কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমরা নৈহাটি বড় কালী মায়ের প্রতিমা দর্শন করে এগিয়ে গেলাম নৈহাটি স্টেশনের দিকে। সামনেই একটি কালী মায়ের প্রতিমা দেখতে পেলাম। এই প্রতিমাটি বড়ই অদ্ভুত লাগলো। কালী মায়ের বুকের মধ্যে শিব পার্বতী কে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবছর এই প্রতিমা টি এখানে করা হয় এবং পূজো করা হয়। কালী মায়ের এই প্রতিমা টি প্রতিবছরই আমার যেন দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রতিটা কালী মায়ের প্রতিমার থেকে এই প্রতিমা সম্পূর্ণই ভিন্ন একটি কাহিনী রচনা করে। আমরা মায়ের প্রতিমা দর্শন করে এবার যাবো স্টেশনের অপরপ্রান্তে। তাই প্ল্যাটফর্মে উঠে ওভার ব্রিজের উপর উঠতেই দেখলাম প্রচুর ভিড়। সবাই যেন আমাদের মতই বড় কালী মায়ের প্রতিমা দর্শন করে ওপারে যাচ্ছে প্রতিমা দর্শন করতে। ওভার ব্রিজ থেকে নামতেই আমাদের প্রায় পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লেগে গেল। সামনে একটি বড় কালী মায়ের প্যান্ডেল করা হয়েছে।
এই প্যান্ডেলটিতে অনেক বড় লাইন পড়েছে। তাই আমরা দেরি না করে তাড়াতাড়ি হেটে গেলাম ওই প্যান্ডেলের সামনের লাইনে। আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তার সামনেও অনেক বড় লাইন পড়েছিল। প্রতিবছরই এই প্যান্ডেলে বিরাট বড় লাইন পড়ে। কিন্তু আমাদের মনে হয় এই লাইনগুলো সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা হয়। এতটাও ভিড় ভেতরে হয় না যে এত বড় লাইন পড়বে। মাঝখানে থামিয়ে থামিয়ে ভিড় বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু আমাদের কিছু করার নেই তাই লাইনে দাঁড়াতেই হল। অনেকটা সময় দাঁড়ানোর পর কেমন বিরক্ত বোধ করছিলাম। হঠাৎ মনে পড়ল আমরা নিজেদের একটাও সেলফি তুলিনি। তাই ফোনটা নিয়ে আমাদের সেলফি নিতে শুরু করলাম। একটু সেলফি তোলার পর আরেকটি সেলফি তুলতে যাবো এমন সময় খেয়াল করলাম পাশ থেকে একটি মেয়ে তার মাকে বলে উঠলো, তুমি সবার ছবিতে কেন তাকাও?
কথাটি আমার কানে আসতে আমি ফটোটি বের করে দেখলাম। সত্যি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাকিমা আমার ছবিতে চলে এসেছে। আর সুন্দর একটি হাসিও দিয়েছে। আমি ছবি দেখার পর কাকিমার দিকে হাসিমুখে তাকাতেই দেখলাম কাকিমা আমার দেখে হাসিমুখে তাকাচ্ছে। আমিও কাকিমাকে বললাম যে তোমার ছবিটা অনেক সুন্দর এসেছে।তার মেয়ে তখন বলল যে, তার মা নাকি এমন করে অনেকের ছবিতে এসেছে। এবং সবার ছবিতে সুন্দর করে হাসিমুখ করে ছবি তুলেছে। এরপর আমাদের অনেক কথা হতে থাকে। তারপর আস্তে আস্তে আমরা গল্প করতে করতে লাইনে দাঁড়ানোর বোরিং সময় টা একটু ভালোভাবে কাটাতে লাগলাম। এবং একইসাথে প্যান্ডেলের দিকে এগোতে লাগলাম। প্যান্ডেলের সামনে আসতেই দড়িতে বাধা পরলাম আর ওনারা এগিয়ে গেল। এভাবেই আমাদের আবার যোগাযোগের বিচ্ছেদ ঘটলো।
আমরা এবার প্যান্ডেলের সামনে এসে দাঁড়ালাম। প্যান্ডেলটি পুরো পাহাড়ের মত করা হয়েছে আর এই পাহাড়ের মাঝখানে চূড়ার দিকে বসে আছেন স্বয়ং মহাদেব। প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকতে দেখতে পেলাম কিছু দেবীর প্রতিমা। এবং তার সামনে ছোট ছোট ঘন্টা ঝুলানো আছে। আরো সামনে এগিয়ে যেতেই দেখলাম জগদ্ধাত্রী দেবী প্রতিমা। বুঝলাম না মা কালীর পুজোয় জগদ্ধাত্রী দেবীর প্রতিমা কেন করা হলো। তবে বেশি চিন্তা না করে আরেকটু এগিয়ে গিয়ে দেখলাম কালী মায়ের প্রতিমা। এই কালী মায়ের প্রতিমা দেখে মনে হচ্ছে কোন গ্রামের সুন্দর একটি মন্দিরে যেমন প্রতিমা করা হয় তেমন প্রতিমা করা হয়েছে। মায়ের পেছনে কারুকার্য ছিল গোলাপি রঙের। এবং তার মধ্যে পদ্ম ফুলের মধ্যে শঙ্খ রাখা আছে এমন কারুকার্য করা। মায়ের অলংকার করা হয়েছে গোলাপি রঙের। এবং মাকে আসল ফুলের সাথে নকল জবা ফুলের মালাও পড়ানো হয়েছে। কালী মায়ের প্রতিমা দর্শন করে প্রণাম জানিয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন হতে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন এই টাস্কগুলো কমপ্লিট করতে হবে এবং কমেন্টে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে হবে।
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit