আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
মেয়ের জ্বর নিয়ে ভোগান্তির স্বীকার
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে বর্তমান প্রায় ঘরে ঘরে অসুস্থ লেগেই আছে। আমাদের পরিবারের একজনের না একজনের অসুখ লেগেই আছে। একজন একটু সুস্থ হচ্ছে আবার আর একজন অসুস্থ হচ্ছে। এভাবে চলছে কয়েক সপ্তাহ। সবাই যেন মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে আমার ছোট মেয়ে আজ দুদিন ধরে অনেক জ্বর। আসলে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একটু জ্বর এসেছিল। নাপা খেয়ে দিয়েছে। আর তেমন জ্বর আসেনি।তবে শুক্রবার বিকেল থেকে জ্বর বাড়তে থাকলো।এদিকে সন্ধ্যা লেগে গেল। তারপর জ্বর ও বাড়িতে লাগলো। জ্বর উঠে গেল ১০৪°। সেই রাতে কোন উপায় না দেখে সাপোজিটার দিয়ে দিলাম। কিন্তু কিছুতেই জ্বর পড়ছে না। তারপর সারারাত ধরে অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন ভোর হবে।আসলে দুঃখের রাত সহজে শেষ হয় না। যাইহোক এভাবে রাতভর অপেক্ষা করতে করতে আজান হলো। আজান হলেই উঠে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গুছিয়ে নিলাম। তারপর সকালে শুধু চা বানিয়ে খেয়ে রওনা দিলাম ডাক্তারের চেম্বারে।আসলে উনারা ছয়টা থেকে সিরিয়াল নেয় আর সাতটা থেকে রোগী দেখা শুরু করে। আমরা গিয়ে পৌঁছালাম সাড়ে সাতটায়।তাহলে শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
প্রথমে আমরা চলে গেলাম আরোগ্য সদন হসপিটালের তিনতলায়। আমরা গিয়েছিলাম সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। এতো সকালেই দেখি অনেক ভীর। আসলে এদিকে ভীর আর অন্য দিকে মেয়ের জ্বর দুটি মিলে বেশ বিপদে ছিলাম।
তারপর মেয়েকে তার বাবার সাথে বসিয়ে রেখে চলে আসলাম টিকিট কাটার জন্য। টিকিট কাটা হলো। তখন আমাদের সিরিয়াল নম্বর ছিল ৮০। এতো সকালে গিয়ে ও এতো সিরিয়াল নম্বর তাহলে আর কি করব। সিরিয়াল নম্বর দিয়ে বসে রইলাম দুই ঘন্টা। কিছু করার নেই মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে হবেই। আমরা সবাই এমন ভোগান্তির স্বীকার হয় জীনের অনেক ক্ষেতেই। সত্যি আমাদের কিছু করার থাকে না এমন পরিস্থিতিতে।
দুই ঘন্টা পর আমাদের ডাক পড়লো। তারপর ভিজিট দিয়ে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলল। এদিকে জ্বর কমছেই না। কিছু ক্ষণের মধ্যে আমরা ভিতরে চলে গেলাম। ডাক্তার দিখে কয়েকটি ঔষধ লিখল আর ডেঙ্গু পরিক্ষা করতে দিল।
তারপর আমরা চলে গেলাম গ্রীণ হসপিটালে ডেঙ্গু পরিক্ষা করার জন্য। তবে হসপিটাল নতুন করেছে তারপরেও অনেক ভীর। অবশেষে আধাঘন্টা পরে ব্লাড দিলাম। ব্লাড দেওয়ার প্রায় দুই ঘন্টা পরে আমাদের রিপোর্ট দেবে।তখন বাজে দশটা এখনো সকালের নাস্তা করিনি।আসলে বাচ্চা অসুস্থ থাকলে খাওয়া দাওয়া কেন কোন কিছুর সময় থাকে না। আসলে হসপিটালের নিকটেই ছিল আমার ননদের বাসা।হেঁটে যেতে পাঁচ মিনিট লাগে। ব্লাড দিয়েই চলে আসলাম আমার ননদের বাসায়। এমনি অনেক ভীর তারপর অনেক গরম আবার বাচ্চাটার অনেক জ্বর সব মিলে বেশ কষ্ট সময় যাচ্ছে। ননদের বাসায় গিয়ে মেয়ে কে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আসলে ঔষধ তো খাওয়ায়নি তাই জ্বর পড়ছে না।
প্রায় দুই ঘন্টা পরে আবার মেয়েকে রেখে একাই চলে আসলাম গ্রীণ হসপিটাল রিপোর্ট নেওয়ার জন্য। তবে রিপোর্ট আনতে গিয়ে তেমন দেরি হয়নি। আমি রিপোর্ট কাউন্টারে জিজ্ঞাসা করায় উনারা বললো রিপোর্ট নেগেটিভ। তখন একটু ভালো লেগেছিল। তারপর তারাতাড়ি রিক্সা নিয়ে ডাক্তারকে রিপোর্ট দিখিয়ে চলে আসলাম। সত্যি যখন ভালো হয় সব দিকে হয়। ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখে কোন সময় লাগে নি। যদিও ভীর ছিল। কিন্তু উনারা আমাকে সাথে সাথে রিপোর্ট নিয়ে ভিতরে যেতে বললো।ডাক্তার ঔষধ গুলো নিয়ে যেতে বললো।
ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়েই চলে আসলাম ঔষদের দোকানে। তারপর সব ঔষধ কিনে ননদের বাসা থেকে মেয়ে ও আপনার ভাইকে নিয়ে চলে আসলাম। সত্যি অনেক দিন পরে জ্বরের জন্য এভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হলো।যাইহোক ঔষধ খাওয়ার পর বাচ্চাটা আগের থেকে সুস্থ। তবে খাওয়া দাওয়া একেবারে করছে না।জ্বর এখনো আছে ।আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আব৭দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
বর্তমান আবহাওয়া খুব খারাপ। আপু আপনার মেয়ের জ্বর জেনে খুব খারাপ লাগলো। বাচ্চাদের কোন সমস্যা হলে কোন কিছুই ভালো লাগে না। দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার মেয়েকে তারাতাড়ি সুস্থ করে দেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া দোয়া করবেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে, ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমেই ভাগ্নীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।আসলে এখন ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে।দিনে গরম রাতে ঠান্ডা পড়ছে হঠাৎ করেই। এমন সময় রোগের প্রকোপ বেশি হয়। দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে ভাল করেছেন।প্রার্থনা করি জলদি সুস্থ হয়ে উঠবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া দোয়া করবেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। আসলে জ্বর অনেক ছিল তাই তারাতাড়ি যেতে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আর বলবেন না আপু এই জ্বরের কবলে আমার পুরো পরিবার এবং আশেপাশে দেখছি সবারই প্রায় জ্বর ধরছে। আর এই জ্বরে অবস্থা একদম কাহিল হয়ে পড়ছে সবার।মেয়েকে ভালোভাবে দেখে শুনে রাখবেন আপু। মেয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আমরা ও পুরো পরিবার তবে এক এক করে, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময় আসলে রোগ নিয়ে কি আর বলব। এগুলো কিন্তু ঘরে ঘরে লেগে আছে আপু। আমাদের ঘরে দুই মেয়ের ঠান্ডা লেগেছে। তবে হালকা হালকা জ্বর আসছিল আমি ওষুধ খাওয়াই দিছি। কিন্তু গতকাল থেকেই দেখছি বড় মেয়ের কাশির পরিমাণ একটু একটু বাড়তেছে। মনে হয় এই ঝামেলার অনেক দূর এগিয়ে যাবে। মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলেন অনেক ভালো হলো। আশা করি ভালো হয়ে যাবে দোয়া রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু এখন ঘরে ঘরে একই অবস্থা, দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে জ্বর যেন প্রত্যেকটা মানুষের ঘরে ঘরে। আর এর মধ্যে তো ডেঙ্গুর প্রকপ্ত রয়েছে। আজকে দেখলাম ৮০০ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে। কয়দিন ধরে আপনার মুখ থেকে শুনতেছি আপু যে আপনার মেয়ের খুব জ্বর। আর এটা নিয়ে যে কতটা ভোগান্তি হয়েছে আপনার সেটা তো আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম। দোয়া করি আপনার মেয়ে যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে, ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ছোট বড় সবাই প্রায় অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আর এর মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু। এখন আমরা যে কোন হাসপাতালে গেলেই প্রথমে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হয়। পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপু আপনি অনেক ভোগান্তরে শিকার হয়েছেন। দোয়া করি আপু আপনার মেয়ে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ছোট বড়
সকলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমি নিজেও অসুস্থ তবে আপনার মেয়ে অসুস্থতার কথা শুনে অনেক খারাপ লাগলো। দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা আপনার মেয়েকে তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করুক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit