জেনারেল রাইটিং :- হঠাৎ অসুস্থ হওয়া সবাই

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

জেনারেল রাইটিং :- হঠাৎ অসুস্থ হওয়া সবাই

1000021011.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আসলে মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক। আপনারা অনেকেই জানেন আমি কয়েক দিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম।আসলে ঢাকার শহর সবার জন্য নয়।সবার জন্য বলতে আমাদের জন্য মোটেও নয়।গত বুধবারে বাচ্চাদের নিয়ে গিয়েছে ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবো বলে । আসলে সব সময় সুযোগ হয় না এবার যেহেতু সুযোগ পেলাম তাই সাথে সাথে চলে গেলে বাচ্চাদের সব কিছু দেখানোর জন্য। যাইহোক যাবার সময় পদ্মাসেতু পর্যন্ত সবাই বেশ ভালোই ছিল। পদ্মাসেতু পার হবার পর থেকেই শুরু হল বমি। আসলে গাড়ির ভিতরে এভাবে বমি করলে কতটা ক্লান্ত লাগে যে করে শুধু সেই জানে।অনেক দিন এ ভাবে লং জার্নি করিনি তারজন্য বেশ খাবার লেগেছিল।

তারপর অনেক কষ্টে বোনের বাসায় গিয়ে পৌঁছালাম। তারপর বাসায় গিয়ে সবাই মোটামুটি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। একটু রেস্ট নিয়ে সবাই কিছু খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। তারপর উঠে সবার সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম।এভাবে চলে গেল দুইদিন। তারপর তৃতীয় দিন চলে গিয়েছি বাচ্চাদের জন্য একটু কেনাকাটা করার জন্য। আসলে মেয়ে যেতে চেয়েছিল নিউমার্কেট কিন্তু আমি বমি করি দেখে আর যাওয়া হয়নি। তারপর উত্তর বাড্ডার পাশেই সুবাস্ত মার্কেট। সেখানে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করেছি।গতকাল শনিবারে সবাই মিলে গিয়েছিলাম জাতীয় চিড়িয়াখানায়। আসলে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে পা ব্যথা হয়ে যায়। যদিও আমি আগে কয়েক বার গিয়েছি কিন্তু বাচ্চাদের দেখানোর জন্য এবার গিয়েছি।চিড়িয়াখানা নিয়ে হয়তো আর একদিন পোস্ট লিখবো।

চিড়িয়াখানা যাবার সময় মোটামুটি ভালোই গিয়েছিলাম। তবে মাঝে বমি ও হয়েছে। তারপর চিড়িয়াখানার ভিতরে ঢুকে প্রায় তিন ঘন্টার মতো সব কিছু দেখেছি।চিড়িয়াখানা থেকে তিনটার দিকে বের হয়ে বাসায় আসার জন্য গাড়ি খুঁজতে লাগলাম। এদিকে ভাগ্নে সবাইকে ফুচকা বা চটপটি খেতে বলল।আসলে আমরা লোক ছিলাম সাতজন।তবে সবাই ফুচকা খেলেও আমরা দুই বোন খায়নি।আসলে আমার এতটা খারাপ লেগেছিল খাবার মুখে দেবার ইচ্ছে ছিল না।


যাইহোক চারটার দিকে আমরা সবাই মিলে গাড়িতে উঠলাম বাসায় আসার জন্য। যেখানে বাসায় আসতে এক ঘন্টা সময় লাগে সেখানে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লেগেছিল। আসলে ঢাকার শহরে জ্যামটা অনেক ভয়ানক।তারপর আবার কোথায় যে ব্রিজ ভেঙে পড়েছিল তারজন্য আরো সমস্যা হয়েছে। যাইহোক সাতটার দিকে আমরা বাসায় এসে পৌঁছালাম। আর বাসায় আসার পরেই শুরু হলো বমি। আসলে শুধু আমি না আমরা সাত জনের চারজন একেবারে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।আসলে বমি করতে করতে আমার বোনের গলা দিয়ে রক্ত পর্যন্ত বের হয়েছিল। এদিকে আমি ও রাত বারোটা পর্যন্ত বমি করেছি।আর আমার ছোট ভাগ্নে ও আজ সকাল পর্যন্ত বমি। এদিকে আমার মেয়ে দাঁতের ব্যথায় অস্হির। তারপর আজ সকাল ৭.৪০ মিনিটে টিকিট কেটে ফরিদ পুর চলে এসেছি।যদিও অনেক অসুস্থ ছিলাম সারাদিন। মেয়েটা দাঁত ব্যথায় অসুস্থ। আগামীকাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। এখন একটু ভালো লেগেছে তাই পোস্টটি লিখলাম। সত্যি ঘুরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে চলে এলাম না ঘুরে। যাইহোক সুস্থ থাকলে হয়তো আবার যেতে পারবো।আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি।

প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

1000021012.jpg

1000021013.jpg

1000021015.jpg

আপু অনেক সময় জার্নি করলে বা এক পরিবেশ থেকে অন্য পরিবেশে গেলে এমন বমি বা অসুস্থতার সমস্যা হয়। তবে আপনার অতিরিক্ত বমি হয়েছে এতে শরীর অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে। আপনারা সাতজন ছিলেন তার মধ্যে চারজনই অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন। আবার আপনার ছোট মেয়ের দাঁতের ব্যথা সব মিলিয়ে খুবই খারাপ একটি মুহূর্তের মধ্যে রয়েছেন। দোয়া করছি আপু আপনাদের সবার জন্য যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আরো বেশি বেশি দোয়া রইল আপনার মেয়ের জন্য যেন কালকে ডাক্তার দেখিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে যায় দাঁতের ব্যথা। শুভ কামনা রইল আপু ‌।

পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

যদি আমরা নিরিবিলি সময় কাটাতে চাই তাহলে ঢাকা শহর আমাদের জন্য আসলে পারফেক্ট নয়। এমন একটি শহরে ঘোরাঘুরি করা খুবই বিরক্তি কর। কারণ সময় গুলো সব গাড়ির মধ্যে চলে যায়। আর বাচ্চারা যেহেতু এত ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে বমি করে তাহলে তো ঘোরা যাবে না। তার পরেও স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক ঘোরাঘুরি করলেন। অবশেষে ফিরে আসলেন নিজের গন্তব্য স্থলে। আপনার পুরো ব্লগটি পড়ে ভালো লাগলো।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।

সত্যি কথা বলতে আপু একদমই জার্নি করতে পারি না তাই দূরে কোথাও যাওয়াটাও খুব একটা পছন্দ করি না। ঢাকায় অনেক আত্মীয় আছে বারবার যেতে বলেন কিন্তু আমি জার্নি করতে পারিনা এই জন্যই যাই না। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু।

আপু সমস্যা হলে জার্নি না করাই উত্তম, ধন্যবাদ আপু।

ঘুরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে বেশ খারাপ সময় পাড় করেছেন দেখছি।সব সময় বমি হয়েছে। বাসে বমি করে অনেকেই কিন্তুু আপনাদের বমি অস্বাভাবিক হয়েছে যে আপনার বোনের গলা দিয়ে রক্ত চলে এসেছে। বমি একবার করলেই শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়।আপনার মেয়েও দাঁতের ব্যাথায় কাতর।চিড়িয়াখানা গিয়ে সস্তি পাননি বুঝতে পারছি।শরীর ভালো না থাকলে এটাই স্বাভাবিক।ফরিদপুর চলে এসেছেন এবং মেয়েকে ডাক্তার দেখাবেন আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

জি আপু অবশ্যই দোয়া করবেন আমাদের জন্য, ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু অনেকে আছে গাড়িতে লং ড্রাইভিং করলে বমি করে। তবে আপনারা দেখতেছি অতিরিক্ত বমি করতেছেন লং ড্রাইভিং এর কারণে। আর আপনি ঠিক বলেছেন বমি করলে অনেক সময় মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আমাদের পরিবারের অনেকে আছে গাড়িতে উঠলে বমি করে। আপু সবাই সুস্থ থাকেন এই কামনা করি।

জি ভাইয়া বমি করলে অনেক সমস্যা হয়, ধন্যবাদ আপনাকে।

লম্বা জার্নি করে করলে এমনিতেই শরীর অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে।তবে আপনি একটু বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন কারণ অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণে হয়তো এমনটা হয়েছে। এদিকে আপনার সাথে আরো বাকি যারা তারাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাছাড়া আপনার মেয়ের দাঁতের ব্যথা সব মিলে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেছে। আপনারা সবাই দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারো স্বাভাবিক হয়ে যাবেন সে কামনাই করছি।

জি ভাইয়া আমি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছি, ধন্যবাদ আপনাকে।

ঢাকা শহরের জ্যাম আসলেই খুব ভয়ানক। যদিও আমি এখন চেষ্টা করি মেট্রোরেল দিয়ে যাতায়াত করতে। তাহলে জ্যামে পড়ার কোনো ভয় থাকে না। যাইহোক ঢাকায় ঘুরতে এসে তো দেখছি আপনারা কমবেশি সবাই অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।