আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা আমাদের জীবনের প্রথম শিক্ষাটা পাই আমাদের বাবা-মা এর কাছ থেকে। কারণ তাদের কাছেই আমাদের মানুষ হওয়া। তাদের কাছেই আমাদের জন্ম এবং তাদের কাছেই আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। কিন্তু আমাদের জীবনের তাদের সাথে সাথে যে মানুষগুলো অনেক বড় একটি ভূমিকা রাখে। তারা হলো আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকার গণ।
আপনারা কখনো উপলব্ধি করতে পেরেছেন কিনা জানি না। তবে আমি খুব ভালোই উপলব্ধি করতে পারছি কিংবা অনেক আগে থেকেই উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, আগের শিক্ষক-শিক্ষিকা আর এখনকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেক বেশি তফাৎ রয়েছে। আমি কিন্তু এখানে সকল টিচারদের কথা বলছি না। আমি গুটিকয়েক শিক্ষক-শিক্ষিকা দের কথা বলছি।
আমার আসলে আজকে বলার মূল ব্যাপারটি হলো। আগের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ কখনোই অন্যায়ের সাথে আপোস করা শেখাননি।আমাদের শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে থেকেছেন এবং আমাদেরকেও সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকাই শিখিয়েছেন। সেটা যে কারো ক্ষেত্রে, যে কোনো পরিস্থিতিতে, যে কোন মূল্যে।
কিন্তু ও বর্তমান শিক্ষকদের অবস্থানটা একেবারেই অন্যরকম। অর্থাৎ তারা নিজেরাই এতোটা ভীত থাকে নিজেদের চাকরি বাকরি, নিজেদের স্ট্যাটাস, নিজেদের পাওয়ার, নিজেদের আয়,উন্নতি নিয়ে, যে তাদের আসলে কোনো উপরমহল থেকে যখন সিদ্ধান্ত জানানো হয় যে শিক্ষার্থীদের একটা ভুল তথ্য দিতে। কিংবা শিক্ষার্থীদের একটা ভুল বাধা দিতে। সেখানে সেই বাধাটি তারা দিতে একটুও কার্পণ্য বোধ করেন না। এবং তাদের কাছে আসলে তাদের বিবেক কেও প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে না যে, তারা ঠিক করছে নাকি ভুল।
শিক্ষকরা আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান। আমাদের পিতা-মাতার পরে আমাদের জীবনে তাদের অবস্থানটাই সবচেয়ে শ্রেয়। কারণ আমরা আমাদের জীবনের যতোগুলো মূল্যবান কোনো কিছু জানতে পারি। আমাদের জীবনের শিখর থেকে আমাদের জীবন এর সর্বোচ্চ উচ্চতা পর্যন্ত ওনাদের অবদান থাকে অপরিসীম। আর ঠিক এই সুযোগটাই কিছু অসৎ-শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়ে আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেন এবং নিজেরাও ভীত সন্ত্রস্ত থাকেন। তাদের এই ভীতু হওয়াটাই আমাদের জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ। কারণ গোটা একটা জেনারেশন দেখছে যে, তাদের শিক্ষক অনেকের ভয়ে মুখ খুলছে না। সেখানে তার পরবর্তী জেনারেশন কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে, আপনারাই বলুন!
তাই আমার মতামত হলো। যদি কেউ শিক্ষক-শিক্ষিকার মতো পবিত্র চাকরি টি বেছে নেন। তাহলে অবশ্যই আপনাদের দায়িত্ব হয়ে যায়, আপনারা আপনাদের সন্তান সমতুল্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শেখাবেন। নিজেরা কখনো ভীত হয়ে পিছু ফিরবেন না।