রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদের খাওয়ানো

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ

রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদের খাওয়ানো

20230419_151347.jpg

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো বাচ্চাদের রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো।আসলে কয়েক দিন আগে মেয়েদেরকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছি। তবে আমরা সকাল এগারোটার সময় গিয়েছিলাম। ডাক্তার আসতে আসতে সাড়ে বারেটা বাজল।এদিকে দুজনেই না খাওয়া। তারপর আমি নিচে নেমে দুটি জুস কিনে দিলাম। যেহেতু দাঁতের কাজ একটু সময় নিয়ে করতে হয়। দুজন রোগী দেখতে দেখতে বেজে গেল দুইটা। আমারা ডাক্তার দেখিয়ে বের হলাম তিনটার সময়। আমাদের কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা ছিল, এদিকে বাচ্চাদের ক্ষুধা লেগেছে, তাই পাশেই মোহাম্মদীয়া রেস্টুরেন্টে ছিল সেখানে নিয়ে গেলাম। আসলে যে হারে গরম সহ্য করার মতো নয়। আমি জিঙ্গাসা করলাম কি খাবে ওরা বলল নান রুটি আর গ্রিল খাব।আসলে খেতে চায় কিন্তু খেতে পারে না। তারপর যেহেতু খাবে আমি বললাম অর্ধেক দিন।

20230419_152024.jpg

20230419_152005.jpg

প্রথমে আমরা রেস্তোরাঁর ভিতরের দিকে চলে গেলাম। যেহেতু দুপুর বেলা সেই ক্ষেত্রে বেশ ভালোই লোকজন ছিল। তারপর আমি গিয়ে এক পাশে দুই মেয়ে কে বসালাম। ভিতরের পরিবেশ টা মোটামুটি তেমন খারাপ না, তবে সেখানে একটু গরম বেশি ছিল।

20230419_151520.jpg

20230419_151510.jpg

ওয়েটার ভাত ডাল,নান,চিকেন চাপ ইত্যাদি খাবার লোক দের দিতে ব্যস্ত।আমাদের বলল একটু বসুন। আমি জিনিস পত্র নিয়ে বাচ্চাদের টেবিলে বসিয়ে দিলাম।

20230419_151445_HDR.jpg

আসলে গরমে দুজনেই অস্হির হয়ে পড়েছে। তারপর দুজনে চুপচাপ টেবিলে বসে রইল। তবে এদিকে গরম আর অন্য দিকে ক্ষুদা লেগেছে। দুটি মিলে অবস্থা বেশি খারাপ। আসলে বেশি ক্ষুদা লাগলে যা হয় আরকি।

20230419_151734.jpg

20230419_151720_HDR.jpg

20230419_151633.jpg

বিশ মিনিটের মধ্যে ওরা আমাদের মাঝে খাবার দিল। গ্লিল দেখে আমার মেয়ে অনেক খুশি। আসলে ওরা গ্রিল অনেক পছন্দ করে কিন্তু গরমের জন্য আর খেতে পারল না। নান রুটি, গ্রিল ও সালাদ। আমার বড় মেয়ে একটা নান রুটি ও একটু গ্রিল খেল তবে ছোট টা একটু ও খেলে না। অবশেষে একটা নান রুটি ওনাদের ফেরত দিয়ে দিলাম। তবে খাবারের মান মোটামুটি ভালোই। আসলে রেস্টুরেন্ট অনেক পুরাতন তাই নতুনের ছোয়া একটু কম। কারণ গরমের জন্য লোকেরা অস্হির।

20230419_152423_HDR.jpg

বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমি টাকা জমা দিয়ে চলে আসলাম। যাইহোক সব মিলে আমরা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনলিংক

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্রিল আর নান রুটি খেতে সবাই পছন্দ করে। যেহেতু বাচ্চাদেরকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন তাই তো অনেকটা দেরি হয়েছে। আসলে ছোটরা ক্ষুধা লাগলে আরো বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। তবে মামনিরাতো তেমন কিছুই খেলো না। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। আপু আপনার এই পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

জি আপু তেমন কিছুই খায় না, আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।

ইদানিং দাঁতের সমস্যা ছোট বড় সবারই হচ্ছে এক খারাপ অবস্থা। বাচ্চারা বাইরে গেলে খাওয়ার আগ্রহটা বেশি দেখাই আপু খুব কারণ হচ্ছে যে চিকেন খাওয়ার আর আইসক্রিম খাওয়ার আর কিছু না😄😋। গ্রিল দিয়ে আর নান রুটি দিয়ে খেয়েছে অনেক মজার খাবার। ব্লগ টি পড়ে অনেক ভাল লেগেছে।

জি আপু অনেক মজার খাবার, আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।

ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় গ্রিল খেতে পছন্দ করেনা এরকম মানুষকে কমই আছে। বর্তমান সময়ের নান রুটির সঙ্গে গ্রিতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে আপনার মেয়েও দেখছি ঠিক সে রকমই সে একজন গ্রিলপ্রেমী মানুষ হাহাহা। মাঝে মাঝে বাচ্চাদের সাথে করে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করা উচিত বলে আমি মনে করি এতে করে ওরা বাইরের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আসলে ভাইয়া ওরা প্রায়ই রেস্টুরেন্টে খায়, তবে তুলনামূলক ভাবে খুব কম খায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ছোট ছেলে মেয়েরা সব সময়ই বাহিরের বা রেস্টুরেন্টের খাবার খুব বেশি পছন্দ করে। তবে এই গরমে কোন খাবার ই ভালো লাগে না। যেটা আপনার পোস্টে বোঝা যাচ্ছে। আমাদের সবারই উচিৎ মাঝে মাঝে আমাদের বাচ্চাদের কোন জায়গায় ঘুরাতে নিয়ে যাওয়া বা কোন ভালো রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়া।

জি ভাইয়া গরমে কোন খাবার ভালো লাগে না, আসলে মাঝে মাঝে বাচ্চাদের বাইরে নিয়ে গেলে অবশ্যই ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

বাচ্চাদের ডাক্তার দেখতে গিয়ে অনেকটা লেইট হলো এবং মার্কেট করে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি ওরা।তাই পাশের রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করলেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু

গ্রিল আর বাটার নান আমার নিজেরও ভীষণ প্রিয় । কিন্তু সত্যি বলছি আমিও বেশি খেতে পারি না আপু। আর একটু স্পাইসি হলে তো কথাই নেই, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে হয়। যাইহোক ছোট বাচ্চাদের আবদার যে পূরণ করেছেন এটা কিন্তু আমার অনেক ভালো লেগেছে। বাচ্চারাও অনেক খুশি হয়েছে। আর গরমের মাঝে যেটুকু খেয়েছে এটাই অনেক। আমার তো মনে হয় এই অসহ্য গরমে এই ধরনের খাবার একটু কম খাওয়ায় বেশি ভালো।

এটা সত্যি বলেছেন এই গরমে এ জাতীয় খাবার কম খাওয়া অনেক ভালো, ধন্যবাদ আপনাকে।