বেকার জীবনের কষ্ট গুলো (অষ্টম পর্ব)

in hive-129948 •  last month 

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সেদিন ও রাজন চিন্তা করছিলো বাড়ির সবাইকে কিছু ভালো মন্দ খাওয়াতে পারলে ভালো হোতো। তখনই তার মনে পড়ে পায়ের স্যান্ডেলটার দূর অবস্থার কথা। রাজন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না সে কি করবে? একবার তাই মনে হয় বাসার সবার জন্য খাবার নিলে তার নিজেরই ভালো লাগবে। আবার পরবর্তীতে মনে হতে থাকে এখন বাড়তি টাকা খরচ করলে সামনে পুরো একটা মাস তাকে এই ছেঁড়া স্যান্ডেল পড়ে কাটাতে হবে। শেষ পর্যন্ত রাজন সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত বাড়ির সবার জন্য কিছু খাবার কিনে নিয়ে যায়।


Black and Gold Fancy New Year Card_20240623_230344_0000.png

আর ফুটপাত থেকে অল্প দামের ভেতরে একজোড়া স্যান্ডেল কিনে নেবো। এই কথা চিন্তা করতে করতে রাজন যখন যাচ্ছিলো তখন হঠাৎ করে একটি গলির ভেতর থেকে অস্ত্রধারী কয়েকটা ছেলে বের হয়ে আসে। তারা অস্ত্রের মুখে রাজনের কাছ থেকে পুরো টাকাটা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় রাজনের মোবাইলটাও তারা নিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় রাজন হতবাক হয়ে যায়। তার সারা মাসের সম্বল এই অল্প কটা টাকা। সেই টাকাটা ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় সামনের মাসটা তার কিভাবে কাটবে সেই দুশ্চিন্তায় রাজন রীতিমতো ভেঙে পড়ে।

সেই সাথে তার মনে হতে থাকে দু-একদিনের ভেতর মহল্লার দোকানদারের বাকি পরিশোধ না করতে পারলে দোকানদাররাও তাকে অনেক হেনস্তা করবে। সেই সাথে তার মনে হতে থাকে সাবিহার সাথে তার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো এই মোবাইল। প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় তারা কথা বলতে পারতো। কিন্তু মোবাইলটা ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় সে পথটাও বন্ধ হয়ে গেলো। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হায়রে কপাল এমনিতেই রাজনের খারাপ দিন যাচ্ছে, এরমধ্যে বেতনের টাকাটা ছিনতাই করে নিয়ে গেলো। রাজন তো এখন আরও ঝামেলায় পড়ে গেলো। তাছাড়া মোবাইল ছাড়া সাবিহার সাথে রাজন কিভাবে যোগাযোগ করবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।