এসপি সাহেবের সাথে কথাবার্তা শেষ করে তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের কথা জানিয়ে আফসার সাহেব সেকেন্ড অফিসার কে নিয়ে থানায় দিকে রওনা দিলেন। গাড়িতে উঠেই এসপি সাহেব সেকেন্ড অফিসার কে জিজ্ঞেস করলেন এখন আপনার জরুরী কথাটা বলুন। কি যেনো বলতে বলতে চাচ্ছিলেন? সেকেন্ড অফিসার হামিদ ওসি সাহেবকে বললেন না স্যার এখন আর সে কথা বলে লাভ নেই। আগে এই ঝামেলা মিটুক তারপর দেখা যাবে। ওসি সাহেব সেকেন্ড অফিসার কে বললেন থানায় পৌঁছে সাথে সাথে সবগুলো এসআই এএসআই কে ডাকবেন।
সবাইকে নিয়ে দ্রুত একটি মিটিং করতে হবে। আমাদের প্ল্যান অফ একশন আজকেই ফাইনাল করতে হবে। থানায় পৌঁছেই ওসি সাহেব সবাইকে নিয়ে মিটিংয়ে বসলেন। এসপি সাহেব কি কি বলেছেন সেই কথা তিনি সবাইকে জানিয়ে দিলেন। সেই সাথে এটাও বললেন যে কোনো মূল্যেই হোক আমাদের কাজ আমাদের এই থানাকে ঝামেলা মুক্ত রাখা। আর এই ঝামেলা মুক্ত রাখতে হলে এই আন্দোলনকারীদের কে দু-একদিনের ভেতর রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আর সরকার যে এই আন্দোলন দমনের ব্যাপারে যথেষ্ট কঠোর সেটাও তিনি সবাইকে জানিয়ে দিলেন।
তিনি সবার সাথে বসে পরিকল্পনা করে ফেললেন তাদের কোন কোন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। আর কিভাবে ছাত্রদেরকে ওয়ার্নিং দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দিতে হবে সেটাও সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন। আফসার সাহেব কিছুটা চিন্তিত বোধ করতে লাগলেন। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আফসার সাহেব উনার থানার সবাইকে নিয়ে দ্রুত মিটিং করাতে খুব ভালো হয়েছে। তবে আফসার সাহেব সবাইকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত কতটুকু কি করতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে সেকেন্ড অফিসার হামিদ মিয়ার এবারও কক্সবাজার যাওয়া হলো না তার পরিবারের সাথে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit