বায়ু দূষণ

in hive-129948 •  27 days ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বায়ু দূষণ সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


বর্তমান সময়ে বায়ুর দূষণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা এখন আমরা হসপিটাল গুলোতে গেলে দেখতে পাই যে বেশিরভাগ লোক শ্বাসকষ্টজনিত রোগে হসপিটালে ভর্তি হচ্ছে। আসলে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেই বায়ু বিষাক্ত বায়ুতে পরিণত হয়। আসলে আমরা দেখেছি যে আগের প্রকৃতিটা কত ভালো ছিল এবং তখন বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেক বেশি কম ছিল। আসলে তখনকার মানুষের এত ধরনের কখনো রোগ হতো না। আসলে যত দিন যাচ্ছে তত গাছপালার পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন কলকারখানা বেশি বেশি করে গড়ে উঠছে। আসলে যে হারে বর্তমান সময়ে কলকারখানা বেড়েই চলেছে সেই হারে যদি বাড়তে থাকে তাহলে আমরা সব সময় আমাদের সঙ্গে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঘুরতে হবে। আসলে আমরা যখন গ্রামাঞ্চলের দিকে যাই তখন শহর অঞ্চল অপেক্ষা গ্রাম অঞ্চলের পার্থক্যটা বুঝতে পারি।


আসলে শহর অঞ্চলে যে দূষিত বায়ু আমরা গ্রহণ করে এতে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সব সময়। এছাড়াও আমরা দেখতে পাই যে শহর অঞ্চল অপেক্ষা গ্রাম অঞ্চলের মানুষদের রোগ অনেক বেশি কম হয়। কেননা এখনো গ্রামাঞ্চলের দিকে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা রয়েছে এবং সেখানকার মানুষেরা যতটা পারে ততটা গাছ লাগাতে চেষ্টা করে। আসলে গ্রামাঞ্চলের মানুষগুলো শিক্ষিত না হলেও তারা শিক্ষিত লোকেদের থেকে অনেক বেশি ভালো। আসলে শহর অঞ্চলের লোকেরা শহরে এসে ভিড় জমায় এবং অতিরিক্ত গাছপালা কেটে সেখানে বসবাস করার জন্য বাড়ি ঘর তৈরি করে। আসলে এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য যেমন প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত ঘরবাড়ি এবং এই অতিরিক্ত ঘরবাড়ির জন্য প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত জায়গা। আর এজন্য তারা বিভিন্ন বন জঙ্গল কেটে ফেলে সেখানে বসবাসযোগ্য বাড়ি তৈরি করে।


এখন প্রতিটা পরিবারে গেলে দেখতে পাই যে সেই পরিবারের কোনো না কোনো একজন সদস্য এই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছে। এছাড়াও আমরা জানি যে গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং পরিবেশে অক্সিজেন ত্যাগ করে। কিন্তু গাছপালার সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে অতিরিক্ত মানুষের জন্য প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত যানবাহনের। এখন আমরা বাইরে চলে গেলে দেখতে পাই যে রাস্তায় কি পরিমান গাড়ি চলাচল করে এবং রাস্তায় প্রায় সময়ই বিভিন্ন ধরনের যানজট লেগে থাকে। আর এই গাড়ি থেকে যে দূষিত ধোঁয়া বের হয় সেই ধোঁয়া বায়ুতে মিশে বায়ুকে দূষিত করে সব থেকে বেশি। আর যেসব কলকারখানা গড়ে ওঠে সেসব কলকারখানা থেকে তো প্রতিনিয়ত দূষিত ধোঁয়া বের হচ্ছে।


আসলে সরকার যদি এই বায়ু দূষণ সম্পর্কে সচেতন হয়ে বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে হয়তোবা একটু হলেও বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেকটা কমে যেতে পারে। আর আমাদের আশেপাশের যেসব অবৈধ কলকারখানা গড়ে উঠছে সেসব কলকারখানা থেকে যে দূষিত বায়ু বের হচ্ছে এইসব অবৈধ কলকারখানার বিরুদ্ধে তারা যদি কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে সেসব কলকারখানা বন্ধ করে দেয় তাহলে হয়তোবা আরেকটু বায়ু দূষণের পরিমাণ কমতে পারে। আর আমাদের সবাইকে এই বায়ু দূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং পলিথিনের ব্যবহার কমাতে হবে। কারণ আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণ পলিথিন ব্যবহার করি তাহলে কিন্তু বায়ু সব থেকে বেশি দূষিত হয়। কেননা পলিথিনের আগুন থেকে যে ধোঁয়া বের হয় সেই ধোঁয়া কিন্তু সব থেকে বেশি বায়ু দূষিত করে। তাইতো আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে এই বায়ু দূষণের সকল দিকগুলো বন্ধ করে প্রকৃতিকে এক সুন্দর প্রকৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

"আশাকরি সবার খুব ভালো লেগেছে এই পোস্টটি 😊। আমাদের পরিচিত অধ্যাপকজী বারুণ-এর পরবর্তী লেখা, নিশিরননের মন ভেসে গেছে 🌃।

আপনি যারা এটা কমেন্ট করতে ইচ্ছুক, বিষয়বস্তুতে নজর দিলেই অশ্রু ভরা হয়ে যায় 😊।

নিকটবর্তী পোস্টে আমি নতুন ধারা এনে আলোচনার শৃঙ্খল গড়ে তুলব 📺।

পরবর্তীকালে দিন যদি আমার সোনার-মেঘের ছায়ায় আঁধার হয়ে যাবে 🌃, তখন কিন্তু ভালোই সবার থাকবে।

এই শেষ।"