কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমাদের এই পুজোর সময় চারিদিকটা এমন সুন্দর সেজে ওঠে যেন সবার মনে হয় একটু কোন জায়গা পেলেই সেখানে ছোট করে হলেও পূজা করা যাবে। রাস্তাঘাটের কোন অংশই আলোকিত করা বাদ থাকে না এবং কোন বাড়ি অন্ধকার দেখা যায় না। এই পূজোর সময় বাড়ি থেকে সবাই প্যান্ডেল ও প্রতিমা দর্শন করতে বেরিয়ে গেলেও বাড়ি সুন্দর করে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে রেখেই যায়। সেই জন্য বিশেষ করে কালীপুজোর দিনগুলো চারিদিকটা অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। আমরা হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার পাশে দেখতে পেলাম এটা খুবই ছোট জায়গা কিন্তু সেই জায়গাতেও সুন্দর করে কালী মায়ের পূজা করা হয়েছে। জায়গাটা এতই ছোট যে পাশাপাশি দুজনের বেশি হাঁটা যাবেনা। এত ছোট জায়গা হলেও এই জায়গাটাতে সুন্দর করে কারুকার্য করা হয়েছে। চারিদিকে বাঁশ কেটে পাটির মতো করে প্যান্ডেলের কারুকার্য করেছে এবং তার মাঝে মাঝে আবার বিভিন্ন দেবদেবীর ছবিও দেখা যাচ্ছে। উপরে ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে সরু সরু বাঁশের মধ্যে লাইট লাগিয়ে দিয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।
ছোট করে থাকলেও এ প্যান্ডেলটিতে সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি দেখানো হয়েছে। মা কালী কে একদম আকাশী রংয়ের দেখাচ্ছে এখানে। কালী মাকে প্রণাম জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম অন্য একটি প্যান্ডেল দেখার উদ্দেশ্যে। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটি কানের দুলের দোকান দেখতে পেলাম। এবার আমি চালাকি করে দূর থেকে দেখতে দেখতে কানের দুলের সামনে এগোচ্ছিলাম। হঠাৎ করে আমার একটা কানের দুল ভালো লেগে গেল, আর অমনি আমি কানের দুলের দোকানের সামনে পৌঁছাতেই সেই কানের দুলটা দেখা শুরু করলাম। তাই এবার আমার বর মশাই আমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে পারল না আর আমাকে সেই কানের দুলটা কিনে দিতেই হল। আমিও খুব খুশি হয়ে কানের দুলটা নিয়ে আবার এগিয়ে গেলাম অন্য প্যান্ডেল দেখার উদ্দেশ্যে। সামনে যেতেই দেখতে পেলাম আরেকটি সুন্দর প্যান্ডেল। এই প্যান্ডেলটি সামনে থেকে দেখতে অনেক বড় লাগছিল। এই প্যান্ডেলটা দেখে একটু চাইনিজ ভাব লাগছিল। চায়নারা যেমন হাওয়া খাওয়ার পাখা ব্যবহার করে সে রকম দেখতে পাখার মত কারুকার্য করা হয়েছে।
দড়ি দড়ি ঝুলিয়ে এবং বেঁধে বিভিন্ন রকম কারুকার্য করা হয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করার সময় উপরে কিছু লাইটিং করা আছে যেগুলো পুরো দড়ি দিয়ে কারুকার্য করা এছাড়াও কিছু দড়ি ঝোলানো রয়েছে। আর এইসব লাইটিং এর ও একটু ভেতর দিকে দেখা যাচ্ছে সুন্দর করে দড়ি দিয়ে ফুল তৈরি করা হয়েছে এবং এই ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। এইভাবে দড়ির মাধ্যমে ফুল তৈরি করা এটা প্রথমবার আমি কোন প্যান্ডেলে দেখলাম। এবং এই দড়িগুলো কিন্তু বিভিন্ন রংয়ের রয়েছে, যেখানে যে রংয়ের দড়ি ভালো লাগবে সেই রংয়ের দড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। এবার আরো এগিয়ে গিয়ে প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকতেই আগে উপরের দিকে চোখ পড়ল। উপরে ছাদের সাথে বড় একটি গোল রিং করা হয়েছে এবং তার একটু নিচের দিকে তুলনামূলক ছোট রিং করা হয়েছে এবং এটি পুরোই দড়ি দিয়ে বেঁধে করা হয়েছে এবং তার নিচে ঝুলছে আরো অনেকগুলো দড়ি দিয়ে তৈরি করা পালকের মত। এবং এই পালক গুলির মধ্যে একটি করে লাইট লাগানো আছে। আর এই কারুকার্যটা ঝুমুরের মতো করে মাঝখানে রেখে চারিদিকে গোল গোল করে দড়ি বেঁধে তার মাঝে একটি করে লাইট লাগিয়ে সুন্দর করে কারুকার্য করা হয়েছে।
এরকম সুন্দর কারুকার্যের জন্য উপরের দিকটা দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এখানে কালী মায়ের প্রতিমা এবং তার সঙ্গীদের ঠিক এমনই চাইনিজদের মতো করে সাজানো হয়েছে। তার শরীরে বস্ত্র পড়ানো হয়েছে বিভিন্ন রংয়ের দড়ি ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে। এই কালী মায়ের প্রতিমার সামনেই নিচের দিকে রাখা আছে আরেকটি কালী মায়ের প্রতিমা। আর এই প্রতিমা টিকে পুজো করা হয়েছে। মায়ের এই প্রতিমার মাথার মুকুটটি খুব সুন্দর কালারফুল ছিল, একবার তাকাতেই আমার নজর কেড়ে নিল। চারিদিকে প্যান্ডেলের মাঝে মাঝে কিছু জায়গায় দেখলাম অদ্ভুত ধরনের একটি পুতুল তৈরি করা হয়েছে। আমি আগে কখনো এমন পুতুল দেখিনি একটু অদ্ভুত ছিল কিন্তু দেখতে ভালো লাগছিল কারণ এই পুতুলটিও দড়ি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। চারিদিকে এত দড়ির কারুকার্য দেখে মনে হচ্ছিল এই প্যান্ডেলের যে শিল্পী তার ক্রিয়েটিভিটি লেভেল অনেক ভালো। চাইনিজদের মতো উপর দিকটা একটু গোল করে বেঁধে নিচের দিকটা দড়ি ঝুলছে এমন কিছু জিনিস দেখতে পেলাম এই প্যান্ডেলে। একদম অন্যরকম করেছে এই প্যান্ডেলটি, চারিদিক টা দেখে আমরা বেরিয়ে এলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit