বার্ধক্যে একাকিত্বের কষ্ট (প্রথম পর্ব)

in hive-129948 •  2 days ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গ্রামের শেষ প্রান্তের ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে বাস করেন সুলতান মিয়া। সুলতান মিয়ার বয়স প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই। সারাটা জীবন তিনি গ্রামের অবস্থাপন্ন মানুষদের মাঠে কৃষিকাজ করেছেন। কখনো তিনি রোদ বৃষ্টি ঝড় এগুলোর তোয়াক্কা করেননি। তখন গায়ে শক্তি ছিলো মনে জোর ছিলো। যার ফলে অমানুষিক পরিশ্রম করতে পারতেন। আর এই কারণে গ্রামের অবস্থাপন্ন মানুষজন তাকে পছন্দ করতো। কারণ তারা জানে সুলতান মিয়াকে কোন কাজের দায়িত্ব দিলে সেটা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। সুলতান মিয়া নিজেই সব কিছু গোছগাছ করে একবারে বুঝিয়ে দেবে।

1000001322.png

তবে দিন বদলে গিয়েছে। এই সুলতান মিয়াকে এখন একা একাই দিন কাটাতে হয়। যতদিন স্ত্রী বেঁচে ছিলো ততদিন তার তেমন একটা সমস্যা হয়নি। দুই বুড়োবুড়ি মিলে ভালই দিন কেটে যাচ্ছিলো। নিজের কিছু জমি ছিলো। সেই জমি থেকে যা আসতো সেটা দিয়ে দুই বুড়ো বুড়ির মোটামুটি ভাবে চলে যেতো। কিন্তু স্ত্রী মারা যাওয়া শুরু হয় তার অবর্ণনীয় কষ্ট। মারা যাওয়ার পর সুলতান মিয়া বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার ছেলেরা এসে তাকে সাথে করে শহরে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি বেশিদিন টিকতে পারেননি।

কারণ ছেলের বউয়ের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে তাকে আবার গ্রামে ফিরে আসতে হয়। চোখের পানির ফেলতে ফেলতে সুলতান মিয়া বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। এই সন্তানদের জন্য তিনি কত কষ্ট করেছেন। রাতদিন অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন। কখনো নিজের কোনো শখ আহ্লাদের কথা চিন্তা করেননি। সব সময় কিভাবে সন্তানদেরকে ভালো রাখা যায় সেই চেষ্টাই করেছেন।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!