টাইমিং টা বড় ব্যাপার

in hive-129948 •  5 months ago 
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমরা কমবেশি সকলেই কাজ করি এবং অনেকে হয়তো অনেক বেশি সফলতা অর্জন করে, অনেক কাজে। আবার অনেকে হয়তো প্রায় প্রতিটা কাজেই সবসময় ব্যর্থ হয়। সফলতা এবং ব্যর্থতা কিন্তু একটি কাজের এপিঠ ওপিঠ। তাই এটি নিয়ে অনেক বেশি কথা বলার কিছু নেই অর্থাৎ সফলতা সহজে হাসিল করার যেমন কিছু আলাদা ট্রিক্স রয়েছে। তেমন অহেতুক ব্যর্থ হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে। সেসব নিয়ে না হয় আমি অন্য একটি পোস্টে আলোচনা করবো। আজকে আমি যে ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে এসেছি। সেটা হচ্ছে আমাদের প্রতিদিনকার কাজের টাইমিং সম্পর্কে।

প্রতিনিয়ত আমি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মোটিভেশনাল কিছু কথা সকলের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। যেটা আসলে আমার নিজের লিখতে এবং পড়তে দুটোই বেশ ভালো লাগে এবং আমি মনে করি যে আমার লেখার মাধ্যমে যদি অন্য কেউ লাভবান হয়। তাহলে সে ক্ষেত্রে আমি নিজেও অনেক বেশি খুশি হবো এবং এটাই আমার সফলতা।

কাজের টাইমিং নিয়ে যদি বলতে চাই। প্রথমেই আমি বলবো না, একদিনের কাজ পরের দিনের জন্য কোনো ভাবেই রেখে দেওয়া যাবে না। কেউ যদি নিজের কাজের টাইমিংটা একেবারে পারফেক্ট করতে চান। তাহলে প্রথমেই একটি মানুষকে কাজ জমিয়ে রাখার ব্যাপারটি জীবন থেকে একেবারে জন্য বাদ দিয়ে দিতে হবে।

প্রথমের ব্যাপারটি তো গেলো। অর্থাৎ কখনোই একদিনের কাজ অন্যদিনের জন্য জমিয়ে রাখা যাবে না। এরপরে যে ব্যাপারটি অনেক বেশি খেয়াল রাখতে হবে, যে আপনি কোনো কাজের জন্য যতটুকু সময় বরাদ্দ করেছেন। তার চেয়ে যেনো কাজটিতে সময় বেশি না লাগে।

আর এরপরে যে ব্যাপারটি খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হলো আপনি সবসময় একটি কাজ একই টাইমিংয়ে করবেন না। অর্থাৎ ধীরে ধীরে সে কাজটির জন্য যতোটা সময় বরাদ্দ করছেন। সেই বরাদ্ধকৃত সময়টির ব্যবধানটি কমিয়ে ফেলবেন। অর্থাৎ কাজ দ্রুত করার চেষ্টা করবেন। এতে দেখবেন যে আপনি অনেকটা সময় বাঁচিয়ে ফেলতে পারছেন। সে সময়টিতে আপনি ভবিষ্যতের জন্য আরও নতুন কিছু কাজ করে রাখতে পারছেন। এতে করে আপনি কাজের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছেন।

আর সে সাথে আরও একটি ইম্পোর্ট্যান্ট ব্যাপার হলো। ধরুন কোনো একদিন আপনার কাজ সময় এর অনেক আগেই শেষ হয়ে গেলো। এরপরে যদি আপনি ভাবেন যে এরপরে পুরো সময়টাই অবসরে কাটিয়ে দিবেন,এটা কিন্তু ভুল। মানুষের জীবনে অবসর সময় অবশ্যই দরকার রয়েছে। কিন্তু যদি আপনি হাতে অনেকটা সময় পেয়ে যান। তাহলে সব সময় ভাববেন যে, আগামী দিনের জন্য কোন কাজটা এগিয়ে রাখলে ভালো হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ গিয়ে রাখবেন।

এই ব্যাপারগুলি আপনি যদি মেনে চলেন। তাহলে দেখবেন যে আপনার কাজের টাইমিংটা কতো পারফেক্ট হচ্ছে এবং যার কারণে আপনার কাজগুলো কতো সুন্দর ভাবে আপনি ম্যানেজ করতে পারছেন। যতোটা আগে পারতেন না।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খুব সুন্দর কথা বলেছেন, সফলতা ব্যর্থতা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। আমরা টাইমিং করে যদি কাজগুলো করি তাহলে আমাদের প্রতিটা কাজই আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। এবং আমরা অচিরেই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বাহ্! দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। জীবনে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই টাইমিং ঠিক রাখতে হয়। যে বা যারা টাইমিং ঠিক রাখতে পারে, তারাই দিনশেষে সফলতা অর্জন করতে পারে। আমিও সবসময় চেষ্টা করি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন কমপ্লিট করতে। এতে করে কাজের চাপে পরতে হয় না। তাছাড়া কম সময়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারলে তো আরও বেশি উন্নতি করা যায়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।