হ্যালো বন্ধুরা.. সবাইকে স্বাগতম,
আমার বাংলা ব্লগে
আমার বাংলা ব্লগে
বাংলা ২৮ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
শুভ রাত্রি ৷ হ্যালো বন্ধুরা , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও অনেক ভালো আছি ৷ আসলে ভালো না থেকে উপায় আছে ৷ চলতেছে দূর্গা উৎসব ৷ আজ মহা অষ্টমী , মহা অষ্টমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো সবার জন্য ৷ হয়তো আমার হিন্দু ধর্মীয় বন্ধুরা সবাই পূজার আনন্দ করতেই ব্যস্ত ৷ আসলে আমিও কিছুটা ব্যস্ত পূজায় ঘুরাঘুরি আর আনন্দ করতে ৷ যদিও এবছর মন ভালো নেই ৷ ভেবেছি বাড়ি ঠাকুর দেখবো কেবল অন্য কথাও ঘুরতে যাবো নাহ ৷ দিন শেষে থাকতে পারলাম নাহ মায়ের পূজা তো ৷ একটু আনন্দ আর মন হালকা করতে বের হলাম উৎসবমূখর পরিবেশে ৷ আজ এ দিনটি নিয়েই লিখবো ৷ চলুন আজকের আমার দিনলিপি টা একটু দেখে আসি ৷
এখন রাত প্রায় বারোটা ৷ অনেক ক্লান্ত ক্লান্ত লাগছে ৷ চোখ মেলে থাকতে ইচ্ছে করতেছে না ৷ অন্য দিন বারোটা মানে আমার কাছে রাত সাত টা মাত্র ৷ আজ রাত বারোটা মানে ভোর চারটা মনে হচ্ছে ৷ প্রচুর ঘুম পাচ্ছে ৷ তাও চোখ টেনে টেনে আজকের ব্লগটি লিখছি ৷ আসলে আজকের ব্লগটি লেখার একটাই উদ্দেশ্যে এই দিনটি একদিন স্মৃতি হয়ে হবে ৷ চাইলেই দেখতে পারবো কোনো একদিন আজকের এই ব্লগটি খুলে আজকের কিছু স্মৃতি ৷ একটা সময় লেখা লিখি অনেক বিরক্ত লাগলো ৷ কিন্তু এখন আর লাগে না ৷ ভালোবেসে ফেলেছি টুকটাক লেখালিখিকে ৷ হয়তো আজকের লেখা গুলো আমি ইনকামের জন্য লিখছি , অন্য দিন হয়তো স্মৃতি হিসেবে দেখতে পারবো ৷ সেই উদ্দেশ্যে নিয়েই আজকের দিনলিপি টা আমি লিখছি ৷ যদিও আমি ভালো কোনো লেখক নই ৷ আবোল তাবোল ভাবে কি লিখি মাঝে মাঝে আমি নিজেও বুঝি নাহ ৷ তবুও লিখি এই এলোমেলো কথা গুলো ৷ আজ বেশি কিছু লিখবো না ৷ কারণ আজকের দিনের গল্পটাই ছোট ৷ চলুন তাহলে শুরু করি আজকের ছোট দিনলিপি টা ৷
প্রতিদিনের রুটিন আমার এক ৷ অনেক রাত করে ঘুমাবো আর অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠবো ৷ আজকেও অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছিলাম ৷ এরপর খাওয়া দাওয়া করে একটু বাইরের প্রাকৃতিক মাঝে ঘুরতে বের হয়েছি ৷ বাড়ির পাশেই ছোট একটা নদী ৷ অনেক গল্প আছে এই ছোট নদী নিয়ে আমার জীবনের ৷ অন্য একদিন লিখবো এই ছোট নদী নিয়ে ৷ তো নদীর মাঝে আসলাম একটু প্রাকৃতিক প্রশান্ত হাওয়া খেতে ৷ আমার সাথে আমার ছোট্ট একটা ভাতিজাও ছিলো ৷ কাকা ভাতিজা বেশ কিছু ক্ষণ আড্ডা দিলাম ছোট নদীর ধারে বসে ৷ তখন আকাশটা বেশ রোদ্দুর ছিলো ৷ সাদা সাদা মেঘের ফাকে সূর্যের আলো নদীর পানিতে পড়ছে ৷ দখিনা বাতাস নদীর ধারের কাঁশ ফুলে দোলা দিচ্ছে সাথে আমাদের শরীলেও ৷ অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ ৷ নদীর ধারেই দুপুর হযে গেলো ৷ এরপর দুপুরে বাড়ি এসে স্নান করে লম্বা একটা ঘুম ৷
বিকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি মেঘলা আকাশ ৷ ছোট ছোট বৃষ্টি কণা আকাশ থেকে পড়ছে ৷ কি করবো ভাবতেই এ সময় আবার ফোন নিয়ে বসলাম ৷ ফোন টিপছি বসে বসে বাইরে টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছে ৷ ভালোই লাগছে এমন পরিবেশ ৷ আজ মহা অষ্টমী মনেই ছিলো নাহ ৷ আসলে আগেই বলেছি এবারের পূজা নিয়ে তেমন একটা শখ ইচ্ছে অনুভুতি কাজ করতেছে নাহহ ৷ তো বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমে গেলো ৷ একটা দাদা এসে ঘুরতে যাওয়া কথা বলছে ৷ ইচ্ছে ছিলো কথাও ঘুরতে যাবো নাহ ৷ খুব বেশি জেদ করতে লাগলো দাদাটা ৷ অনেকটা নিজের ইচ্ছে বিরুদ্ধে গিয়ে রাজি হয়ে গেলাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য ৷ শেষ বিকাল বেলা বের হলাম একটু ঘুরাঘুরি করতে ৷
শেষ বিকাল বেলা আকাশ বেশ মেঘলা ছিলো ৷ একটু ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ ৷ ভালোই লাগলো রাস্তায় বের হয়ে ৷ অনেক মানুষ এদিক সেদিন ঠাকুর দেখে বেরাচ্ছে ৷ রাস্তায় বেশ ভীর জ্যাম জ্যাম ভাব ৷আমরাও দুই ভাই বের হলাম কিছু ঠাকুর দেখার উদ্দেশ্যে নিয়ে ৷এরপর এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করতেই লাগলাম ৷ গ্রামের ছোট ঠাকুর গুলোতে মানুষের ভীর কম থাকেও বড় বড় ঠাকুর গুলোতে মানুষের এতো ভীর যে ঠিকঠার ভাবে হেটে মন্ডপে যাওয়া যাচ্ছে না ৷ আজ পূজার দ্বিতীয় দিন ভেবেছিলাম মানুষের ভীর কম থাকবে ৷ আমাদের এদিকে সাধারণ তৃতীয় দিনে মানুষের প্রচুর ভীর থাকে ৷ তো আজ দ্বিতীয় দিনে এতো ভীর না জানি তৃতীয় দিন আসলে কি হতো ৷ যাই হোক গ্রামের ঠাকুর দেখতে ভালো লেগেছে কিন্তু শহরের বড় ঠাকুর গুলো দেখতে যাওয়াতে অনেক বিরক্তকর লেগেছে মানুষের ভীরের জন্য ৷তো এভাবেই বেশ কয়েকটা মন্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখে আসলাম আজ ৷
শেষ বিকাল বেলা ঠাকুর দেখার উদ্দেশ্যে নিয়ে বের হলেও বাড়ি ফিরেছি রাত এগারোটার পর ৷ প্রায় ছয় ঘন্টা এদিক সেদিক মানুষের ভীরে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি ৷ বেশ কয়েকটা মন্ডপে ঠাকুর দেখেছি ৷ মূর্তি গুলি আর মন্ডপের দৃশ্যে গুলো অন্য একদিন শেয়ার করবো ৷ দাদার তো একটা দূর্গা পূজার প্রতিযোগিতা আছেই ৷সেদিন না হয় আজকের ঘুরে আসা মন্ডপ আর মূর্তির সেই সৌন্দর্য শেয়ার করে নিবো ৷ আজ একুটু থাক ৷ আজকের দিনলিপি লিখতে লিখতে অমেক রাত হয়ে গেলো ৷ এমনিতেই ঘুরাঘুরি করার জন্য ক্লান্ত ৷ চোখ বন্ধ হয়ে আসতেছে নিজে নিজেই ৷ কাল আবার সকালে উঠতে হবে ৷ আজ এ পর্যন্তই ৷ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ ধন্যবাদ সবাইকে ৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ৷
বিষয় | দিনলিপি |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি এগারো |
ফটোগ্রাফি | নিরব |
তারিখ | ০৩ অক্টোবর ২০২২ ইং |
লোকেশন | বাংলাদেশ W3W |
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি আমি অত্যন্ত মুগ্ধ হলাম। ফটোগ্রাফি করার দক্ষতা অনেক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার। পূজাতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পূজা মন্ডলে আপনার সময় গুলো খুব সুন্দর কাটিয়েছে যেন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে , আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit