু বাড়িয়ে লেখার চেষ্টা করবেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক আছে ভাইয়া। সামনে থেকে বিষয়টি খেয়ালে রাখবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit