আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা সব সময় জীববস্তুকে সম্মান করতেই বেশি পছন্দ করি। কিন্তু জড়বস্তুকে আসলে সম্মান করা তো দূরে থাক। তাদের যে আমাদের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু সেটাও মাঝেমধ্যে ভুলতে বসি। কিন্তু একটা গল্পের বই পড়তে পড়তে আমি অনেকটা অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম একটি কারণে। কারণটি হলো, সেই গল্পের বইটিতে কবি বলার চেষ্টা করছিলেন যে। হয়তো প্রতিটি জড়বস্তুর ও ফিলিংস রয়েছে। অর্থাৎ তারাও হয়তো আমাদের মতো করেই অনুভব করে। কিন্তু সেটা প্রমাণ করা অসম্ভব। আসলে এই ব্যাপারটি দিয়ে এটাই বুঝাতে চেয়েছে যে, সেটা যে কোনো জিনিসই হোক না কেনো। তার জন্য আমাদের সবার মধ্যে মায়া-মমতা রয়েছে। ঠিক তেমনটাই, সেই জিনিসগুলো কেমন করে যেনো আমাদের মায়ায় বেঁধে রাখে।
ঠিক তেমনটাই, যে জড়বস্তুটি আমাদের জন্য অনেক বেশি মায়ার, ভালোবাসা। সেটা হচ্ছে আমাদের মাটি। অর্থাৎ আমাদের দেশের, আমাদের পৃথিবীর মাটি। কারণ আপনি নিজেই চিন্তা করুন। আমরা কিন্তু সবাই সেই জায়গাটি থেকেই উঠে এসেছি। অর্থাৎ আমাদের দেশের মাটি আমাদের জন্য অনেক বেশি ভালোবাসার।অনেক গানেই কিন্তু দেখবেন যে, মাটিকে মা এর সাথে তুলনা করা হয়েছে। কেনো বলুন তো? কারন আসলে এই মাটির জন্যই তো সবকিছু। এই মাটির জন্যই এতো ভাগাভাগি, এতো হানাহানি, এতো কষ্ট, এতো প্রায়শ্চিত্ত কিংবা এতো ভালোবাসা।
তাই আমরা যেমন আমাদের নিজেদের মায়েদেরকে আমাদের নিজেদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। ঠিক তেমনটাই এই মাটি নামক মাকেও আমাদের ঠিক ততোটাই ভালবাসতে হবে। কারণ প্রতি যুগে যুগে আমরা দেখেছি যে, এই মায়ের জন্য প্রাণ দিয়েছেন অনেক অনেক অকুতোভয় যোদ্ধারা। শুধুমাত্র এই মাটি নামক মায়ের অসম্মান হতে দেবে না বলে। শুধুমাত্র এই মাটি নামক মা পরাধীন হবে বলে তারা তাদের বুক চেতিয়ে দিয়েছে বুলেটের সামনে। হয়তো জানতো যে, হয়তো ওই বুলেট বুকটা ঝাঁঝরা করে দিবে। তাও তারা বুক পেতে দিয়েছে শুধুমাত্র মাটিকে রক্ষা করার জন্য। তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো, আমরা যখন এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবো। তখন কিন্তু আমাদের ওই মায়ের কাছেই ফিরে যেতে হবে। অর্থাৎ মাটির কাছেই ফিরে যেতে হবে। তাই মাকে সম্মান করা আমাদের সকলের জন্যই অত্যাবশ্যকীয়।