কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
শাশুড়ি শব্দটি শুনলেই যে কোন মেয়ের একটু আতঙ্ক অনুভব হয়। কারন আমরা অনেক যুগ আগে থেকেই শুনে আসছি শাশুড়িরা বৌমাদের ওপর অত্যাচার করে। অর্থাৎ শাশুড়ি সবসময় অত্যাচারী হয় এটাই আমাদের ধারণা। আর শাশুড়িরা যখন বৌমাদের কথা ভাবে তখন তাদের একটাই চিন্তা আসে যে বৌমা মানেই তাদের ছেলে ছিনতাইকারী। তাদের সংসারে বৌমা নামক ব্যক্তি আসলেই তাদের ছেলেকে তাদের কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে যাবে। আসলে কোন সম্পর্কই খারাপ নয় বা কোন ব্যক্তি খারাপ নয়, পরিবেশ পরিস্থিতি তাকে খারাপ হতে বাধ্য করে। বিয়ের পর যখন একটি মেয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে আসে। তখন তার এই শ্বশুরবাড়ি নিজের করে নিতে হবে। কিন্তু এই নিজের বলে মনে করা অনেক কঠিন, কারণ এত বছর সে তার বাপের বাড়ি অনেক আদরে যত্নে বড় হয়েছে এবং তার নিজের বাবা-মার কাছে অনেক আদরে থাকে। তারপর হঠাৎ করে অন্য একটা পরিবেশে মানিয়ে নিতে প্রত্যেকটা মেয়ের অনেক কষ্টকর হয়ে ওঠে।
তার মধ্যে আবার থাকে নিজের পরিবার, মা বাবা, ভাই বোন, এবং বন্ধুবান্ধবকে ছেড়ে আসার কষ্ট। এই সময়ে একমাত্র পাশে থাকতে পারে তার শ্বশুরবাড়ির লোক জন। প্রত্যেকটা মেয়ে এই কষ্টের সময়ে যদি তার শ্বশুরবাড়ির একটু সাপোর্ট একটু ভালোবাসা পায়, তাহলে এই কষ্ট ভুলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের আপন করে নিতে তারা আরো ভালো পারে। আর প্রত্যেকটা শাশুড়ি যদি বৌমাকে নিজের মেয়ের মতো একটু ভালোবাসা দেয় এবং সবকিছু শিখিয়ে বুঝিয়ে নেয় তাহলে আমার মনে হয় মেয়েরা শাশুড়ি নামক ব্যক্তিকে এত ভয় পেত না। প্রত্যেকটা সংসারে মনোমালিন্য ভুল বোঝাবুঝি এবং ঝগড়াঝাঁটি থাকে, সেই সব কিছু সহজ ভাবে নিতে হবে কোন কিছুই মনে ধরে রাখলে চলবে না। এবং প্রত্যেকটা বৌমাকেও তার শাশুড়িকে মায়ের মত ভালবাসতে হবে এবং সে কোন কিছু বারণ করলে বা কোন কিছু শিখিয়ে দিলে তার গুরুত্ব দিতে হবে। আসলে উভয় দিক থেকে যদি একে অপরকে বোঝা যায় তাহলে শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে।
অনেক শাশুড়ি মনে করেন যে বৌমা তার ছেলেকে তার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চায় কিন্তু এমনটা মোটেও নয় প্রত্যেকটা মেয়ে বিয়ের পরে তার স্বামীকেই সবথেকে কাছে পায়। এবং প্রত্যেকটা মেয়ের সুখ-দুঃখের সাথী তার স্বামী হয়ে থাকে। এবং প্রত্যেকটা ছেলে বিয়ের পরে তার বউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে মিলেমিশে সুখে সংসার করতে চায়। তার স্ত্রী যেহেতু তার নিজের বাড়ি ছেড়ে এসেছে তাই তার স্বামী কিছুটা হলেও তার মনের অবস্থা বুঝতে পারে এবং তার সাথে একটু ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করে, যেন সে এই পরিবারে একটু ভালো থাকতে পারে এবং নিজের মনে করতে পারে। এবং এইসব দেখেই প্রত্যেকটা শাশুড়ি মনে করেন যে তার ছেলে মনে হয় পর হয়ে গেছে। এবং প্রত্যেকটা শাশুড়ি এই সময়ে নিজেকে নিয়ে একটু নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। আর মনে করে এখন সে বৌমা ছাড়া আর কাউকে চেনে না। কিন্তু এখানে শাশুড়ির অনেক বড় ভূমিকা থাকে। সে যদি পুরো পরিবারকে সুন্দরভাবে সামলে নিতে পারে তাহলে সংসার সুখী হয়।
আগেকার দিনের শাশুড়িদের কথা শুনে শুনে এখনকার মেয়েদের মনে তেমনই একটা ভয়ংকর চিত্র ফুটে ওঠে শাশুড়ির কথা শুনতেই। তাই এখন যদি কোন শাশুড়ি ভালো হয় সেটা বুঝতে প্রত্যেকটা মেয়ের অনেকটা সময় লেগে যায়। আর শাশুড়ি যে ভালো হয় সেটা বিশ্বাস করাও প্রত্যেকটা মেয়ের অনেক কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে সব শাশুড়ি যে ভালো সেটাও বলা যায় না আবার সব শাশুড়ি যে খারাপ সেটাও বলা যায় না। এই পৃথিবীতে ভালো খারাপ সবই আছে। আর একই ভাবে সব বৌমা যে ভালো হয় এমনটাও নয় কিছু কিছু বৌমা আছে শাশুড়িকে কখনো মায়ের মত ভালবাসতে পারে না। শাশুড়িকে সবসময় নিজের সংসারের শত্রু মনে করে। আসলে দুজন ব্যক্তি সংসারের ভালই চায় কিন্তু শুধু প্রয়োজন তাদের দুজনের একটু একে অপরকে বোঝা আর নিজের বলে মনে করা। কারণ এই দুজনের ওপর পুরো সংসারটা নির্ভর করে। আর তার সাথে নির্ভর করে পুরুষের মানসিক অবস্থা। কারণ সংসারে মা এবং বউ দুজন মিলেমিশে সুখে না থাকলে পুরুষ মানুষ কখনোই সুখী হতে পারে না।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিবাহের পরবর্তী সময়ের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলি আপনি খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করলেন। শাশুড়ি এবং বৌমা বাঙালি সমাজে অতি পরিচিত দুটি সম্পর্ক। এই সম্পর্কে যেমন ঝগড়া ঝামেলা থাকে তেমন ভালবাসাও থাকে। আসলে এই সম্পর্কটি একটু অদ্ভুত। সেই বিষয়গুলি আপনি বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরলেন। তবে এডজাস্টমেন্ট অবশ্যই দরকার। অন্যথায় কোন কিছুই ভালো হয় না।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit