পছন্দের রেস্টুরেন্টের ইফতার বাজার থেকে ইফতার করার মূহুর্ত।

আজকে আবার ও চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের ভালোই লাগবে।

বেশ কয়েকদিন আগে আমি আর আমার একটা ফ্রেন্ড মিলে বাইরে ইফতার করার প্ল্যান করেছিলাম।তো সেসব ই আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করবো।

চট্টগ্রামে আমার খুব পছন্দের একটি জায়গা হলো " বারকোড ফুড জাংশন "। তো এই রেস্তোরাঁটিতে বেশ ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় সে কারণেই মূলত পছন্দ। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম যে আমরা সেখানে ইফতার করবো। আর সেখানে ইফতার করার একটি বিশেষ ব্যাপার হলো, অনেকটা বুফের মতো অর্থাৎ আমরা প্রথমে যা যা খাবার নিবো তা তা নিয়ে নিতে পারবো। এবং এরপরে যা যা নিয়েছি তার বিল একসাথে মিটিয়ে এরপর খেতে পারবো।বুফেতে যেমন অনেক টাকা দিয়ে খাবার নষ্ট করতে হয় তেমন ও না। কিন্তু আবার বুফের মতো প্রথমে খাবার নিয়ে নেওয়া যায় এটা একটা সুবিধা। আর আমার জানা মতে এটাই হলো এমন একমাত্র ইফতার বাজার।যেটাতে এভাবে বানানো ইফতার গুলো একসাথে এভাবে পাওয়া যায়।

যাইহোক প্রথমে আমরা একটি প্লেট নিয়ে ড্রিংক্স আইটেমের দিকে চলে গেলাম। আর একটা পেঁপের জুস এবং আর একটা তরমুজের জুস নিয়ে নিলাম।

এরপর ধীরে ধীরে আগাতে লাগলাম। আর কি কি নেওয়া যায় তা দেখছিলাম। আর যা যা নেওয়ার তা নিয়েও নিচ্ছিলাম।

এরপর ভাবলাম আশেপাশের কিছু ছবি তুলা যাক। আসলে জায়গাটাতে অনেক বেশি মানুষ থাকা সত্বেও খুব একটা ভীড় মনে হচ্ছিলো না। কারণ জায়গাটা খুব বড়।

এরপরে আমরা খাবারগুলো নিয়ে নিলাম।

এরপর বিল দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।

এরপর কাউন্টারে গিয়ে খাবার গুলো দিলাম। ওয়েটাররা খাবার গুলো দেখে বিল করে দিলো।

এরপর বিল মিটিয়ে দিলাম।মোট বিল এসেছিলো বোধহয় ১১০০ টাকার মতো।

এরপর একটা সিট দেখে বসে গেলাম আমরা দুজন আর গল্প করছিলাম। আর অপেক্ষা করছিলাম ইফতারের সময়ের জন্য।একটু পর যখন আজান দিলো ইফতার করে নিলাম। বেশ মজা ছিল খাবারগুলো তবে ঠান্ডা ছিলো।আসলে ইফতার এর সময়ে গরম খাবার পাওয়া ও অসম্ভব। কারণ সবাইকে একই সময় গরম খাওয়া দেওয়া সম্ভব নয়।তাই বলবো খাবার তেমন খারাপ ছিলো না,ভালোই ছিলো।