জসিম মেলায় ঘোরাঘুরি ও কেনাকাটা পর্ব-১ ||১০ % বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ

PhotoCollage_1675936810132.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো জসিম মেলা ঘুরাঘুরি ও কেনাকাটা। আমাদের ফরিদ পুরের ঐতিহ্য বাহি মেলা হলো জসিম মেলা। তবে করোনা কালীন সময়ে কয়েক বছর মেলা হয়নি। গত বছর মেলা হয়েছে কিন্তু আমরা যাব যাব করে আর যাওয়া হয়নি। তাই এবার ও মেলা প্রায় শেষের দিকে, গতকাল আমার বাচ্চারা এসে বলল আম্মু এবারো আমরা মেলায় যেত পারবো না। আমি বললাম কেনো বলল শুক্রবারে মেলা শেষ। তারপর বললাম রেডি হও আমরা আজ যাব। তাই তারা রেডি হয়ে আমরা বিকেল সাড়ে চারটার সময় বাসা থেকে রওনা হলাম। যদিও আমরা বেশ কয়েকজন মিলে মেলায় গিয়েছিলাম। আসলে সবাই একসাথে মেলায় গেলে অনেক মজা হয়।কিন্তু আমাদের পৌঁছানোর কথা আধা ঘন্টায় কিন্তু আমদোর পৌঁছাতে সময় লেগেছে এক ঘন্টার উপরে।কারণ মেলার রাস্তায় যশোর থেকে বাসে অনেক লোক জন এসেছিন, তাই রাস্তায় জ্যাম ছিল। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।

20230208_173740.jpg

20230208_173807.jpg

20230208_173804.jpg

তারপর আমরা একটা অটো নিয়ে চলে আসলাম মেলার মাঠে বা নকশি কাঁথার মাঠ।আসলে অনেক বড় মাঠ তাই অটো থেকেই বাচ্চারা মেলা দেখতে নেমে পড়বে।আমি অটোয়ালাকে বললাম আমাদের মেলার মেইন গেটে নামিয়ে দিবেন।তারপর অটোওয়ালা আমাদেরকে মেলার মেইন গেটে নামিয়ে দিল। নামর সাথে সাথে আমার মেয়েরা সব চেয়ে আগে নৌকা, নাগরদোলা, ঘোড়া ইত্যাদি মানে খেলনায় উঠবে।তারপর আমরা গেট দিয়ে নেমে সোজা চলে গেলাম খেলনার কাছে।

20230208_175739.jpg

20230208_175245.jpg

20230208_180827.jpg

20230208_180649.jpg

আমরা যেহেতু কয়েক জন গিয়েছি তাই সবাই যার যার মতো ঘুরতে বের হলো। আমার মেয়েরা যেহেতু খেলনায় উঠবে তাই আমি ওদের নিয়ে চলে আসলাম খেলনার কাছে। আসলে খেলনার টিকিট কাটতে কাটতে সামনে চলে এলো গ্যাস ভরা বেলুন,মাছ ইত্যাদি খেলনা। কি আর করা এখন তাদেরকে আগে এই সকল মাছ কিনে দিতে হবে।তখন খেলনা না কিনে ওদেরকে বললাম আগে খেলনায় চড়। তারপর যাবার সময় এগুলো কিনে নিয়ে যাব।আর আমরা যে কোন খেলনায় চড়ি না কেনো টিকিট ৫০ টাকা করে। আমি দুই মেয়ের জন্য দুটি টিকিট কিনে নিয়ে আসলাম। তারপর দুই বোনকে দুটি ঘোড়ায় বসিয়ে দিলাম । প্রথমে ভালোই বসে ছিল বাচ্চারা তারপর যখন দুই এক বার ঘুড়লো তখন আর ভালো লাগছে না।যাইহোক ঘুড়ানো শেষ হলে, যখন নামিয়ে দেওয়া হলো। তারপর আমি বাচ্চাদের বললাম আর কিসে চড়বে?তারা এক কথায় বলল আর কিছুতেই চড়বে না, মাথা ব্যথা হয়ে গেছে।যাক একটাই চড়ে তাদের চড়ার সখ মিটেছে।

20230208_181124.jpg

20230208_181002.jpg

20230208_175300.jpg
20230208_175131.jpg

20230208_175126.jpg

এখন চলে আসলাম খাবারের দোকানে, আসলে মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে গিয়েছি তাই আমি চেয়েছি কিছু খাওয়াতে কিন্তু তাদের ইচ্ছে খাওয়ার থেকে সব কিছু কিনবে। তারপর চলে গেলাম খাবারের দোকানে, তাদের আবার চিংড়ি অনেক পছন্দ তাই দুটি চিংড়ি কিনে দিলাম মেয়েদের খাওয়ার জন্য। একেকটা চিংড়ি একশ টাকা করে নিয়েছে।অনেক ধরনের খাবার রয়েছে। তারপর তিনটা পাপড় কিনলাম, তবে আমি একটা পাপড় খেয়েছি। তারপর একটা দুই ডিমের মোঘলাই কিনলাম ১২০ টাকা। তারপর আমরা খাবার গুলো খেয়ে অনেক ভালো লাগল। যদিও খাবার গুলো বেশ ভালোই ছিল, তবে আমরা মোগলাই গুলো খেয়ে শেষ করতে পারিনি। আগে বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া ও খেলনা তারপর অন্য সব কিছু। আজ শুধু বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া ও খেলনায় চড়ানো নিয়ে বললাম।আবার দেখাহবে পরবর্তী পর্বে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনলিংক

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পুরো পোষ্টটি পড়ার জন্য।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আশেপাশে মেলা হলে সেখানে না গেলে ভালোই লাগে না। আর আপনাদের এই জায়গায় যেহেতু মেলা বসেছে তাহলে তো আরো আগেই যাওয়ার কথা। যাই হোক মেলা শেষের দিকে যেতে পেরেছেন তাহলে। তবে মেয়েদের জন্যই তো মেলায় যেতে পেরেছেন,তা না হলে এবারও আর যাওয়া হতো না। আজকের পর্বটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। পরবর্তীতে পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

সত্যি আপু বাচ্চাদের জন্য মেলায় যাওয়া হলো আরকি,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

@tipu curate

;) Holisss...

--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.

আপু মেলার অনুভূতি পড়ে খুব ভাল লাগলো। আপনার মেয়েরা খুব আনন্দ পেয়েছে। যে কোন রাইডে উঠলে ৫০ টাকা। আপনার মেয়েরা তৃপ্তি পেয়েছে উঠে। পাপর,মোগলাই অনেক কিছুই খেয়েছেন।আসলে ঘুরতে গেলে খাবার খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপু। খাবারগুলো বেশ লোভনীয় লাগছে।

জি আপু ঘুরতে গেলে খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।

করোনা কালীন সময়ে সব জায়গায় মেলা বন্ধ ছিল। তাই তো এখন বিভিন্ন জায়গায় মেলা হচ্ছে। প্রত্যেকবারের তুলনায় এবার সব জায়গাতেই মেলায় ভিড়ের পরিমান বেড়েছে। আপু আপনার মেলায় কাটানো মুহূর্তগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। মেয়েদেরকে নিয়ে মেলায় গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু।

আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।

আসলে মেলার সবচেয়ে আকর্ষণ হচ্ছে বাচ্চাদের ঘোরাফেরা খাওয়া-দাওয়া এবং নাগর দোলা,ট্রেনে চড়া।মেলায় গেলে অনেক খাওয়া-দাওয়া হয় ঘোরাফেরা হয় কেনাকাটা হয় বেশ ভালো লাগে।আপনারা অনেক জন গেছেন আরো বেশি ভালো লাগবে।অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সবাই মিলে সুন্দর মুহূর্তটাতে আমাদের কাছে শেয়ার করে নিয়েছে অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।

জি আপু মেলায় সবাই মিলে গেলে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

  ·  2 years ago (edited)

আসলে মেলাতে যাওয়ার আনন্দ খুবই অন্যরকম। আপনি মেলাতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মেলাতে খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালো করে করলেন। চিংড়ি মাছ ভাজি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে মেলাতে গেলে বাচ্চাদের নগর দোলাতে না উঠালে কি আর হয়? নগর দোলাতে উঠে বাচ্চার খুবই আনন্দ পায়। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

জি ভাইয়া চিংড়ির চপ গুলো অনেক মজা, দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এবারের মেলায় আামিও গিয়েছিলাম একদিন কিন্তু যা ভিড় দেখলাম তাতে আর দ্বিতীয়বার যাবার সাহস হচ্ছেনা। তবে আপনারা বেশ কয়েকজন মিলে গিয়ে ভালোই করেছেন। মেলায় একা গিয়ে মজা হয়না্ । ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া অনেক ভীর, সবাই মিলে গেলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।