তারপর রিক্সাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে তিনি রীতিমতো দৌড়ে অফিসের দিকে যেতে লাগলেন। অফিসে পৌঁছে যখন তিনি তার টেবিলে বসতে যাবেন। তখন খেয়াল করে দেখেন তার পাশের টেবিলের মিজান সাহেবের টেবিলে কয়েকজন ভিড় করে কি যেনো দেখছে। রুমে ঢুকতেই তারা সবাই ফুয়াদ সাহেবের দিকে তাকিয়ে বিদ্রুপের একটা হাসি দিলো। তারপর তারা তাদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। ফুয়াদ সাহেব নিজের টেবিলে গিয়ে বসলেন। অন্য টেবিলে সবাই কি দেখছে সেটা নিয়ে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। তিনি জানেন একটু পরেই মিজান সাহেব নিজ আগ্রহে তাকে ডেকে জিনিসটা দেখাবেন।
ফুয়াদ তার চাকরির ক্ষেত্রে শতভাগ সততা বজায় রেখেছেন। কিন্তু তাতে তার কোনো লাভ হয়নি। বরং পদে পদে তাকে অপমান অপদস্ত হতে হয়। অফিসের সমস্ত কলিগ তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। ইনকাম ট্যাক্সের এই অফিস টা তে ফুয়াদ একমাত্র ব্যক্তি যিনি কোন ঘুষ খান না দুর্নীতি করেন না। কিন্তু তার অফিসের বাদবাকি সবাই উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সকলে ভয়াবহ দুর্নীতিবাজ। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলে এতজন অসৎ মানুষের মাঝে একজন সৎ মানুষ থাকলে ঝামেলার শেষ নেই। তবুও ফুয়াদ সাহেব সৎ থাকতে পেরেছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে সত্যের জয় একদিন না একদিন হবেই। তাছাড়া সৎ ব্যক্তিকে মৃত্যুর পর আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে পুরষ্কৃত করবেন। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit