তবে দিন বদলে গিয়েছে। এই সুলতান মিয়াকে এখন একা একাই দিন কাটাতে হয়। যতদিন স্ত্রী বেঁচে ছিলো ততদিন তার তেমন একটা সমস্যা হয়নি। দুই বুড়োবুড়ি মিলে ভালই দিন কেটে যাচ্ছিলো। নিজের কিছু জমি ছিলো। সেই জমি থেকে যা আসতো সেটা দিয়ে দুই বুড়ো বুড়ির মোটামুটি ভাবে চলে যেতো। কিন্তু স্ত্রী মারা যাওয়া শুরু হয় তার অবর্ণনীয় কষ্ট। মারা যাওয়ার পর সুলতান মিয়া বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার ছেলেরা এসে তাকে সাথে করে শহরে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি বেশিদিন টিকতে পারেননি।
কারণ ছেলের বউয়ের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে তাকে আবার গ্রামে ফিরে আসতে হয়। চোখের পানির ফেলতে ফেলতে সুলতান মিয়া বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। এই সন্তানদের জন্য তিনি কত কষ্ট করেছেন। রাতদিন অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন। কখনো নিজের কোনো শখ আহ্লাদের কথা চিন্তা করেননি। সব সময় কিভাবে সন্তানদেরকে ভালো রাখা যায় সেই চেষ্টাই করেছেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সুলতান মিয়ার জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগলো। কিছু কিছু ছেলেমেয়ে এমনই করে। মাতাপিতা বৃদ্ধ হয়ে গেলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু আমরা যদি সেটা না করি,তাহলে তারা সত্যিই অসহায় হয়ে পড়ে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit