এলার্জীতে জীবন শেষ!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

গতপরশু সারারাত ঘুমাইনি এবং সেই না ঘুমানোতেই চলে গিয়েছিলাম ভোরবেলা ভার্সিটিতে। কারণ যেহেতু সারারাত ঘুম হয়নি সে ক্ষেত্রে আবার নতুন করে ঘুমিয়ে শুধু শুধু ক্লাস নষ্ট করার পক্ষে আমি নই।কারণ এর আগে দুইদিন আমি ক্লাস করতে পারিনি। তার কারণ হলো রাতে বেশ অনেক রাত করে ঘুমিয়ে ছিলাম। তো সকালে আর ঘুম ভাংগেনি। তো যেহেতু জাগন ই ছিলাম, তাই ভাবলাম যে ক্লাসটা করে আসি।

আসলে কাজ ছিলো শুধুমাত্র রাত্র তিনটা পর্যন্ত। কারণ রাতের তিনটা পর্যন্ত কাজ শেষ করে আমি যখন বিছানায় শুয়ে গেলাম। তখন আমার অবস্থা খারাপ অর্থাৎ সারা শরীর এলার্জি উঠে গিয়েছে। এলার্জি উঠার মতোন যে অনেক কিছু খেয়েছি তা নয়। আসলে দুদিন আগে আমি শুধুমাত্র এক পিস বেগুন ভাজি খেয়েছিলাম। তাও সেটা আমার অসম্ভব ফেভারিট। কিন্তু সেটা খাওয়ার সাথে সাথেই আমি এলার্জির ওষুধও খেয়ে নিয়েছিলাম। কারণ আমি জানি আমার এই সমস্যা কখনোই যাবে না। যদিও যায় তবে তা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার মিরাক্কেল।

কিন্তু সেই মাঝরাতে পর থেকেই শরীর ফুলা শুরু করে বিভিন্ন জায়গায়। অর্থাৎ মশা কামড় দিলে যেমন হয় হাত-পা একেবারে সম্পূর্ণ তেমন হয়ে যায় এবং অসম্ভব চুলকানো তো রয়েছেই। আর সে সাথে জ্বালা আর ওই জায়গাগুলোতে গরম লাগে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন কি ঝামেলার পরিস্থিতি। আর এরকম অবস্থাতে আসলে আর যাই হোক না কেনো একটুও ঘুম আসে না। তাই আসলে এভাবে করেই সারা রাত কাটিয়ে দিতে হলো।

আমার মনে হয় এই এলার্জি যার জীবনে রয়েছে। তার জীবনে নতুন করে কোনো শত্রুর দরকার নেই। কারণ এই এলার্জি মানুষকে এমন এমন সময়ে বিরক্ত করতে পারে, যেটা মানুষ ভাবতেই পারে না। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এই এলার্জি বেশি দেখা যায় রাত্রে বেলা। অর্থাৎ যখন মানুষ ঘুমাতে যায়, তখন এটা এতো বেশি বিরক্তিকর যেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতোন নয়। কারণ এলার্জি শুরুর দিকে প্রথমে মনে হবে যে, বিছানায় হয়তো অনেক বালু, তাই শরীর চুলকাচ্ছে। কিন্তু আসলে তা মোটেও তা নয়, শরীর ওই এলার্জির কারণেই চুলকায়। আমি তো আসলে দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা যেনো আমার শত্রুকেও এই রোগ না দিক। কারণ এই রোগ নিয়ে কি পরিমাণ কষ্ট আমি ভোগ করছি, সেটা একমাত্র আমিই জানি।

কারণ সারা রাত জেগে থেকে সারাদিন ক্লাস করে এসে আবার কাজ করতে বসা রাত পর্যন্ত। এ ব্যাপার গুলো অনেক কঠিন আসলে। কিন্তু জীবন যুদ্ধ যেমন থেমে থাকে না। ঠিক তেমনটাই এই এলার্জির যুদ্ধ থেমে থাকবে না। ঠিক তেমনটাই আমিও থেমে থাকতে পারবো না, কিছুই করার নেই সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করা ছাড়া।আর পোস্ট এর ছবিটাও কাজ করতে করতেই মজা করে ক্যাপচার করা!তাই ভাবলাম পোস্টের সাথেই দিয়ে দেই!

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।