সমস্ত কথাবার্তা শুনে আহাদের মনটা বেশ খারাপ হোলো। তিনি সেদিন বাড়িতে ফিরে মন মরা হয়ে বসে রইলেন। তার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তখন তার কাছে সবকিছু খুলে বললেন। সব শুনে তার স্ত্রী বললো সবকিছু হয়েছে ওই অহংকারী লোকটার জন্য। অহংকারীর জীবনে কখনো ভালো হয় না। যাই হোক আহাদের জীবনটা বেশ ভালই চলছিলো। এর ভিতরে তার অফিসে নতুন কিছু লোক নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন পড়লে তিনি মালিকের সাথে পরামর্শ করে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেন। চাকরির ভাইভার দিন তিনি আর মালিক দুজন বসে সবার ভাইভা নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে তিনি দেখেন ভাইবা দেওয়ার জন্য পুরাতন অফিসের মালিকের ছেলে সাহেদ সেখানে প্রবেশ করেছে। শাহেদ সেখানে এসে আহাদ সাহেবকে দেখে হতবাক হয়ে যান।তবে আহাদ সাহেব এমন ভাব করেন যে তিনি শাহেদকে চিনতেই পারেননি।
ভাইভাতে তারা সাহেদকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। কিন্তু শাহেদ বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। সাহেদ বুঝতে পারে এখানে তার চাকরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। কারণ একে তো আহাদ সাহেবের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো খুবই খারাপ। দ্বিতীয়ত সে ভাইবাতে তেমন ভালো করতে পারেনি। ভাইভা শেষে যখন শাহেদ মন খারাপ করে বের হয়ে যাচ্ছিলো রুম থেকে। তখন আহাদ সাহেব তাকে পেছন থেকে ডাক দেয়। তাকে ডেকে বাইরে বসতে বলে। কিছুক্ষণ পরে আহাদ সাহেব আবার সাহেদাে ভিতরে ডেকে পাঠায়। সাহেদ সেখানে এলে অফিসের মালিক সাহেদকে বলে আমার আপনাকে নেয়ার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। তবে আহাদ সাহেবের অনুরোধে আপনাকে নেয়া হোলো। কিন্তু আগামী ৬ মাস আপনার আসার ব্যবহার এবং কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করা হবে। যদি সবকিছু সন্তোষজনক থাকে তাহলে আপনার চাকরি পার্মানেন্ট হবে। শাহেদ এই কথা শুনে অবাক হয়ে আহাদ সাহেবের দিকে তাকিয়ে রয়।আহাদ সাহেব তখন দেখতে পায় সাহেদের দুচোখ গড়িয়ে অশ্রু ঝরছে। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শাহেদের পতন হবে সেটা আগেই ভেবেছিলাম। তবে আহাদ সাহেবের মতো ভালো মানুষ পৃথিবীতে আছে বলে এখনো পৃথিবীটা টিকে রয়েছে। শাহেদকে চাকরি পাইয়ে দিয়ে আহাদ সত্যিই খুব ভালো মনের মানুষের পরিচয় দিয়েছে। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit