কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আমরা সবাই কমবেশি ট্রেনে যাত্রা করে থাকি। আর আমরা এই ট্রেনে যাত্রা করার সময় ছোট বড় অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকি। আর এই ঘটনাগুলি আমাদের জীবনে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করিয়ে দেয়। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা খুবই ভালো ব্যবহার করে আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ভাল ব্যবহার কি জিনিস সেটা হয়তো বোঝেই না। কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করে আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের সমস্যা বুঝেও না বোঝার ভান করেন। আর হয়তোবা তারা বুঝতেই চায় না কারণ সমস্যাগুলো তাদের নিজের না। এ ট্রেন যাত্রার সময় কিছু কিছু মানুষ দেখা যায় খুবই অশিক্ষিতের মত ব্যবহার করে যেমন কোন কিছু খাবার খেয়ে খাবারের প্যাকেট পুরো সামনে ছুড়ে মারে। সামান্যতম বোধ তাদের নেই যে ভদ্রভাবে জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়া যায় বা সিটের নিচে ফেলা যায়। আর অনেক সময় তো এরা ট্রেন চলাকালীন জানালা দিয়ে থুতু ফেলা শুরু করে। এদের এইটুকু বিবেক বুদ্ধি নেই যে এই থুতু হাওয়ার মাধ্যমে ছিটে গিয়ে কারোর গায়ে লাগতে পারে। কিছু কিছু মানুষ আবার সামান্য কারণেই ঝগড়া করা শুরু করে দেয়।
এদের মধ্যে একটুও মান সম্মান বোধ নেই যে তারা ট্রেনের মধ্যে আর দশটা মানুষের সামনে এইভাবে ঝগড়া করছে। আর এই ঝগড়াঝাঁটি বেশি দেখা যায় মহিলা কামড়ায়।তবে অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিদিন ট্রেনে করে নিজেদের কর্মস্থানে যায়। আবার অনেক সময় কলেজে অথবা স্কুলে যেতে দেখা যায়। প্রতিদিন যারা যাতায়াত করেন তাদের মধ্যে আবার সাহায্য করবার মনোভাব দেখা যায়। কারণ এরা জানে যে ট্রেনে যাতায়াত করতে কতটা কষ্ট হয় এবং কি কি সমস্যা হতে পারে। এই প্রতিদিন যারা যাতায়াত করে দেখা যায় প্রায় সময় তারা একটি নির্দিষ্ট ট্রেনে যাতায়াত করেন এবং একটি নির্দিষ্ট কামড়াতেই তারা ওঠেন নিজের যাতায়াতের সুবিধার জন্য। আর এই প্রতিদিন যাতায়াত করতে করতে দেখা যায় কিছু মানুষের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়ে যায়। এবং এই কথাবার্তা থেকে ধীরে ধীরে আন্তরিকতা বাড়তে থাকে এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এটা হতে পারে যে কোন বয়সের সাথে যে কোন বয়সের মানুষের মধ্যে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ট্রেনের যাত্রাপথের বন্ধুত্ব ট্রেনে সমাপ্ত ঘটে যায়, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এই বন্ধুত্ব ট্রেন থেকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে।
এই ট্রেনে যাত্রা পথে দেখা যায় কত ছেলে মেয়েদের মধ্যে পরিচয় ঘটে এবং সেই পরিচয় সারা জীবনের জীবন সঙ্গী হিসেবে পূর্ণতা পেয়ে যায়। আসলে এই ট্রেন যাত্রা খুবই সুন্দর একটি আবেগ দিয়ে যায় মনে। আবার অনেক মানুষ আছে যাদের এই ট্রেন যাত্রাতে সারা জীবনের দুঃখ কষ্ট ভরিয়ে দিয়ে গেছে। কারণ কিছু কিছু সময় এই যে ট্রেন দুর্ঘটনা দেখা যায়। এইসব ট্রেন দুর্ঘটনায় কত পরিবারের মানুষ তাদের প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলে। এমনও একবার শুনেছিলাম যে একটি মধ্যবয়স্ক ছেলে ট্রেন লাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েছিলেন এবং সেই ট্রেনেই যাত্রা করছিলেন তার স্ত্রী। পরবর্তী সময় যখন সেই স্ত্রী জানতে পারেন যে সেই ট্রেনে কাটা পড়েছিলেন তার স্বামী যে ট্রেনে সে যাত্রা করছিলেন। তার জন্য সেই ট্রেন যাত্রাটি কতটা যে দুঃখ কষ্টের ছিল সেটা বলেও বোঝানো সম্ভব নয়। তবে আমার মনে হয় আকাশ পথে প্লেনে যাত্রা, জলপথে জাহাজ, নৌকা বা অন্য কোন উপায় যাত্রা করার ক্ষেত্রে যতটা ঝুঁকি থাকে আর বিপদের আশঙ্কা থাকে তার থেকে অনেক কম থাকে ট্রেন যাত্রায়। কারণ জল পথে বিপদ ঘটলে আমাদের সাঁতার না জানা থাকলে খুবই বিপদজনক ব্যাপার হয়ে উঠবে।
এবং আকাশ পথে যদি প্লেনে কোন সমস্যা হয় আমাদের একমাত্র উপায় হল প্যারাসুট। তারপরেও অনেক প্রকার ঝুঁকি থাকতে পারে এবং বিপদের আশঙ্কা অনেক বেশি আর বেঁচে থাকার উপায় অনেক কম। আর ট্রেনযাত্রায় যেহেতু আমরা মাটির উপরেই থাকছি কোন বিপদের আশঙ্কা পেলে আমরা ট্রেন থেকে নেমে যেতে পারি অথবা কোন বিপদ ঘটলে আমরা ছুটে বা দৌড়ে ট্রেন থেকে অনেক দূরে পালিয়ে যেতে পারি। তাই বিপদের আশঙ্কা তুলনামূলক কম। আমরা যদি কোথাও ভ্রমণে যাই তাহলে ট্রেনে করে যেতে আমাদের বেশি আনন্দ অনুভব হয়। কারন আমরা ট্রেনে করে চারিপাশের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে করতে যেতে পারি। কিন্তু প্লেনে, বাসে অথবা অন্য কোন যানবাহনের যাত্রাপথ অতটা আনন্দদায়ক হয় না যতটা ট্রেনযাত্রা আমাদের ভালো লাগে। এছাড়াও ট্রেনে আমরা অনেক নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হতে পারি এবং গল্প করতে করতে আমাদের সময় অনেক ভালোভাবে কেটে যায়। আর ট্রেনে যে সব খাবার ওঠে সেই খাবার খেতে খেতেই যাত্রাটা আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। তাই লোকাল ট্রেন হোক বা দূরপাল্লার ট্রেন যেকোনো গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ট্রেন যাত্রা খুবই আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের দেশের ট্রেন গুলোর তুলনায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের ট্রেন গুলোর গতি একটু বেশি। আসলে আমার কাছে অন্যান্য সব ধরনের ভ্রমণের থেকে ট্রেন ভ্রমণ করতে বেশ ভালোই লাগে। কেননা, ট্রেন ভ্রমণ অনেক বেশি নিরাপদ একটি ভ্রমণ। আপনি দেখছি খুবই সুন্দর ভাবে ট্রেন ভ্রমণ করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদিও আপনি টেন যাত্রা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন তবে এর ভিতরে বেশ অনেক সুন্দর সুন্দর কথা উল্লেখ করেছেন। হ্যাঁ আমিও লক্ষ করে দেখেছি ট্রেনের মধ্যে অনেক মানুষ মূর্খের পরিচয় দিয়ে থাকে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমার কথাবার্তা আর আচরণ দেখিয়ে। তবে যাই হোক নিজেরা ভালো থাকতে হবে ভালো আচরণ করতে হবে আর এভাবেই অন্যের সাথে যতটা কথোপকথন হবে বন্ধুত্ব শুরু আচরণের মধ্য দিয়ে নিজের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি আপনি আকাশ পথের ভ্রমণ নিয়েও বেশ দারুন কথা লিখেছেন নিরাপত্তার জন্য প্যারাসুট ইত্যাদি ইত্যাদি। সবমিলে বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে মুগ্ধ করেছে। ট্রেনের মধ্যে তেমন বেশি একটা যাননি আমার করা অভ্যাস নেই তবুও কিছুটা হলেও জানা রয়েছে। তবে যাই হোক এখানে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ট্রেনের মধ্যে মানুষের আচরণ নিয়ে। এছাড়া অনেক কিছু ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছেন জার্নি সম্পর্কে। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ট্রেনে যাত্রাকালে একদম প্রাসঙ্গিক কিছু ঘটনার উল্লেখ করে পোস্টটি সাজালেন। অনেক সময় ট্রেনে যাত্রা সময় অনেকে বন্ধু হয়ে যায়। তাদের সঙ্গে একসঙ্গে কোনো কাজও করা হয়ে থাকে। যেমন আমার দেখা একটি পত্রিকা আছে সেটি নিয়মিত ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা প্রকাশ করে। পত্রিকাটির নাম পথের আলাপ। এমন বহু ঘটনার সাক্ষী আছে লোকাল ট্রেন গুলি। আবার রোজ ঝগড়া ঝামেলাও দেখা যায় অনেক যাত্রীদের মধ্যে। সব মিলেমিশে ট্রেন যাত্রা যেন অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার সামিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit