অহংকারী পতন অনিবার্য (তৃতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  last month 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সবাই বলতে লাগলো এই অফিসে আর কাজ করা যাবে না। যেখানে কর্মচারীদের কোনো সম্মান দেয়া হয় না। সেখানে কাজ করার থেকে চলে যাওয়াই ভালো। আহাদ সাহেব আশেপাশে তাকিয়ে দেখেন সবারই একমত। এর ভেতরে তারা শুনতে পান সাহেদ অফিসের পিয়নের সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। কিছুক্ষণ পর পিয়ন তার রুম থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে গেলে সবাই পিয়নকে জিজ্ঞেস করলো কি ব্যাপার কি হয়েছে? তখন পিওন যেটা বললো সেটা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো। পিয়ন বলল চায়ে চিনির পরিমাণ একটু বেশি হয়ে যাওয়ায়।

Polish_20240812_230916733.jpg

তিনি আমার দিকে চা ছুড়ে মেরেছেন। আর খুব খারাপ কিছু গালি দিয়েছেন। আর আমাকে বলেছেন এরপর থেকে কাজে মনোযোগ না দিলে ঘাড় ধরে অফিস থেকে বের করে দেবেন। বৃদ্ধ পিয়নের চোখ দিয়ে পানি পড়তে দেখে সবার মনে সহানুভূতি জাগলো। অফিসের এই পিয়ন একদম প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই কাজ করছে। সাহেদের বাবা এই পিয়নকে কখনোই কিছু বলেনি। পিয়ন বলে তাকে কখনো অবজ্ঞা করেননি। বরং তার সাথে পিওনের বেশ ভালো সম্পর্ক ছিলো। মালিক হলেও তিনি সবসময় হেসে হেসে পিয়নের সাথে গল্প করতেন।

এই পিয়নের কাছ থেকেই তিনি অফিসের কর্মচারীদের সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতেন। অফিসের পিয়ন যে অফিসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটা শাহেদ বুঝতে পারেনি। কয়েকদিনের ভিতরে পুরো অফিসের স্টাফরা শাহেদের ওপর পুরোপুরি বিরক্ত হয়ে গেলো। দু একজন তো তার মুখের উপর চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে চলে গেলো। তাদের চাকরি ছাড়ার রাগ শাহেদ অন্যদের উপর মেটানোর জন্য আরও বেশি খবরদারি শুরু করলো। একদিন আহাদ সাহেব বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যে অফিসে শাহেদের মতো বস থাকে, সেই অফিসে কেউ চাকরি করতে পারবে না। এমন অহংকারী এবং বদমেজাজী লোকের পতন অনিবার্য। সবাই একসাথে চাকরি ছেড়ে দিলে খুব ভালো হতো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।