কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
শীতের সময় চলছে আর আমাদের বাড়িতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাজর আসবে না এটা কেমন জানি অসম্ভব একটা জিনিস। কারণ বছরের প্রতিটা দিনই আমাদের বাড়িতে গাজর থাকবেই, আর এই শীতের সময় যখন এত সবজি পাওয়া যায় আর তার সাথে গাজর এত ভালো পাওয়া যায় তাহলে এই সময় তো প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থাৎ অনেক বেশি বেশি করে আমাদের গাজর কেনা হয়ে থাকে। আর বাড়িতে আমরা সবাই গাজর খেতে খুবই পছন্দ করি। কারণ গাজরে অনেক উপকারিতা আছে, অনেক পুষ্টিগুণ আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি। তেমনি আজও দেখলাম বাজার থেকে অনেক বেশি গাজর কিনে এনেছে বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও। আর হলুদ গাজর রান্না করে খাওয়া হলেও কাঁচা খেতে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু লাল যে ধরনের গাজর আছে এই গাজর কাঁচা খেতে মোটেও ভালো লাগেনা শুধুমাত্র বিভিন্ন রকম রান্নার মাধ্যমে খেতেই ভালো লাগে। আর আজকে এই লাল গাজর কিনে এনেছে। তাই আমি ভাবলাম এই গাজরটা যেহেতু কাঁচা খেতে ভালো লাগে না তাহলে গাজরের হালুয়া করলে গাজর খাওয়া হয়ে যাবে আর গাজরের হালুয়া খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই দেরি না করে শুরু করে দেই গাজরের হালুয়া রেসিপি।
-:উপকরণ:-
গাজর
দুধ
চিনি
ঘি
কাজু
কিসমিস
তেজপাতা
এলাচ
লবঙ্গ
-: গাজরের হালুয়া তৈরি পদ্ধতি:-
গাজরের হালুয়া তৈরি করার জন্য প্রথমেই আমি ২ কেজি পরিমাণ গাজর নিয়ে নিয়েছি। এবার গাজরটাকে ভালো করে উপর থেকে একটু খোসা ছিলে নিলাম। অনেক সময় বালি থেকে যায় এছাড়াও গাজরের যে সরু সরু শিকড়ের মত থাকে সেগুলো একটু ছিলে নিলে চলে যাবে। এবার সবকটি গাজর ভালো করে ছিলে নিয়ে বেশ কয়েকবার পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম। ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একটি বড় গামলার মধ্যে একটি কুচানি ঝাঁঝরির সাহায্যে সব গাজর গুলো কুচিয়ে নিলাম। এবার কড়াইতে এই ছোট কৌটার এক কৌটা ঘি ঢেলে দিলাম। ঘি একটু গলে যেতেই গুছিয়ে রাখা গাজর গুলো সব দিয়ে দিলাম কড়াই এর মধ্যে। এবার অনেকটা সময় নিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকতে হবে। অনেক সময় ধরে নাড়াচাড়া দিয়ে ভালো করে ভাজতে লাগলাম।
পাশে আরেকটি ওভেনে একটি গামলায় দুধ গরম করতে বসিয়ে দিলাম। দুধটা একটু ফুটে আসতেই দিয়ে দিলাম তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ এবং তার সাথে পরিমাণ মতো চিনি। ভালো করে দুধটা জাল দিয়ে রেখে দিলাম পাশেই। এদিকে গাজর নাড়াচাড়া করে ভালো করে ঘি দিয়ে ভাজতে ভাজতেই দেখা গেল গাজরের পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে। আরো বেশ কিছুক্ষণ ভাজার পরে গাজরের রং পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগে যেমন হালকা রঙের ছিল এখন পুরো ভাজা হয়ে গাড়ো রংয়ের হয়ে গেছে। এ পর্যায়ে আমি আমুলের দুই প্যাকেট গুঁড়ো দুধ দিয়ে দিলাম। আমার কাছে দুধের পরিমাণটা যদি একটু বেশি হয় তাহলে যেন খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। তাই আমি একটু গুড়ো দুধ যোগ করলাম।
এবার ভালো করে নাড়িয়ে চারিয়ে গাজরের সাথে গুঁড়ো দুধটা সুন্দর করে মিশিয়ে দিলাম। এবার দিয়ে দিলাম পাশে জাল করে রাখা তরল দুধটা। ভালো করে নাড়াচাড়া করতে লাগলাম এবং মাঝারি ফ্লেমে জাল দিতে লাগলাম। বেশ অনেকক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর দুধটা অনেকটা কমে এসেছে এবং গাজরটা একটু গামাখা ভাব হয়েছে। এই সময় দিয়ে দিলাম কাজু এবং কিসমিস। এবার ভালো করে নাড়াচাড়া করে কাজু কিসমিস গাজরের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নাড়াচাড়া করে রান্না করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পরে দুধটা আরেকটু শুকিয়ে আসলে এবং গাজরের হালুয়া আরো একটু গামাখা হয়ে আসলেই ওভেনের ফ্লেম বন্ধ করে দিলাম। এবার প্রস্তুত হয়ে গেছে আমার পছন্দের গাজরের হালুয়া। এই গাজরের হালুয়া খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন লোভনীয় খাবার দেখলে আমি আবার লোভ ধরে রাখতে পারি না। আপনার গাজরের হালুয়াটি অনেক লোভনীয় লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে এখনি যদি পেতাম তাহলে একটু খেয়ে নিতাম। এ ধরনের মজাদার খাবারগুলো খেলে স্বাদ এর পাশাপাশি মানুষের তৃপ্তিও ও ভরে যায়। আর গাজর অনেকে এমনি খেতে পারে না। তাই গাজরের হালুয়া করে খেলে গাজরও খাওয়া হয়। আর গাজরের পুষ্টিগুণ পেয়ে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে আপনি তো দেখছি আজ আমার ফেভারিট রেসিপিটা তৈরি করলেন। গাজরের হালুয়া দেখে ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে ফেলি। আসলে পছন্দের রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো যায় না। এত মজাদার ভাবে গাজরের হালুয়া তৈরি করেছেন দেখেই ভালো লাগছে। যে কেউ কিন্তু সহজে এই রেসিপিটা তৈরি করে নিতে পারবে আপনার উপস্থাপনা দেখে। কারণ তৈরি করার পদ্ধতি আপনি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। দেখে বুঝতে পেরেছি মজা করে খাওয়া হয়েছে এই গাজরের হালুয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি বলতে কি আমার সবজি বাগানে অনেক গাজর রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত গাজরের হালুয়া করে খাওয়া হয়নি। আপনি অনেক সুন্দর হালুয়া তৈরি করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার গাজরের হালুয়া দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটা গাজরের হালুয়া তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গাজরের হালুয়া খেতে আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। ব্যক্তিগতভাবে গাজরের হালুয়া আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতের সময়ে গাজর খেতে খুবই ভালো লাগে। আর এটা একদম তরতাজা পাওয়া যায় বলেই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপনাদের বাসায় অনেক বেশি গাজর নিয়ে আসা হয় শুনে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনি এই গাজর দিয়ে দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আমি একবার তৈরি করেছিলাম খেতে খুব ভালোই লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit