মুগ্ধ তার মাকে অনেক কিছু বলে বোঝানোর চেষ্টা করলো। শেষ পর্যন্ত সে তার মাকে বলল তাহলে আমি একটা লাইফ জ্যাকেট কিনে নিয়ে যাচ্ছি। তাও আমাকে যেতে দাও প্লিজ। সেখানকার মানুষ খুব কষ্টে আছে। তাদের কষ্ট দেখে আমার আর ভালো লাগেনা। শেষ পর্যন্ত মুগ্ধর পীড়াপীড়িতে তার মা তাকে যেতে দিতে রাজি হোলো। তারপর দিন মুগ্ধ আর সবুজ বাকি ছেলে-মেয়েদের সাথে রওনা দিলো বন্যা দুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে। তারা একটা ট্রাকে অনেক ত্রান সামগ্রী নিয়ে সেই ট্রাকে করেই রওনা দিয়েছে। মুগ্ধরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্যা দুর্গত এলাকায় পৌঁছে সেখান থেকে একটা নৌকা ভাড়া করে তারা সেখানে ত্রাণ বিতরণ করবে।
মুগ্ধ সবার দিকে তাকিয়ে দেখে তার মত যারা সাঁতার জানে না তারা সবাই সাথে করে লাইফ জ্যাকেট এনেছে। বন্ধুবান্ধব মিলে সবাই একসাথে আড্ডা দিতে দিতে বেশ ভালোই লাগছিলো তাদের। তবে বন্যা দুর্গত এলাকায় পৌঁছে যখন তারা থাকার জন্য তেমন কোনো জায়গা খুঁজে পেলো না। তখন মুগ্ধ বুঝতে পারলো বন্যায় ত্রান দেয়া আসলেই বেশ কষ্টকর কাজ। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।