প্রিয় বন্ধুরা আমার কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন ৷ আমিও ভালো আছি ৷ তো আবারও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমি নিরব বাংলাদেশ থেকে ৷ আজ আমি আপনাদের সাথে আমার স্কুল জীবনের ছোট একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে এমন সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য ৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আজ আমি আমার স্কুল জীবনের ছোট একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভুতি শেয়ার করবো ৷
স্কুল জীবনের ফেলে আসা সোনালী দিনগুলির কথা কখনো ভোলার নয় ৷ কত শত স্মৃতি বিজড়িত স্কুল জীবনের হাজারো মুহূর্ত এখনো মনে পড়ে ৷ জীবনের সেরা ও সুন্দর সময়টাই ছিলো স্কুল জীবনের কাটানো সেই দিনগুলির মাঝে ৷ প্রতিদিন সকালে স্কুলে যাওয়া , বন্ধুদের সাথে বসে ক্লাস শেষে আড্ডা দেওয়া , মাঠে খেলা করা , স্কুল শেষে বিকাল বেলা বাড়ি ফেরা সেই মধুর দিনগুলো ছিলো আমার জীবনের সেরা সময় ৷ দশটা বছর কাটিয়েছি স্কুলে , এই দশ বছরে দশ হাজারও বেশি সুন্দর মুহূর্তে তৈরি হয়ে ছিলো ৷ সময়ের সাথে সাথে সেই ফেলে আসা অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত-ই ঢাকা পড়ছে নতুন কোনো গল্পে ৷ তবুও স্কুল জীবনের কিছু স্মৃতি আছে যেগুলি কখনো ভুলতে পারবো না আমি ৷ জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টাই হলো ছাত্র জীবন ৷ হাজারো হাসি , কান্না , আনন্দ আর গল্প নিয়েই তৈরি হয় স্কুল জীবনের গল্প ৷ মাঝে মাঝে খুব করে মনে পড়ে সেই গল্প গুলো , ফিরে পেতে মন চায় সেই সোনালি দিন গুলো ৷ যা কখনো সম্ভব নয় ৷
গ্রামের ছেলে আমি ৷ গ্রামেই বড় হয়েছি ৷ গ্রামের ছোট একটি স্কুলে ভর্তি হোই ৷ ছোট প্রাইমারি স্কুলটি ছিলো বাড়ির পাশেই ৷ ছোট থেকেই সেই স্কুল মাঠের সাথে বেশ পরিচিতি ৷ ছোট বেলার সেই দিনগুলোর কথা বেশ ভালো ভাবে মনে নেই তবে প্রথম যখন স্কুলে ভর্তি হোই তখন একটা ভয় ছিলো ৷ ধীরে ধীরে ভয়টা কেটে যেতে লাগলো ৷ এরপর ক্লাস টু , এখানে বেশ কয়েকটা বন্ধু জুটলো ৷ ভালো ভাবেই কাটছে দিনগুলি ৷ ক্লাস থ্রি তে উঠলাম ৷ প্রতিদিন স্কুল যাওয়া , বই পড়া , টিফিনের বন্ধুদের সাথে বসে ভাত খাওয়া এমন মধুর দিনগুলো ছিলো ৷ এরপর ক্লাস ফোর , আমরা সবাই বন্ধু ৷ সবার সাথেই মারামারি , সবার সাথেই গল্প , সবার সাথেই আড্ডা ৷ এই সময়টা ছিলো সেরা ৷ স্কুল জীবনের প্রাথমিক শেষ পঞ্চম শ্রেণির কথা কি বলবো ৷ আমার স্কুল জীবনের সেরা একটি বছর ৷ প্রাথমিক স্কুল জীবনের এক একটা দিন ছিলো এক একটা সেরা মুহূর্তে গল্প ৷ এই পাঁচ বছরের অনেক গল্প রয়েছে যা এখন মনে পড়লে হৃদয়ে নাড়া দিয়ে উঠে ৷
এরপর হাইস্কুল জীবন ৷ এই হাই স্কুল জীবনের ছোট একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভুতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ৷ আজ তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভুতির গল্পটাই বলি অন্য একদিন হাইস্কুল জীবন নিয়েই লিখবো ৷ আমি অনেকটা লাজুক এবং নিরব স্বভাবের ৷ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক বন্ধু থাকলেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনেকটা কমে গেছে ৷ নতুন পরিবেশে নতুন স্কুল ৷ সাইকেলে করে প্রতিদিন স্কুল যেতে হতো ৷ হাইস্কুল ছিলো বেশ দূরে ৷ তো ষষ্ঠ শ্রেনিতে নিয়মিত স্কুল যেতাম ৷ কয়েকটা বন্ধু হয়ে গেলো ৷ দুঃখের বিষয় সেই বন্ধুগুলো ছিলো একটু বেশিই দুষ্টু ৷ প্রতিদিন সকালে স্কুলে যেতাম বই খাতা জানাল দিয়ে রুমে রেখে সাইকেল কিংবা হেটে পাশের গার্লস স্কুলের দিকে ঘুরতে যেতাম অথবা অন্য কথাও ৷ এতে অ্যাসেম্বিলি ও করতে পারতাম না ৷ স্যার ক্লাস শুরু করার মধ্যে আমরা ক্লাসে যেতাম , এতে মাইর কিংবা কান ধরে বাইরে দারিয়ে থাকতে হতো ৷ আবার টিফিন টাইমে মাঠে খেলা শুরু করতাম , স্কুল ছুটি হওয়ার একটু আগে স্কুলে যেতাম ৷ স্কুলের ভিতরে একটা মাঠ আর বাইরে একটা বড় মাঠ ছিলো ৷ আমরা বাইরের বড় মাঠে খেলতাম প্রতিদিন ৷ এভাবেই চলছিলো দিনগুলো ৷ আমাদের এমন কর্মকান্ডের জন্য স্যার দের কাছে খুব তারাতারি পরিচিত হয়ে যাই ৷ পড়ালেখা যেমন তেমন করলেও দুষ্টুমি করতাম বেশি ৷ দুষ্টুমির জন্য অনেক ঘটনাই ঘটেছে ৷ আজ আর না বলি ৷ এরপর সপ্তম শ্রেণিতে উঠলে স্যারদের নজর আমার এবং আমাদের দিকে বেশি ছিলো ৷ একটু দুষ্টুমি করলেই মাইর নয়তো কান ধরা ৷ অন্য কেউ দুষ্টুমি করলেই প্রথম স্যারের দমক আমাদেরি দিতো ৷ এভাবে অষ্টম শ্রেনিতেও কারনে অকারণে সবচেয়ে বেশি মাইর খেতাম ৷ নবম দশম শ্রেণিতে এমনটা হয়নি ৷ কিন্তু সপ্তম আর অষ্টম শ্রেণিতে অন্যদের তুলনায় বেশি মাইর আর কান ধরতে হয়েছে ৷ এটাই ছিলো স্কুল জীবনের বড় একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা ৷
আরো অনেক ঘটনাই ছিলো স্কুল জীবনের কিন্তু এই ঘটনাই শেয়ার করলাম ৷ মাঝে মাঝে মনে পড়ে সেই দিনগুলির কথা ৷ অনেক মাইর খেলেও সেই স্কুল জীবনে ফিরে যেতে মন চায় ৷ অনেক সুন্দর সময় ছিলো সেই হারানো দিনগুলি ৷ এখনো ভাবি কোনো কিছু বিনিময়ে যদি ফিরে পাওয়া যেতো সেই দিনগুলো তবে আমি ফিরে যেতাম সেই দিনগুলির মাঝে ৷ স্কুল জীবনে এমন অনেক দুষ্টু মিষ্টির অভিজ্ঞতা আজও মনে পড়ে ৷ হাজারো গল্প আছে স্কুল জীবনের যে গুলো কখনো ভোলার নয় ৷
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্কুল জীবনে সত্যি আমরা অনেক দুষ্ট ছিলাম। অনেক দুষ্টুমি করতাম। তাইতো অনেক মার খেতাম স্যারের হাতে। তবে ভাইয়া আপনার পোস্টটি মনে হয় আরো আগে শেয়ার করা উচিত ছিল। কারণ সময় পার হয়ে গেছে। যাই হোক আপনি আপনার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit