ভোরের বিপদ

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমার বর্তমানে পরীক্ষা চলছে। তাই খুব বেশি ব্যস্ততা পূর্ণ একটি সময় কাটছে। কারণ প্রায় প্রতিদিন পরীক্ষা। যেহেতু সামনে পূজার বন্ধ হবে। তাই আসলে পরীক্ষার মধ্যে কোনো বন্ধ দেয়নি। আর তার উপরে যেহেতু আন্দোলনের জন্য সেমিস্টারের প্রায় অর্ধেক সময় বন্ধ ছিলো। অর্থাৎ সবকিছু মিলিয়ে আসলে সময়টা এমন খারাপ যাচ্ছে। কি আর বলবো! খারাপ বলতে অনেক বেশি ব্যস্ততা পূর্ণ সময় যাচ্ছে আর কি। তার উপর কাজ তো রয়েছেই। যদিও দাদা আসলে পরীক্ষার সময় কাজ অনেকটাই কমিয়ে দেয় এবং তিনি নিজেও অনেক বেশি সাহায্য করেন। এ নিয়ে আসলে যতো বেশিই বলি আমি, ততোই কম হবে। অর্থাৎ এরকম একটা জায়গা, এরকম কিছু মানুষ আমি পেয়েছি বলে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।

যাইহোক, আসলে যেটা আজকে বলতে এসেছি। সেটা হলো, আমি সাধারণত যেদিন পরীক্ষা থাকে সেদিন একটু ভোরবেলা ওঠার চেষ্টা করি। যদিও সেটা হয় না। কারণ ওই যে বললাম সারারাত জেগে পড়তে হয়। তো গতকাল আসলে একই রকম ভাবেই আমি ভোরে উঠে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমার বাস ধরতে হতো ।তো ওঠার পরেই শুনলাম দরজায় কেউ একজন অনেক জোরে নক করছে এবং কিছু একটা বলছে। এখন রুমে একেবারে ফুল স্পিডে ফ্যান চলছিলো। তাই কি বলছে সেটা আমি শুনতে পাচ্ছিলাম না।

আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আম্মু হয়তো ঘুম থেকে ডেকে দিচ্ছিলো ক্লাসে যাওয়ার জন্য। তো আমিও বারবার বলছিলাম যে আমি উঠেছি। কিন্তু আমি বলার পরেও যখন বারবার দরজা ধাক্কাচ্ছিলো। তখন আমার প্রথমে মনে হলো যে আমার কোনো ছোট ভাই বোন হবে। তাই আমি উঠে দরজা খুললাম এবং দরজা খুলে দেখি আমার ছোট ভাই দুই হাত দিয়ে দুই কান চেপে ধরেছিলো এবং ব্যথায় প্রচন্ড কাতরাচ্ছিলো। যাকে বলে রীতিমতো পাগলামি করছিলো ।

এবং আরেকটু পিছনে দেখি মা এবং বাবা দুজনেই রেডি হয়েছে। অর্থাৎ ওরা তিনজন ইমার্জেন্সি হসপিটাল এ যাচ্ছিলো। কারণ ওই যে বললাম, আমার ছোট ভাইয়ের অবস্থা তখন মারাত্মক খারাপ এবং কেনো সে এমন করছে, সেটাও বুঝতে পারছিলো না কেউ। এদিকে আবার আমার আরেক বিপদ। কারণ যেহেতু আম্মু-আব্বু দুজনেই ছোট ভাইকে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো। তাই নুয়াইরাকে দেখতে হতো আমার। এখন এদিকে আমার তখন আর ২০ মিনিট পরেই বাস। তখনও পর্যন্ত আমি রেডি হয়নি।

এখন পরীক্ষাটা না দিলে আসলে সমস্যা হতো। তাই আর কোনো উপায় না পেয়ে, আমার ছোট বোনকে রেখে আসলাম আমার ছোট ফুফুর বাসায়। অর্থাৎ আমাদের বিল্ডিংয়েই থাকে। এরপরে আমি পরীক্ষা দিতে বের হয়ে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ বিপদ এতো বড় আসলে মাঝেমধ্যে সত্যিই ভয় লাগে। এদিকে টেনশন হচ্ছিলো ছোট ভাইয়ের জন্য পরবর্তীতে মায়ের কাছে যেটা শুনলাম ফোন করে যে, একেবারে ভোরের দিকে আসলে ইন্টার্ন ডাক্তাররাই বেশি থাকে। তাই তারা সাময়িক ওষুধ দিলেও তাদের ট্রিটমেন্টটা আম্মুর ভালো লাগেনি। তাই আমার ছোট ভাইকে বাসায় নিয়ে আসলো এবং বিকেলে আবার একটি প্রাইভেটে ভালো প্রফেসর এর কাছে নিয়ে গেলো।যাইহোক সকলেই দোয়া করবেন আমার ছোট ভাইয়ের জন্য। সে যেনো এই অসুস্থতা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পায়। কারণ সামনেই তার পরীক্ষা।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।