কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমাদের এখনো অনেকগুলো প্যান্ডেল দেখা বাকি ছিল। তাই আমরা আবার আলোয় ভরা রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু করেছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে একটা সুন্দর প্যান্ডেলের সামনে এসে দাঁড়ালাম। এখানে মোটামুটি কম ভিড় ছিল। বাইরে থেকে প্যান্ডেল দেখে অনেক সুন্দর লাগছিল। প্যান্ডেলের একদম উপরে একটি মুখমণ্ডল দুর্গা মায়ের। চোখ দুটি উপর দিকে যেন মা আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবছে। দু'পাশে আরো দুটি মায়ের মুখমন্ডল, মা সোজা তাকানো আছে। অনেক রকমের রং ব্যবহার করা হয়েছে এই প্যান্ডেল টিতে। পান্ডেলটি খুবই কালারফুল লাগছে দেখতে। ছোট করে করেছে প্যান্ডেল টি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। সামনে কয়েকটা ছোট টবে গাছ রেখে দেওয়া হয়েছে এর জন্য সৌন্দর্যটা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এবার ভেতরে ঢুকলাম।
দুর্গা মাকে এখানে পুরো গ্রামের বধূ এর মত রুপ দেওয়া হয়েছে। পেছনে বাঁশের বেড়ার কারুকার্য করা হয়েছে। মাথার উপরে তাকিয়ে দেখলাম ছোট ছোট প্লাস্টিকের বাটি দিয়ে এবং সাদা শোলা দিয়ে ফুল বানিয়ে সুন্দর করে সাজানো আছে। চারিদিকের দেওয়ালে কুলো দিয়ে এবং আরো কিছু জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্যান্ডেলটি আমার বেশ ভালই লেগেছে কিন্তু মায়ের রূপ এবং চারপাশের পরিবেশের সাথে ছাদের কারুকার্য ঠিক মানায়নি বলে আমার মনে হল। যাই হোক প্যান্ডেলটি দেখে মাকে প্রণাম জানিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম অন্য একটি প্যান্ডেল দেখার উদ্দেশ্যে। এবার যাচ্ছি একটু বড় প্যান্ডেল দেখতে। বনগাঁ তে দুর্গা মায়ের পুজো অনেক বেশি হয়। প্যান্ডেল গুলো খুব একটা দূরে হয় না, দু চার মিনিট হাঁটতে না হাঁটতেই এক প্যান্ডেল থেকে অন্য প্যান্ডেলে যাওয়া যায়। তাই বেশি কষ্ট অনুভব হয় না। এদিক-ওদিক দেখতে দেখতে আমরা আরেকটি প্যান্ডেলের সামনে পৌঁছে গেলাম।
এই প্যান্ডেলটি সাদা ও সোনালী রঙের মধ্যে করা হয়েছে অনেক সুন্দর লাগছে প্যান্ডেলটি দেখতে। প্যান্ডেলের সামনে যেতে দেখলাম প্যান্ডেলটি সম্ভবত কাগজ কেটে পানের খিলি এর মতো করে সাজানো এবং সামনে দুটি রাজহাঁস দেখা যাচ্ছে, এটিও সম্ভবত একইভাবে কাগজ দিয়ে ই তৈরি করা হয়েছে। সত্যি কথা বলতে আমি সঠিকভাবে কিছু বুঝতে পারলাম না যে ওটা কাগজ না অন্য কিছু। প্যান্ডেলের ভেতরে ঢোকার রাস্তার দুপাশ গোল গোল শোলা এবং ফুচকা খাওয়ার বাটি দিয়ে সাজানো হয়েছে। ভেতরে ঢুকে চারিদিকটা বেশ সুন্দর লাগছিল দেখতে। আইসক্রিম খাওয়ার কাঠের ছোট ছোট চামচ দিয়ে এবং গোল আকারের শোলা দিয়ে ফুল এর কারুকার্য করা হয়েছে । ছাদের চারপাশটা ফুচকা খাওয়ার বাটি দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। এবং পুরো ছাদ জুড়ে সুন্দর করে গোল গোল আকারের শোলা, ফুচকা খাওয়ার বাটি, এবং সাদা সাদা গাছের শিকড় দিয়ে সুন্দরভাবে পরিকল্পনা করে কারুকার্য করা হয়েছে।
চারপাশের দেয়ালে দেখতে পাচ্ছি সুন্দর সাদা রংয়ের সম্ভবত ময়ূর এর মত আকার দেওয়া হয়েছে। এই ময়ূর গুলি তৈরি করা হয়েছে গাছের পাতা দিয়ে। গাছের পাতার শিরা উপশিরা সুন্দরভাবে বোঝা যাচ্ছে। আমি অবাক হয়ে এটাই ভাবছি যে, যারা এই কাজগুলো করেছেন তাদের কত ধৈর্য শক্তি। কত সুন্দর করে ধৈর্য ধরে এই কাজগুলি তারা সম্পন্ন করেছে। খুবই সুন্দর করে নিখুঁতভাবে কারুকার্য করা। মায়ের মুখটা এখানে খুবই মায়াবী লাগছে, আর মহিষাসুরের মুখটা দেখে মনে হচ্ছে সে অবাক হয়ে গেছে মা তার বুকে কেন ত্রিশূলটা মারল। আমার এখানে মহিষাসুরের মুখটা অবুঝ শিশুর মত মনে হচ্ছিল, যেন কিছুই বোঝেনা। দুর্গা মা খুব সুন্দর একটি লাল শাড়ি পড়া ছিল কিন্তু এত বেশি বড় বড় অলংকার পড়ানো হয়েছিল যে শাড়িটা ঠিকমতো দেখাই যাচ্ছিল না। তবুও বেশ সুন্দর লাগছিল দুর্গা মা সহ সবার প্রতিমা । মাকে প্রণাম করে এবার আমরা বেরিয়ে আসলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit