অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা (তৃতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  10 days ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


শামীম নিজের অজান্তেই ধীরে ধীরে সেই জালে জড়িয়ে যেতে থাকে। একদিন রাতে শামীমের কাছে একটা ফোন এলো। থানার বড়কর্তা তাকে ডেকে বললো "শামীম, কাল এক বড় ধরণের ড্রাগের চালান আসবে। লোকগুলোকে ধরবে না, শুধু একটু চোখ বন্ধ করে রাখবে। টাকা কিন্তু ভালই পাবে।" শামীম প্রথমে ভেবেছিল, তার স্যার মনে হয় মজা করছে। কিন্তু সে খুব দ্রুতই বুঝতে পারল, এটা কোনো মজা নয়। অপরাধীর সাথে হাত মিলিয়ে ফেলা, ন্যায়বিচারকে বিক্রি করে দেওয়া—এটাই তার সামনে থাকা একমাত্র পথ।

1000002197.png

যদিও সে তার বসের কথা শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তখন তার বস তাকে এই কথা বলে হুমকি দেয় যে তুমি কার কাছ থেকে কত টাকা নেও সেটা আমার খুব ভালো জানা আছে অতএব আমার সামনে বেশি নীতিবান সাজার চেষ্টা করো না তখন স্বামী বুঝতে পারে তার নেয়া সেই ছোটখাট উপহারগুলো আজ তার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরবর্তীতে শামীম আর তার বসের কথার অবাধ্য হতে পারে না। সেদিন সে প্রথমবারের মতো বড় অঙ্কের টাকা হাতে পেয়েছিলো। এরপর থেকে তার জীবনটা যেন একধরণের ঘোরের মধ্যে চলতে লাগল।

দুর্নীতি যেন এক অদৃশ্য ভাইরাস। একবার শরীরে ঢুকে গেলে সেটা পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলে। শামীমের ক্ষেত্রেও তাই হলো। টাকা আসতে লাগল, দামি গাড়ি, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, এবং বন্ধুদের প্রশংসা। প্রথম দিকে কিছুটা অপরাধবোধ কাজ করলেও, ধীরে ধীরে সে মানিয়ে নিল। প্রতিবার ঘুষের টাকা নেওয়ার পর নিজের মনকে সান্ত্বনা দিত—"কেউ দেখছে না, এটা কেউ জানবে না।" কিন্তু আসলেই কি অন্য কেউ জানবে না। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!