কয়েকদিন পরে বিকেলে যখন অফিস থেকে সোহেল বাসায় ফিরছিলো। তখন দেখে খলিল মিয়া মন খারাপ করে আনমনে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। তাকে দেখে সোহেল ডাক দেয়। খলিল মিয়া কাছে আসলে সোহেল জিজ্ঞেস করে কি ব্যাপার আপনার মন খারাপ মনে হচ্ছে? কোন সমস্যা হয়েছে নাকি? খলিল মিয়া বলে না বাবা তেমন কোন সমস্যা নেই। তখন সোহেল বলে সমস্যা হলে আমাকে বলতে পারেন। তখন লোকটা বলে ঘরে একটা চালও নেই। বাড়ির সবাই না খেয়ে আছে। কিছু টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছি। কিছু টাকা জোগাড় করতে পারলে এক কেজি চাল নিয়ে বাড়িতে ফিরবো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সোহেল তখন তাকে বলে আপনি নিজে কাজবাজ কিছু চেষ্টা করেন না কেন? তখন খলিল মিয়া বলে কাজের চেষ্টা অনেক করেছি বাবাজি। কিন্তুু বুড়ো লোক বলে কেউ কাজে নেয় না। তখন সোহেল পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে দিয়ে তাকে বলে নিন চাল কিনে নিয়ে বাড়ি যান। টাকাটা পেয়ে খলিল মিয়ার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে।
খলিল মিয়া বলে বাবাজি আপনার জন্য আমি আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করি। আল্লাহ যেনো আপনাকে অনেক বড় মানুষ বানায়। এই কথা বলার সময় সোহেল খলিল মিয়ার চোখেমুখে যে আনন্দ দেখতে পায় সেটা দেখে তার মন ভালো হয়ে যায়। এভাবেই মাঝে মাঝে খলিল মিয়া সোহেলের কাছে সাহায্যের জন্য আসতে থাকে। একদিন সন্ধ্যার সময় সোহেল ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছিলো। এর ভেতর হঠাৎ করে কলিংবেলের শব্দ পেয়ে দরজা খুলে দেখে খলিল মিয়া দাঁড়িয়ে আছে। হাতে ছোট্ট একটা মিষ্টির প্যাকেট। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সোহেলের মন-মানসিকতা আসলেই খুব ভালো। তাইতো খলিল মিয়াকে সোহেল বারবার সাহায্য করে। বর্তমানে এমন মানুষ খুবই কম আছে। তবে মানুষ হিসেবে একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করা অবশ্যই দরকার। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit