কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
বন্ধুত্ব একটি খুবই সুন্দর পরিভাষা। বন্ধুত্ব ছাড়া জীবনে কোন কিছুই সম্ভব নয়। প্রত্যেকটা মানুষের এমন একটি বন্ধুর দরকার হয় যাকে সে নির্দ্বিধায় মনের সব কথা বলে দিতে পারে। এই বন্ধু নামক ব্যক্তিটা আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকে। যাকে আমরা আমাদের মনের কথা না বলতে পারলে যেন রাতে ঘুমই আসে না। এই বন্ধুত্ব যে শুধুমাত্র একটি সমবয়সী ব্যক্তির মধ্যেই হতে পারে সেটা কিন্তু নয়। বন্ধুত্ব যে কোন ব্যক্তির সাথে যে কোন ব্যক্তির হতে পারে। এছাড়াও যে কোন বয়সে বা যেকোনো বয়সের ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যেতে পারে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক কখনো জোর করে হয় না, এই সম্পর্ক তৈরি হয় সম্পূর্ণ মন থেকে এবং দুজন দুজনের বোঝাবুঝি থেকে। যদি দুজন ব্যক্তি একে অপরকে ভালোভাবে বোঝে এবং একে অপরের সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে তাহলে তাদের মধ্যে সুন্দর একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়।
আমরা সাধারণত বন্ধুত্ব বলতে বুঝি একই স্কুলে পড়া দুজন ছাত্র বা ছাত্রীদের বন্ধুত্ব। অথবা একে কলেজে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেকার বন্ধুত্ব। কিন্তু এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক একজন মায়ের তার সন্তানের সঙ্গেও হওয়া সম্ভব। একজন বাবার তার সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক হতে পারে। এবং একজন দাদা বা দিদির তার ভাই বা বোনের সঙ্গেও এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুবই সুন্দর ভাবে হয়ে থাকে। তবে একজন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি এই বন্ধুত্বের সম্পর্কটি থাকে তাহলে তাদের দাম্পত্য জীবন আরও সুখের হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে একে অপরের মনের কথা বোঝা এবং ভালোবাসা আরো অনেক গুন বেড়ে যায়। তাই বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আমাদের জীবনে খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু বর্তমান সময়ের মানুষেরা একটু স্বার্থপর প্রকৃতির হয়ে গেছে, তারা বন্ধুত্ব তখনই করে যখন তাকে কোন কাজে দরকার হয়। আর তত সময় পর্যন্তই বন্ধুত্ব রাখে যতক্ষণ তার প্রয়োজন না ফুরায়। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই বন্ধুত্ব নষ্ট করে দেয়।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব এখন কার সময়ে খুবই কম দেখা যায়। তবে মানুষ স্বার্থপর হলেও পরিবেশের যে জীবজন্তু অর্থাৎ পশু পাখি আছে তাদের মন এখনো নিষ্পাপ আছে। আমি দেখেছি কোন প্রাণীর ক্ষতি না করলে তারাও কারোর ক্ষতি করে না নিজের মতই থাকে। যেমন কোন সাপকে যদি আঘাত না করা হয় সে কিন্তু ছোবল দেয় না। কিন্তু যদি তাকে আঘাত করা হয় বা কোনরূপ কষ্ট দেওয়া হয় তাহলেই সে ছোবল দেওয়ার জন্য তেড়ে আসে। তাই আমার মনে হয় মানুষের থেকে পশু পাখিদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো হয়। আমাদের বাড়িতে দুটি কুকুর এবং একটি বিড়াল আছে। তাদের মধ্যে সম্পর্ক দেখলে মনেই হয় না যে তারা ভিন্ন জাতের। তাদেরকে দেখলে মনে হয় তারা একে অপরকে খুবই পছন্দ করে। তাদের জন্য বাড়ির কোন সদস্য যদি খাবার দেয় তাহলে তারা সে খাবারটাও একসাথে খায় ।
কয়েকদিন আগে দেখছিলাম দুটি কুকুরের মধ্যে একটি হয়তো অন্য কোথাও ঘুরতে গেছিল আর অন্য একটি উঠোনে শুয়ে ছিল। এমন সময় হঠাৎ বিড়ালটির মনে হলো এখন খেলা করতে হবে তাই সে ছুটে এসে কুকুরটিকে তাড়া করা শুরু করল। বেশ কিছুক্ষণ দেখলাম বিড়ালটি এবং কুকুরটি খেলা করছিল তারপর একটু ক্লান্ত হয়ে মুখোমুখি একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। হয়তো দুজন দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করল যে তারা ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারপর দেখলাম আবার তারা শান্ত হয়ে গেল। এমন দৃশ্য যদিও আমি প্রায়ই দেখি। তবে আমাদের এই পশু পাখির কাছ থেকেই শেখা উচিত বন্ধুত্ব। মানুষের বন্ধুত্ব সুন্দর কিন্তু যখনই কারো স্বার্থে আঘাত পড়ে তখনই সে বন্ধুত্ব নষ্ট করে ভয়ংকর রূপ নিতে পারে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit