কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
ছোটবেলা থেকে শুনেছি মানুষ মাত্রই ভুল করে। আর এই ভুল বিভিন্ন দিক থেকেই তারা করে থাকে। সেটা জীবনের বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে আবার কিছু ভুল কাজকর্ম হতে পারে। আর মানুষের এই ভুল কাজকর্মের জন্য কিছু ভুল বা খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়ে যেতে পারে অথবা অনেক সময় তৈরি হয়ে যায়। প্রত্যেকটা মানুষেরই দেখা যায় ভালো জিনিসের থেকে খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্তি বেশি থাকে। আর এই খারাপ জিনিস এমনও হতে পারে যা আমাদের জীবনটাই পুরো নষ্ট করে দেয়। যেমন আমরা আমাদের স্মার্টফোনে দেখতে পাই বিভিন্ন রকমের রিল অথবা ভিডিও আসে। এবং এই ভিডিও অথবা রিল অনেক সময় শিক্ষণীয় আসে আবার অনেক সময় শুধুমাত্র বিনোদনমূলক এবং অপ্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষ প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষনীয় ভিডিও ছেড়ে অপ্রয়োজনীয় বিনোদনমূলক ভিডিওই দেখে থাকে। যা আমাদের বাস্তব জীবনে কোন কাজেই লাগে না। আবার দেখা যায় আমাদের প্রত্যেকের কাছে থাকা এই স্মার্টফোন খুবই কম কাজে লাগে। কিন্তু আমরা অযথাই আমাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে দিই আমাদের এই স্মার্টফোন এবং তার মধ্যে থাকা এই ডিজিটাল জগতের মধ্যে।
অর্থাৎ স্মার্টফোন আমাদের যতটুকু সময় লাগে তার থেকে বেশি সময়ে ব্যয় করে দিই, আর আমাদের এই বাজে সময় ব্যয় করার যে মনোভাব এটাই আমাদের কাজকর্ম এবং উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। স্কুল কলেজ জীবনে দেখা যায় যে, আমাদের যেসব বন্ধু বান্ধবী সব সময় বই নিয়ে থাকে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হয় তাদের থেকে বেশি আমাদের পছন্দ হয় যে সব বন্ধুরা সময় নষ্ট করে এবং পড়াশোনা বাদ দিয়ে আড্ডা দিয়ে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায় বা মজা করে সময় নষ্ট করে। কিন্তু এই স্কুল কলেজ জীবনে পড়াশোনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর এই পড়াশোনার মাধ্যমেই আমাদের জীবনটা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে। কিন্তু আমাদের মানব ধর্ম যে আমরা ভালো জিনিসের থেকে বেশি খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি। তাই আমাদের মজা করতে এবং আড্ডা ইয়ার্কি করতেই বেশি ভালো লাগে। এছাড়াও বন্ধুদের মধ্যে কিছু মানুষ এমন আছে যারা কোনো রকম নেশা করে না এবং সৎ ভাবে জীবন যাপন করে। কিন্তু এদের থেকে আমরা শিক্ষা না নিয়ে যেসব বন্ধুরা নেশা করে এবং খারাপ ভাবে জীবন যাপন করে আমরা তাদের দেখেই অনেক সময় প্রভাবিত হই এবং তাদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করি।
এইসব মানুষদের দেখলেই আমাদের মনে হয় এরাই জীবনটাকে পূর্ণরূপে উপভোগ করছে। কিন্তু এরা যেসব খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্ত তাতেই জীবনটা ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না তাই আমাদের যদি খাওয়া-দাওয়া অর্থাৎ খাবারের প্রতিও প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত আসক্তি থাকে সেটাও আমাদের শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে। এমনকি কোন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আসক্তি বা ভালোবাসা থাকা কখনোই উচিত নয়। কারণ এই ভালোবাসা বা আসক্তির কারণে শরীর ও মনের খুবই খারাপ প্রভাব পড়তে পারে, যার ফলে মানসিক রোগ পর্যন্ত হতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হতে পারে। আর কিছু কিছু মানুষ তো এমনও হয়ে থাকে যারা তাদের প্রিয় মানুষটিকে কাছে পাওয়ার জন্য অথবা ফিরে পাওয়ার জন্য এতটাই ব্যাকুল হয়ে পড়ে যে বিভিন্ন রকমের অসামাজিক এবং অলৌকিক কার্যকলাপ করে বসে। অনেকে আছে বিভিন্ন রকমের তন্ত্রসাধকদের কাছে গিয়ে কোন রকমের ক্রিয়া-কলাপ এর মাধ্যমে তাদের প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে। এই কাজকর্মগুলো চরমতম খারাপ হয়ে থাকে এবং প্রত্যেকের জীবনের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে।
অর্থাৎ যে এইসব কাজ করছে এবং যার প্রতি এই সব তন্ত্র ক্রিয়া করা হচ্ছে প্রত্যেকের জীবনেই বিপদ নেমে আসে। অনেক মানুষ আছে যারা এসব তন্ত্র ক্রিয়া নিজে শিখতে চায়, এবং তাদের নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন অসামাজিক এবং অলৌকিক কার্যকলাপ করে থাকে। কিছু কিছু মানুষ আছে এইসব তন্ত্র সাধনা ভালো কাজের জন্য করতে চায় আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এইসব খারাপ কাজের জন্য এবং নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য করে থাকে। তবে সামাজিক হোক বা অসামাজিক প্রত্যেকটি কাজ বুঝে শুনে এবং ভাবনা চিন্তা করেই করা উচিত। এবং সমাজের বা সমাজের মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ কখনোই করা উচিত নয়। আমাদের প্রতিনিয়ত এইসব খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে, এবং এইসব খারাপ কাজের বা খারাপ জিনিসের প্রতি যেন আমাদের আসক্তি না হয় সে ব্যাপারেও সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিনিয়ত আমাদের জীবন সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে হবে এবং আমাদের চিন্তাভাবনাকে সবসময় সুন্দর করতে হবে তাহলে আমাদের এইসব খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্তি থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো। আসলে আমাদের চিন্তাভাবনার উপরেই সবকিছু নির্ভর করে এবং আমাদের সুন্দর জীবন যাপনও নির্ভর করে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন আপু মাঝে মাঝে যখন একদম মুক্ত ভাবে ঘুরে বেড়ানো মানুষদের দেখি অর্থাৎ খারাপ ভালো সবদিকে তারা ঘুরে বেড়ায় এদেরকে দেখে মনে হয় এরা সম্পূর্ণ জীবনটাকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতেছে। কিন্তু এদের খারাপ দিকটা আসলে অনেক বেশি খারাপ হয়ে থাকে। এই সমাজে এমন মানুষগুলো মাঝে মাঝে খুবই খারাপ দিক নিয়ে সবার সামনে হাজির হয়। তাই আমাদের সমাজে খুবই সাবধানে সবকিছু বুঝে শুনে চলতে হবে। ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছেও এমনটা মনে হয় মানুষ সব থেকে বেশি খারাপ কাজের প্রতি আসক্ত বেশি থাকে। এটা সত্যি বলেছেন আমরা মোবাইলে প্রয়োজনীয় থেকেও বেশি সময় অপচয় করি। খারাপ কাজের প্রতি আসক্তি জীবন ধ্বংসের অন্যতম কারণ। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে খারাপ কাজের প্রতি মানুষের যতটা কৌতুহল রয়েছে ভালো কাজের প্রতি ততটা নেই। তাই মানুষ খুব সহজেই খারাপ কাজে আসক্ত হয়ে যায়। তবে যে কোনো খারাপ কাজের আসক্তি মানুষকে এক নিমিষেই ধ্বংস করতে সক্ষম। তাই আমাদের সবাইকে সকল প্রকারের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং পরিবার ও সমাজের মানুষকেও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর লেখাগুলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit